ঝড়ে বিধ্বস্ত ফিজিতেই মন পড়ে কৃষ্ণার
কেরালা ম্যাচের গোল এবং ম্যাচ সেরার পুরস্কার ফিজির বন্যা দুর্গতদের উৎসর্গ করছেন রয় কৃষ্ণা
ম্যাচের ২৪ ঘণ্টা পরেও রবিবার রাতের রেশ কাটেনি রয় কৃষ্ণার। ফিজির স্ট্রাইকার বলেন, ‘ ভারতে আসার পর সবচেয়ে উত্তেজক ম্যাচটা খেললাম। কেরালা ব্লাস্টার্স অত্যন্ত সঙ্ঘবদ্ধ। আমাদের বিরুদ্ধে কেরালা বরাবরই তীব্র লড়াই চালায়। সেই কেরালার বিরুদ্ধে ০-২ গোলে পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত কামব্যাক করলাম। শুধু অসাধারণ কামব্যাকই নয়, জয়ও ছিনিয়ে নিলাম আমরা। অবশ্যই এ এক বিশেষ অনুভূতি। চলতি আইএসএলে দু’বারই কেরালা ব্লাস্টার্সকে হারালাম। সেটাও অনেক বড় ব্যাপার।’
ম্যাচে ০-২ পিছিয়ে পড়েও কখনও দমে যায়নি এটিকে মোহনবাগানের ফুটবলাররা। দলের এই হার না মানা মনোভাবই টিমের ইউএসপি বলে মনে করেন রয় কৃষ্ণা। কেরালার দ্বিতীয় গোলটির ক্ষেত্রে রেফারি ফাউল দিতে পারতেন। এমনটা মনে করেন হাবাসের প্রাণভ্রোমরা। লিগ টেবিলের শীর্ষে থেকে আইএসএল শেষ করার ব্যাপারে আশাবাদী রয় কৃষ্ণা।
শেষ কয়েকটা ম্যাচে অনেকগুলো গোলের সুযোগ নষ্ট করেন রয়। তা নিয়ে ভীষণ চাপে ছিলেন তিনি। এ দিন তা স্বীকারও করে নেন। কেরালা ম্যাচে জোড়া গোল করে হারানো আত্মবিশ্বাসও অনেকটাই ফিরে পেয়েছেন ফিজির এই স্ট্রাইকার। তাই আনন্দে আত্মহারা হয়ে জার্সি খুলে গোলের সেলিব্রেশন করেন রয় কৃষ্ণা। তবে এর সঙ্গে হ্যাটট্রিক হাতছাড়া হওয়ার আফশোসও যাচ্ছে না তার। যদিও দলের জয়েই খুশি রয় কৃষ্ণা।
আরও পড়ুন:ফুটবলে এখনই ফিরছে না দর্শক
রবিবার রাতে বাগান সমর্থকদের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন রয়। তবে তার দেশ ফিজি এই মুহূর্তে সাইক্লোনে বিধ্বস্ত। অনেকেই গৃহহীন হয়ে পড়েছে। ফের সাইক্লোন আছড়ে পড়ার পূর্বাভাসও রয়েছে। তাই হোটেলে ফিরে ম্যাচ জয়ের সেলিব্রেশন সারতে পারেননি। বরং ফিজির কথাই ভেবে গিয়েছেন রবিবার রাতের নায়ক। কেরালা ম্যাচের গোল এবং ম্যাচ সেরার পুরস্কার ফিজির বন্যা দুর্গতদের উৎসর্গ করলেন। শুধু তাই নয়, তার দুঃসময়ে পাশে দাঁড়ানো সবুজ-মেরুন সমর্থকদের কথাও বারবার মনে পড়ছিল রয় কৃষ্ণার।