Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Football: খোলা হাতে ডাকাতদের সঙ্গে লড়াই, হাসপাতালে ভর্তি বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলা স্ট্রাইকার

রক্তারক্তি কান্ডের পরও আলোচনা চলছে ষাট ছুঁইছুঁই সেই 'তরুণ'কে নিয়ে। হবে নাই বা কেন, ১৯৯৪ সালে যিনি ইতালিকে ফাইনালে তুলেছিলেন যিনি, গোল করা ছিল যাঁর নেশা, তাঁকে থামাবেন, সাধ্যি কার!

Football: খোলা হাতে ডাকাতদের সঙ্গে লড়াই, হাসপাতালে ভর্তি বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলা স্ট্রাইকার
Football: খোলা হাতে ডাকাতদের সঙ্গে লড়াই, হাসপাতালে ভর্তি বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলা স্ট্রাইকারImage Credit source: X
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 21, 2024 | 5:18 PM

তুরিন: রাতের অন্ধকারে অ্যাল্টাভিলা ভিনসেন্টার বিলাসবহুল প্রাসাদে পা রেখেছিলেন পাঁচ দুষ্কৃতি। যে লক্ষ্য ছিল, তা পূরণও করে ফেলছিলেন। বাদ সাধলেন সুদৃশ্য যুবক। বয়স যতই ৫৭ হোক তাঁর, পেটাই চেহারা। সেই কথা বলা নীল চোখ। সেই বাধা টপকাতে দুষ্কৃতিরা মারধর করলেন তাঁকে। না হলে যে তাঁর হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যাচ্ছিল না! বন্দুকের কুঁদো দিয়ে কপালে মারে এক ডাকাত। রক্তারক্তি কান্ডের পরও আলোচনা চলছে ষাট ছুঁইছুঁই সেই ‘তরুণ’কে নিয়ে। হবে নাই বা কেন, ১৯৯৪ সালে যিনি ইতালিকে ফাইনালে তুলেছিলেন যিনি, গোল করা ছিল যাঁর নেশা, তাঁকে থামাবেন, সাধ্যি কার!

তিনি আর কেউ নন রবার্তো বাজ্জিও। ১৯৯৪ সালে টিমকে নেতৃত্ব দিয়ে তুলেছিলেন ফাইনালে। কিন্তু ব্রাজিলের কাছে ফাইনালে হেরে যায় ইতালি। শুধু আজুরির হয়েই নয়, জুভেন্তাস ও এসি মিলানের হয়েও ফুল ফুটিয়েছেন এক সময় বাজ্জিও। গত শতাব্দীর নয়ের দশকে বিশ্ব ফুটবলের হার্টথ্রব ছিলেন। পনিটেলের জন্য জনপ্রিয় ছিলেন। তাঁর ভিলাতেই হয়ে গেল বড়সড় চুরি। উত্তর ইতালিতে বাজ্জিও বাড়িতে গতকাল রাতে পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে ইতালি-স্পেনের ইউরো কাপের খেলা দেখছিলেন। সেই সুযোগে একদল ডাকাত রাতের অন্ধকারে ঢুকে পড়ে। বাজ্জিও দ্রুত বুঝতে পারেন, তাঁর বাড়িতে ডাকাত পড়েছে। তিনি তাঁদের বাধা দিতে যান। বন্দুকের কুঁদো সে সময়ই এক ডাকাত তাঁর কপালে মারে। রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকেন। পরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই কপালে স্টিচ পড়েছে বেশ কয়েকটি। অবশ্য এখন ভালোই আছেন বাজ্জিও।

ইতালির কিংবদন্তি ফুটবলার বলেছেন, ‘কপাল ভালো যে কিছু স্টিচের উপর দিয়ে ব্যাপারটা গেল। কিন্তু একটা ভীতি থেকে গিয়েছে। যাঁরা আমার পাশে রয়েছেন, তাঁদের জন্য সেই ভীতি কাটাতে পারব।’ ডাকাতদের কাছে মার খেয়েও পরিবারকে বাঁচিয়েছেন বাজ্জিও। স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে একটি ঘরে ঢুকে লক করে দেন। দুষ্কৃতিরা ডাকাতি চালিয়ে পালিয়ে যায়। সিসিটিভির ফুটেজ তুলে দেওয়া হয়েছে পুলিশের হাতে। তদন্ত চলছে জোরকদমে।