Cristiano Ronaldo: বিশ্বকাপের মহামঞ্চ থেকে বিদায়, সিআর সেভেনকে ট্রিবিউট ফিফার
FIFA World Cup: ফুটবল বিশ্বে তাক লাগানো এই পর্তুগিজকে ট্রিবিউট দিল ফিফা। খেলা শেষ হওয়ার পরে টুইটারে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছে ফিফা। পাঁচটি বিশ্বকাপে তাঁর মন কাড়া কিছু মুহূর্ত তুলে ধরেছে ফিফা।
দোহা : কাতারের বালিয়ারিতে ফিফা বিশ্বকাপ বিশ্বব্যাপী ফুটবল প্রেমীদের মনে দাগ কেটে যাবে চিরকাল। এই বিশ্বকাপ যেমন উপহার দিয়েছে বহু সুন্দর মুহূর্ত, তেমনই কেড়ে নিয়েছে বহু কিছু। এ ভাবেই জাঁকজমকপূর্ণ স্টেডিয়ামের চোখ ধাঁধানো আলো ও উত্তেজনার মাঝে বিদায় নিলেন এক মহাতারকা। বিশ্বকাপের মহামঞ্চ থেকে চিরকালের মতো বিদায় নিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। ৭ নম্বর জার্সিতে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে অনেক স্বপ্ন উপহার দিয়েছেন তিনি। পাঁচটি বিশ্বকাপে গোল করার রেকর্ড গড়েছেন তিনি। ফুটবল পায়ে তিনি আসলে এক শিল্পী।
সালটা ২০০১। দেশের জার্সিতে স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিলেন অনুর্ধ্ব ১৫ দলে খেলা একটি ছেলে। ২০০৩ সালে সিনিয়র দলে ঢুকে পড়া। তারপর দলের অধিনায়কত্ব ও পেয়েছেন। তবে পেলেন না ফুটবলের শ্রেষ্ঠ পুরস্কার। দীর্ঘ দুই দশকের স্বপ্ন অধরা থেকে গেল।
শনিবার কোয়ার্টার ফাইনালে মরক্কো বনাম পর্তুগাল ম্যাচে ১-০ গোলে জয় হয় মরক্কোনদের। বিদায় নিতে হয় পর্তুগালকে। প্রথমার্ধে মরক্কো ফরওয়ার্ড ইউসেফ এন নেসিরির গোলে এগিয়ে যায়। তবে রোনাল্ডো মাঠে পা রাখেন দ্বিতীয়ার্ধে। গোল করতে পারেননি তিনি। তবে শেষ মুহূর্তে পর্তুগিজ ডিফেন্ডার পেপে সমতা ফেরাতেন। তা হয়নি। তখনই পরিষ্কার হয়ে যায়, তাদের বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার হতে চলেছে। রেফারির শেষ বাঁশির সঙ্গেই শেষ হয়ে যায় ৫ বার ব্যালন ডিঅর জয়ী পর্তুগিজ মহাতারকার বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন শেষ। ম্যাচ শেষ হতেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন রোনাল্ডো। চরম হতাশা ও দুঃখ চেপে রাখতে পারেননি তিনি। কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছেড়ে ড্রেসিংরুমের দিকে চলে যান তিনি। ম্যাচ শেষ হওয়ার পরও উঠে আসছে নানা বিতর্ক। ফ্যানদের মধ্যে দেখা গেছে নানা রকম প্রতিক্রিয়া। মন ভেঙে গিয়েছে বহু অনুগামীর।
ফুটবল বিশ্বে তাক লাগানো এই পর্তুগিজকে ট্রিবিউট দিল ফিফা। খেলা শেষ হওয়ার পরে টুইটারে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছে ফিফা। পাঁচটি বিশ্বকাপে তাঁর মন কাড়া কিছু মুহূর্ত তুলে ধরেছে ফিফা। ফুটবলের প্রতি তাঁর অবদান অনুভবে বলেছেন, “অব্রিগাদো ক্রিশ্চিয়ানো!” মানে, “অনেক ধন্যবাদ ক্রিশ্চিয়ানো!” ফিফা লিখেছে, “আ মিথ, আ লেজেন্ড, আ মেশিন। থ্যাঙ্ক ইউ ক্রিশ্চিয়ানো।” ফিফার এই পোস্ট মন কেড়েছে রোনাল্ডো অনুগামীদের। ২০১০ সালের বিশ্বকাপে উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষে দুরন্ত গোল হোক বা ২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপে মরক্কোর বিপক্ষে ডাইভ হেডার। রাশিয়া বিশ্বকাপে গ্রুপ স্টেজে স্পেনের বিপক্ষে চোখ ধাঁধানো হ্যাটট্রিক। ফুটবল ইতিহাসে এগুলো অমর কিছু মুহূর্ত হয়ে থেকে যাবে। যার শুরুটা হয়েছিল ২০০৬ জার্মানি বিশ্বকাপে ইরানের বিপক্ষে বল জালে জড়ানো থেকে।