East Bengal: আজই শেষ সুযোগ! হারলে কিংবা ড্র করলে হয়তো আজই ছাঁটাই স্টিফেন

Stephen Constantine: এমন বিবর্ণ অবস্থায় থাকা ইস্টবেঙ্গল কেন এখনও কোচ বদল করেনি, সেই প্রশ্ন তুলে দিলেন প্রাক্তন গৌতম সরকার। ইস্টবেঙ্গলের আর এক প্রাক্তন ফুটবলার সমরেশ চৌধুরি অবশ্য বলছেন, কোচ বদল নিয়ে নিয়ে ক্লাবের কোনও ক্ষমতা নেই। এটা ইনভেস্টররা পারে।

East Bengal: আজই শেষ সুযোগ! হারলে কিংবা ড্র করলে হয়তো আজই ছাঁটাই স্টিফেন
Image Credit source: East Bengal
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 26, 2023 | 5:10 PM

কলকাতা : বলিউডের সেই বিখ্যাত ডায়ালগটা প্রতিধ্বণির মতো শোনাচ্ছে, তারিখ পে তারিখ, তারিখ পে তারিখ! কবে আসবে সেই দিন? যদি ঢুঁ মারা হয় ক্লাব থেকে গ্যালারিতে, কিংবা সমর্থকদের বিক্ষোভে, মনে, এই একটাই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বেড়াচ্ছেন তারা। কবে ছাঁটাই হবেন স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইন? সাম্প্রতিক অতীতে এত খারাপ ফল কি ইস্টবেঙ্গল করেছে? ঘটনা হল, আই লিগ থেকে আইএসএলে পা দেওয়ার পর ইস্টবেঙ্গল আর সাফল্যে নেই। লিগ টেবলের তলানিতেই থেকে গিয়েছে এই কয়েক বছর। ইনভেস্টরের পর ইনভেস্টর বদল হয়েছে। পরিস্থিতি বদলায়নি। এ বারও সেই ছবি পাল্টাল না। ভারতীয় ফুটবলকে হাতের তালুর মতো চেনেন যে কোচ, তিনিও বর্থতার অন্ধকার থেকে বের করতে পারলেন না লাল-হলুদকে। প্রশ্ন হল, আজই কি বিদায় ঘণ্টা বেজে যেতে পারে? তুলে ধরল TV9 Bangla

যদি ফলই পরিচয় হয়, তা হলে বলতে হবে, ইসবেঙ্গল এ বারও তলানির দিকেই এগোচ্ছে। ১৪টা ম্যাচ খেলে ১০টা হার। ভাগ্যিস অবনমন চালু হয়নি আইএসএলে, না হলে আগেই আইএসএল থেকে নেমে যেত ইস্টবেঙ্গল। এমন প্লেয়ার নেই টিমে, যিনি টানতে পারেন, সাফল্যে ফেরাতে পারেন। সেই সঙ্গে কোচ স্টিফেনের যাবতীয় ছক, কৌশলও ক্লিশে হয়ে গিয়েছে। ধরা পড়ে যাচ্ছেন বারবার। ফলে, ম্যাচের পর প্রেস মিটে গিয়ে খানিক ক্ষোভ উগড়ে দেওয়া, পরিস্থিতিকে দায়ী করা আর নিজেকে আড়াল করা ছাড়া আর কোনও ভূমিকা নেই তাঁর। শেষ তিনটে ম্যাচে টানা হার। বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে এসেছিল শেষ জয়। নতুন বছর থেকে আবার শূন্যতা, একরাশ অন্ধকার লাল-হলুদে।

ঘটনা হল, হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে যুবভারতীতে ম্যাচে হারের পরই স্টিফেনকে ছাঁটাই করা হতে পারে, এমন খবর রটে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। আজ, বৃহস্পতিবার সন্ধেয় গোয়া এফসির বিরুদ্ধে তাদের মাঠে হারলেই স্টিফেনের চাকরি যেতে পারে। এমনকি, ড্র হলেও চাকরি বাঁচাতে পারবেন না। একমাত্র যদি টিমকে জয়ে ফেরাতে পারেন, তা হলে হয়তো পরিস্থিতি পাল্টাতে পারে। ১৪টা ম্যাচ খেলে মাত্র ১২ পয়েন্ট লাল-হলুদের। হাতে আর ৬টা ম্যাচ। আইএসএল শেষ হলে সুপার কাপ। বাকি মরসুমের জন্য একজন কোচ বেছে নেওয়া হতে পারে। সে ক্ষেত্রে নতুন কোচ নান খুঁজে সহকারী সম্মুগম বেঙ্কটেশকে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।

এমন বিবর্ণ অবস্থায় থাকা ইস্টবেঙ্গল কেন এখনও কোচ বদল করেনি, সেই প্রশ্ন তুলে দিলেন প্রাক্তন গৌতম সরকার। সাতের দশকের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার ফোনে বলে দিলেন, ‘আমাদের সময় হলে হয়তো মারধোর খেয়ে যেতাম। আমরা একটা ম্যাচ হারলে বাইরে কাউকে মুখ দেখাতাম না, যতক্ষণ না পরের ম্যাচটা জিতছি। বিশেষ করে বড় ম্যাচের ক্ষেত্রে। এটা খুব দুর্ভাগ্যের, ইস্টবেঙ্গল যেন হারার ক্ষেত্রে নতুন করে ইতিহাস গড়ে যাচ্ছে। এরকম ছন্নছাড়া ফুটবল, নিম্ন মানের ফুটবলার, এ কথাটা নিজে খেলোয়াড় হিসেবে বলতে খারাপ লাগলেও বাধ্য হচ্ছি। খেলোয়াড়রা ব্য়র্থ। বাকিদের সমালোচনা করে লাভ নেই।’ তবে কোচ প্রসঙ্গে আরও যোগ করলেন, ‘কোনও ভারতীয় কিংবা বাঙালি কোচ হলে এরকম পারফরম্য়ান্সের পর লাথি মেরে বের করে দিত।’ তবে বারবার প্লেয়ারদের দিকেই আঙুল তুলছেন গৌতম সরকার।

ইস্টবেঙ্গলের আর এক প্রাক্তন ফুটবলার সমরেশ চৌধুরি অবশ্য বলছেন, কোচ বদল নিয়ে নিয়ে ক্লাবের কোনও ক্ষমতা নেই। এটা ইনভেস্টররা পারে। বলছেন, ‘এখন যেটা হয়েছে, গত ছ-বছরের ক্ষেত্রে বলতে পারি, এখন কিন্তু ফরেন কোচ ইস্টবেঙ্গল ঠিক করে না, যারা ইনভেস্টর তারা করে। হ্যাঁ, আমারও মত আছে, যে কোচ ১৪ ম্যাচ খেলে ১০টা হেরেছে তাঁকে পাল্টানো উচিত। কিন্তু তাঁকে সরানোর ক্ষেত্রেও অনেক সমস্যা রয়েছে। ইনভেস্টররা অনেক টাকা বিনিয়োগ করে ফেলেছে। অন্য় বিদেশি কোচ আনতে গেলে আরও অনেক টাকা খরচ হবে।’ আরও যোগ করলেন, ‘আমাদের সময়ে এত হারিনি, তাই কী হত বলতে পারব না।’