Diego Maradona: কাতার বিশ্বকাপের আগে রেকর্ড অর্থে বিক্রি হল মারাদোনার ‘হ্যান্ড অব গড’ বল

কাতার বিশ্বকাপ (Qatar World Cup 2022) শুরু হওয়ার আগে ফুটবল রাজপুত্র দিয়েগো মারাদোনার (Diego Maradona) বিখ্যাত 'হ্যান্ড অব গড' বল (Hand of God ball) নিলামে রেকর্ড অর্থে বিক্রি হল।

Diego Maradona: কাতার বিশ্বকাপের আগে রেকর্ড অর্থে বিক্রি হল মারাদোনার 'হ্যান্ড অব গড' বল
কাতার বিশ্বকাপের আগে রেকর্ড অর্থে বিক্রি হল মারাদোনার ‘হ্যান্ড অব গড’ বল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 17, 2022 | 12:28 PM

লন্ডন: আর দিন তিনেক পর কাতারে শুরু হচ্ছে বিশ্ব ফুটবলের মহাযুদ্ধ। বিশ্বকাপের জন্য সব দলই জোরকদমে প্রস্তুতি নিচ্ছে। কাতারেই কেরিয়ারের শেষ বিশ্বকাপে খেলতে চলেছেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি। যে কারণে নীল-সাদা জার্সিধারীদের সমর্থকরা চাইছে তাদের প্রিয় দলের ঝুলিতে আসুক বিশ্বকাপ, আর সেটা আসুক তারকা লিও মেসির হাত ধরে। কাতার বিশ্বকাপ (Qatar World Cup 2022) শুরু হওয়ার আগে ফুটবল রাজপুত্র দিয়েগো মারাদোনার (Diego Maradona) বিখ্যাত ‘হ্যান্ড অব গড’ বল (Hand of God ball) নিলামে রেকর্ড অর্থে বিক্রি হল। কত দাম উঠল মারাদোনার ‘হ্যান্ড অব গড’ বলের, সেই তথ্য তুলে ধরল TV9Bangla

১৯৮৬ সালে মেক্সিকো বিশ্বকাপে ফুটবল রাজপুত্র দিয়েগো মারাদোনার সেই বিতর্কিত ‘হ্যান্ড অব গড’ ম্যাচের জার্সি মাস ছয়েক আগে ৯.৩ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়েছিল। এ বার রেকর্ড অর্থে বিক্রি হল হ্যান্ড অব গড’ বলটিও। ১৯৮৬ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হেডে গোল করতে গিয়ে তার বদলে হাত দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দিয়েছিলেন মারাদোনা। সেই সময় রেফারি ঠিকভাবে পিছন থেকে তা লক্ষ্য করতে না পারার ফলে গোল দিয়ে দেন। যে বল দিয়ে ওই গোল করেছিলেন মারাদোনা, সেই বলই বুধবার লন্ডনে নিলামে উঠেছিল। সেই ম্যাচের রেফারি তিউনিশিয়ার আলি বিন নাসেরের কাছেই এতদিন বলটি ছিল। এ বার সেটি নিলামে বিক্রি হল ২ মিলিয়ন পাউন্ডে।

তিউনিশিয়ার রেফারি নাসের বলেন, ‘এই বলটি আন্তর্জাতিক ফুটবল ইতিহাসের একটি অংশ। আমার মতে এটিকে বিশ্বের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার এটাই সেরা সময়।’ চিরস্মরণীয় সেই ম্যাচে মারাদোনার ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিসপত্র এর আগেও নিলামে উঠেছে। উল্লেখ্য, সে বার বিশ্বকাপের ফাইনালে পশ্চিম জার্মানিকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিতেছিল আলবিসেলেস্তে। মারাদোনার সেই গোলটি বৈধ ছিল কিনা, সেই নিয়ে নাসের বলেন, ‘আমি গোটা ঘটনাটি ঠিকভাবে দেখতে পারিনি। শিল্টন ও মারাদোনা আমার দৃষ্টি আটকে দিয়েছিলেন। টুর্নামেন্টের আগে ফিফার নিয়ম অনুযায়ী, আমি তাই লাইন্সম্যানের দিকে গোল নিশ্চিত করার জন্য তাকিয়েছিলাম। ও মাঝমাঠের দিকে ফিরে আসে, যার অর্থ হল ওর মতে গোলটি বৈধ ছিল। যদিও ম্যাচের শেষে ইংল্যান্ডের প্রধান কোচ ববি রবসন আমাকে বলে যান, ‘তুমি ভালো কাজ করেছ, কিন্তু লাইন্সম্যান দায়িত্বজ্ঞানহীন।’