ইস্টবেঙ্গলকে এ বার চরম বার্তা দিতে চলেছেন হরিমোহন বাঙ্গুর

দুবাই থেকে টিভি নাইন বাংলাকে টেলিফোনে হরিমোহন বাঙ্গুর বলেন, 'ক্লাব কর্তাদের এই আচরণ মানতে পারছি না। চুক্তিপত্রে সই করবেন ক্লাব কর্তারা। সদ্যসদের চুক্তি সইয়ের কোনও অধিকার নেই। তাই তাদের শুধু দেখে যেতে হবে এবং যা ঘটবে সেটা মেনে নিতে হবে।'

ইস্টবেঙ্গলকে এ বার চরম বার্তা দিতে চলেছেন হরিমোহন বাঙ্গুর
ইনভেস্টর-ক্লাব চাপানউতোর চলছেই
Follow Us:
| Updated on: May 26, 2021 | 7:28 PM

কৌস্তভ গঙ্গোপাধ্যায়

ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ক্লাবের দেওয়া চিঠি পড়ার পরই তীব্র অসন্তুষ্ট লগ্নিকারী সংস্থার কর্ণধার হরিমোহন বাঙ্গুর (Hari Mohan Bangur)। টার্মশিট (term sheet) আর মূল চুক্তিপত্রের মধ্যে কোথায় অসঙ্গতি রয়েছে, তা জানতে চেয়ে ক্লাবকে এ মাসের শুরুতেই চিঠি পাঠিয়েছিল লগ্নিকারী সংস্থা। গতকাল ক্লাবের তরফ থেকে পাল্টা চিঠি পাঠানো হয় বিনিয়োগকারী সংস্থাকে। তাতে চুক্তি সইয়ের বিষয়টি উল্লেখ করেনি ক্লাব। আর এতে বেজায় ক্ষুব্ধ শ্রী সিমেন্টের (Shree Cement) ম্যানেজিং ডিরেক্টর হরিমোহন বাঙ্গুর।

দুবাই থেকে টিভি নাইন বাংলাকে টেলিফোনে হরিমোহন বাঙ্গুর বলেন, ‘ক্লাব কর্তাদের এই আচরণ মানতে পারছি না। চুক্তিপত্রে সই করবেন ক্লাব কর্তারা। সদ্যসদের চুক্তি সইয়ের কোনও অধিকার নেই। তাই তাদের শুধু দেখে যেতে হবে এবং যা ঘটবে সেটা মেনে নিতে হবে।’ দীর্ঘ টালবাহানার মধ্যে লগ্নিকারী সংস্থার কর্ণধার এও জানিয়ে দেন, এ বার চরম বার্তা দেওয়া হবে ক্লাবকে। ক্লাবের দেওয়া চিঠির উপর ভিত্তি করে তিনি নিজেই পাল্টা বার্তা দেবেন ইস্টবেঙ্গলকে। হরিমোহন বাঙ্গুরের ইঙ্গিতে স্পষ্ট, ‘হয় চুক্তিপত্রে সই করুন, অথবা আমাদের সরাসরি জানিয়ে দিন। বিচ্ছেদের রাস্তা খোলা আছে।’

গত বছর দ্রুততার সঙ্গে শ্রী সিমেন্ট-ইস্টবেঙ্গল গাঁটছড়া বাধে। তারপরই আইএসএলে (ISL) খেলার ছাড়পত্র পায় লাল-হলুদ। সময় কম থাকায় এফএসডিএলও অনেক বিষয়ে জোর দেয়নি লগ্নিকারী সংস্থাকে। আইএসএল খেলতে গেলে ২০০ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি দেখাতে হবে। এছাড়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, আইএসএল খেলার জন্য আগামী ৫ বছরের জন্য কমপক্ষে ৫০০ থেকে ৬০০ কোটি টাকার গ্যারান্টি দেখাতে হবে। এফএসডিএলের দেওয়া সেই প্রতিশ্রুতি পত্রে এখনও সই করেনি লগ্নিকারী সংস্থা। তার একটাই কারণ, ক্লাব কর্তারা চুক্তিপত্রে সই করলে তবেই নিশ্চিত হতে পারবে বিনিয়োগকারী সংস্থা। গত বছর এফএসডিএলকে বিনিয়োগকারী সংস্থার কর্তারা জানিয়েছিলেন, ক্লাব টার্মশিটে সই করেছে। মূল চুক্তিপত্রে সইয়ের পরই তারা কমিটমেন্ট পেপারে সই করবে। বিনিয়োগকারী সংস্থার এক কর্তার দাবি, ইতিমধ্যেই ৫০ কোটি টাকা খরচ করে ফেলেছে তারা। প্রত্যেক বছর সবমিলিয়ে ৪০ থেকে ৫০ কোটি টাকার খরচ আছে। এছাড়া ২০০ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি। সব মিলিয়ে ৫ বছরের জন্য কমপক্ষে ৫০০ কোটি টাকা। তার মধ্যে ২ বছর লকিং পিরিয়ড।

হরিমোহন বাঙ্গুরও তাই বলছেন, ‘ক্লাবের সঙ্গে আমি ১ বছর যুক্ত। মূল চুক্তিপত্রে সই না করলে আমরা আর এগোব না। ক্লাব কর্তারা যেরকম ঢিলেমি করছে তাতে দলগঠনেও বাধা হচ্ছে।’

যা পরিস্থিতি, তাতে ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের হাতে সময় ক্রমশ কমছে। শ্রী সিমেন্টের ম্যানেজিং ডিরেক্টর হরিমোহন বাঙ্গুর শীঘ্রই চুক্তিপত্রে সইয়ের জন্য ডেডলাইন দিয়ে দেবেন কর্তাদের। কারণ চুক্তিপত্রে ক্লাবকর্তারা দ্রুত সই করলে তবেই এফএসডিএলের দেওয়া সমস্ত পেপার ওয়ার্ক শেষ করে ফেলতে পারবেন বিনিয়োগকারী সংস্থার কর্তারা। চুক্তি জট ক্রমশ বাড়ছে, সেই সঙ্গে বাড়ছে লাল-হলুদের আইএসএল জটও।