FIFA WC Final: এ বার এমবাপের কাজটা সহজ নয়, বদলে গিয়েছে আর্জেন্টিনা
FIFA world cup 2022 final: ৪ বছর আগে এমবাপের ঔজ্জ্বল্যে ম্লান হয়ে গিয়েছিলেন মেসি। এবার কিন্তু তাঁর কাজটা অত সহজ হবে না।
দোহা: মস্তিষ্ক বলছে ফ্রান্স জিতবে, কিন্তু মেসির জন্যই হৃদয় চাইছে জিতুক আর্জেন্টিনা। কাতার বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে এক সাক্ষাৎকারে এমনই বলেছেন প্রাক্তন ব্রিটিশ মিডফিল্ডার তথা ফুটবল বিশ্লেষক ড্যানি মার্ফি। রাশিয়া বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে কিলিয়ান এমবাপের একক দাপটে পরাজিত হয়েছিল আর্জেন্টিনা। ফলাফল হয়েছিল ৪-৩। এবারও কি এমবাপের সামনে আত্মসমর্পণ করবে আর্জেন্টিনা? কী বললেন ড্যানি মার্ফি, তুলে ধরল TV9 Bangla।
ড্য়ানি মার্ফির মতে, এ বারের লড়াইটা এমবাপের জন্য মোটেই সহজ হবে না। কারণ, চার বছর আগের আর্জেন্টিনা আর এ বারের আর্জেন্টিনার মধ্যে অনেক ফারাক। অনেকটাই বদলে গিয়েছে সাদা-নীল জার্সিধারীরা। আগের থেকে অনেক বেশি সুশৃঙ্খল এই দল। আর আগের মতো রক্ষণ ফাঁকা রেখে এগিয়ে যায় না আলবিলেস্তেরা। মার্ফির মতে, সৌদি আরবের বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচ এবং নেদারল্যান্ডস-এর বিরুদ্ধে ১৫ মিনিট ছাড়া এই টুর্নামেন্টে একেবারে জমাট রক্ষণ ছিল আর্জেন্টিনার। একইসঙ্গে এই আর্জেন্টিনা দল খেলার মধ্যে ফর্মেশন বদলেও দিতে পারে।
মার্ফি মনে করছেন, গতিশীল এমবাপেকে থামাতে মরক্কোর মতো উইং ব্যাক ব্যবহার করতে পারেন আর্জেন্টিনীয় কোচ লিওনেল স্কালোনি। মরক্কোর এই কৌশলে ফ্রান্স যথেষ্টই বিপদে পড়েছিল। তবে আর্জেন্টিনার রাইট ব্যাক মলিনা, ইংল্যান্ডের রাইট ব্যাক কাইল ওয়াকার বা মরক্কোর আচরাফ হাকিমির মতো অ্যাথলেটিক নন। তাই এমবাপের সঙ্গে গতির লড়াইয়ে আর্জেন্টিয় রক্ষণভাগের এই ফুটবলারের সাফল্যের বিষয়ে সংশয় রয়েছে।
ফ্রান্সের ডান প্রান্ত থেকে এমবাপে শুধুমাত্র আক্রমণেই মনোযোগ দিচ্ছেন। তাই, ফ্রান্সের রক্ষণভাগের ডানপ্রান্তে ফাঁকফোকড় পেতে পারে আর্জেন্টিনা। সেই ফাঁক পূরণ করতে দিদিয়ের দেশঁ, ম্যাচের পরবর্তী পর্যায়ে বাঁ প্রান্তে মার্কাস থুরামকে এনে, এমবাপেকে মাঝে নিয়ে আসতে হবে।
২০১৮ সালের বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা ম্যাচ ছিল আর্জেন্টিনা বনাম ফ্রান্সের কোয়ার্টার ফাইনাল। তবে, এবার আর ৭ গোল দেখা যাবে না বলেই মনে করছেন ড্যানি মার্ফি। বরং হাড্ডাহাড্ডি খেলা হবে, একটি বা দুটি ম্যাজিক্যাল মুহূর্তই ম্যাচের ভবিষ্যত লিখে দেবে। তবে মেসি না এমবাপে, কার পা থেকে সেই ম্যাজিকের ঝলক বের হবে, সেটাই দেখার। নকআউট পর্বের তিনটি ম্যাচেই দুর্দান্ত ছন্দে দেখা গিয়েছে মেসিকে, তিনটি ম্যাচেই গোলও করেছেন। আরও একবার কি দেখা যাবে মেসি ম্যাজিক? অপেক্ষায় গোটা বিশ্ব।