East Bengal: একমাস মাঠের বাইরে সাউল, ভারতীয় ফুটবলের ‘রোগ’ খুঁজে পেলেন কুয়াদ্রাত
রেফারিং নিয়ে যতই ক্ষোভ থাক, ইস্টবেঙ্গল কিন্তু নর্থইস্টের বিরুদ্ধে ৩ পয়েন্টের ছকেই মাঠে নামবে। সুপা কাপ জেতার পর টিমের মনোবল তুঙ্গে। আইএসএলের ডার্বিতে সেটা প্রমাণও করেছে কুয়াদ্রাতের দল। কুয়াদ্রাত বলে দিচ্ছেন, '৩ পয়েন্টের জন্যই ঝাঁপাব আমরা।' এরই মধ্যে আবার খারাপ খবর ইস্টবেঙ্গলে, সাউল ক্রেসপোর চোটের বহর কম নয়।
কলকাতা: জেতা ডার্বিতে পয়েন্ট নষ্ট এখনও ভুলতে পারছেন না লাল-হলুদ কোচ। আর তাই সময় পেরলেও রেফারিং নিয়ে ক্ষোভ যাচ্ছে না কার্লেস কুয়াদ্রাতের। ডার্বিতে ১-০ করেও ১-১ হয়েছিল। ২-১ এগিয়ে গিয়েও ২-২ ড্র করতে হয়েছে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে। রেফারি সে দিন ‘টেনে খেলিয়েছিলেন’, তাও বুঝতে কিংবা বলতে কোনও দ্বিধা নেই ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) কোচের। নর্থইস্টের বিরুদ্ধে আইএসএলের (ISL) দ্বিতীয় ম্যাচ। তার আগে কুয়াদ্রাত কিন্তু পরিষ্কার ভাষায় আবার আক্রমণ করলেন রেফারিকে। ভারতীয় ফুটবলের আসল ‘রোগ’ ধরে ফেলেছেন লাল-হলুদ কোচ। কী বললেন তিনি?
শনিবার নর্থইস্টের বিরুদ্ধে ম্যাচ। ওই ম্য়াচেও রেফারিং নিয়ে থাকছে দুশ্চিন্তা। ডার্বি ম্যাচের শেষ দিকে ইস্টবেঙ্গলের বক্সে বল ক্লিয়ার করতে গিয়েছিলেন ননন্দকুমার। তখন তাঁকে ফাউল করেন সাহাল আব্দুল সামাদ। রেফারি সে দিকে তাকাননি। ওই মুভ থেকেই গোল করে যান দিমিত্রি। কুয়াদ্রাত বলে দিলেন, ‘২০১৬ সাল থেকে কোচিং করাচ্ছি ভারতীয় ফুটবলে। কিন্তু পুরনো রোগ এখনও সারল না। আমি দেখেছি, কোনও টিম পিছিয়ে পড়লে সেই টিমকে ম্য়াচে ফেরানোর চেষ্টা করেন রেফারি। আমাদের এমন হলে কিন্তু রেফারি ঠিক বাঁশি বাজিয়ে দিত। শুধু মোহনবাগান কেন, সব টিমের ক্ষেত্রেই এমন হত। যদি জামশেদপুরের বিরুদ্ধে খেলতাম, তা হলেও তাই করত রেফারি। এখানকার রেফারিরা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার চেষ্টা করে। এটা না বদলালে কিন্তু উন্নতি হবে না ভারতীয় ফুটবলের।’
রেফারিং নিয়ে যতই ক্ষোভ থাক, ইস্টবেঙ্গল কিন্তু নর্থইস্টের বিরুদ্ধে ৩ পয়েন্টের ছকেই মাঠে নামবে। সুপা কাপ জেতার পর টিমের মনোবল তুঙ্গে। আইএসএলের ডার্বিতে সেটা প্রমাণও করেছে কুয়াদ্রাতের দল। কুয়াদ্রাত বলে দিচ্ছেন, ‘৩ পয়েন্টের জন্যই ঝাঁপাব আমরা।’ এরই মধ্যে আবার খারাপ খবর ইস্টবেঙ্গলে, সাউল ক্রেসপোর চোটের বহর কম নয়। একমাস মাঠের বাইরে থাকতে পারে তাঁকে। যা বেশ চাপে রাখছে ইস্টবেঙ্গলকে।