FIFA World Cup 2022: কাতারি সংস্কৃতি, ইসলামিক নীতি বিরুদ্ধে খবর অপরাধ, বিশ্বকাপের আগে সংবাদমাধ্যমের উপর নয়া বিধিনিষেধ

কাতারি সংস্কৃতি, ইসলামিক নীতি বিরুদ্ধে খবর করলে তা অপরাধ বলে গণ্য হবে। বিশ্বকাপের আগে সংবাদমাধ্যমের উপর নয়া বিধিনিষেধ জারি করল কাতার সরকার।

FIFA World Cup 2022: কাতারি সংস্কৃতি, ইসলামিক নীতি বিরুদ্ধে খবর অপরাধ, বিশ্বকাপের আগে সংবাদমাধ্যমের উপর নয়া বিধিনিষেধ
Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 16, 2022 | 2:17 PM

দোহা: কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপের (Qatar Football World Cup) দিনক্ষণ যত এগিয়ে আসছে ততই দীর্ঘ হচ্ছে বিধিনিষেধের তালিকা। একইসঙ্গে বাড়ছে বিতর্ক। মধ্য প্রাচ্যের দেশ কাতার ইতিমধ্যেই ফুটবল বিশ্বকাপ দেখতে আসা দর্শকদের আচরণের উপর একাধিক বিধিনিষেধ জারি করেছে। রক্ষণশীল দেশটিতে সেইসব বিধিনিষেধের লঙ্ঘন গ্রেফতার বা মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত ডেকে আনতে পারে। যেমন সমকামিতার সপক্ষে আওয়াজ তোলা, প্রকাশ্যে খাওয়া যাবে না চুমু বা কোনওরকম পাবলিক ডিসপ্লে অব অ্যাফেকশন দেখানো যাবে না। মদ্যপানের উপরও নানা বিধিনিষেধ রয়েছে। বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার পর এইসব নিয়মে শিথিলতা আসবে কি না জানা নেই। তবে বিশ্বকাপ (Fifa World Cup 2022) শুরুর আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখল কাতার সরকার।

দ্য গার্ডিয়ানের রিপোর্ট অনুযায়ী, বিধিনিষেধগুলি শর্তের তালিকার মধ্যে প্রথমত, দেশের জনপ্রিয় স্থানগুলির ফটোগ্রাফি এবং ভিডিয়োগ্রাফির জন্য সংবাদমাধ্যমগুলিকে কাতারি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতির আবেদন নিতে হবে। গার্ডিয়ানের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিডিয়া কভারেজের উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞার অংশ হিসাবে মধ্য-প্রাচ্যের দেশটিতে বিশ্বকাপ চলাকালীন স্থানীয়দের বাড়িতে সাক্ষাৎকার নেওয়া চলবে না। পরিযায়ী শ্রমিকদের থাকার জায়গাগুলিতে সংবাদমাধ্যম একেবারে নিষিদ্ধ। বিধিনিষেধের তালিকা এখানেই শেষ নয়। সরকারি ভবন, বিশ্ববিদ্যালয়, উপাসনালয় এবং হাসপাতালের কাছাকাছি বা ভিতরে ফুটেজ নেওয়া যাবে না। কোনও বাড়ির মালিকের সম্মতি থাকলেও ব্যক্তিগত মালিকানাধীন সম্পত্তির ভিডিয়ো রেকর্ডিং করা যাবে না। দোহার শুধুমাত্র তিনটি স্থান এই বিধিনিষেধের আওতায় থাকবে না। যেমন কর্নিচে ওয়াটারফ্রন্ট প্রমনেড, দ্য ওয়েস্ট বে এলাকা এবং টাওয়ার এলাকা।

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে,  বিশ্বকাপ চলাকালীন স্থানীয়দের তাদেরই বাড়িতে সাক্ষাৎকার নেওয়া চলবে না। পরিযায়ী শ্রমিকদের থাকার জায়গাগুলিতে সংবাদমাধ্যম একেবারে নিষিদ্ধ। বিধিনিষেধের তালিকা এখানেই শেষ নয়। সরকারি ভবন, বিশ্ববিদ্যালয়, উপাসনালয় এবং হাসপাতালের কাছাকাছি বা ভিতরে ফুটেজ নেওয়া যাবে না। কোনও বাড়ির মালিকের সম্মতি থাকলেও ব্যক্তিগত মালিকানাধীন সম্পত্তির ভিডিয়ো রেকর্ডিং করা যাবে না। দোহার শুধুমাত্র তিনটি স্থান এই বিধিনিষেধের আওতায় থাকছে না। যেমন কর্নিচে ওয়াটারফ্রন্ট প্রমনেড, দ্য ওয়েস্ট বে এলাকা এবং টাওয়ার এলাকা।

প্রতিবেদনে আরও বলা রয়েছে, আবেদনকারী সংবাদমাধ্যমগুলিকে সম্মত হতে হবে যে, কাতারি সংস্কৃতি এবং ইসলামিক নীতির প্রতি অনুপযুক্ত বা আক্রমণাত্মক বা জাতিগত বা ধর্মীয় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে এমন প্রতিবেদন তারা তৈরি করবে না। বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমগুলি উপরে উল্লিখিত বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করলে ফৌজদারি এবং দেওয়ানি দায়বদ্ধতার জন্য দায়ী করা হবে।