Barasat Stadium Renovation : ঘুম ভাঙল অবশেষে, মর্যাদা ফেরাতে বারাসত স্টেডিয়ামে সদলবলে ক্রীড়ামন্ত্রী

Kolkata Football : বারাসত বিদ্যাসাগর ক্রীড়াঙ্গন থেকে অ্যাস্ট্রোটার্ফ তুলে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্রীড়া দপ্তর। আজ, বৃহস্পতিবার বারাসত স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। সঙ্গে ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক।

Barasat Stadium Renovation : ঘুম ভাঙল অবশেষে, মর্যাদা ফেরাতে বারাসত স্টেডিয়ামে সদলবলে ক্রীড়ামন্ত্রী
ঘুম ভাঙল অবশেষে, মর্যাদা ফেরাতে বারাসত স্টেডিয়ামে সদলবলে ক্রীড়ামন্ত্রীImage Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 18, 2023 | 5:42 PM

বারাসত : একসময় ইস্টবেঙ্গল (East Bengal), মোহনবাগান (Mohun Bagan) ফুল ছড়াত ওই মাঠে। একসময় গোয়া-মুম্বই সফরে এসে পা রাখত ওই স্টেডিয়ামে। একসময় আই লিগ থেকে আইএফএ শিল্ড সব বড় টুর্নামেন্ট আয়োজিত হত সবুজে ঘেরা ওই মাঠে। আজ সেই মাঠই কার্যত খোয়াড় হয়ে গিয়েছে। প্রায় ৫ বছর হল প্রথম সারির কোনও ফুটবল টুর্নমেন্ট আর হয়নি। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান আইএসএলে ঢোকার আগেই ব্রাত্য হয়ে গিয়েছে বারাসত স্টেডিয়াম। একসময় যে স্টেডিয়ামে রাতের ম্যাচে উজ্জ্বল হত বারাসত, সেই স্টেডিয়ামই কার্যত অন্ধকারে ডুবেছে। সরকারি গাফিলতি নাকি পরিচালন সমস্যা? আইলিগের সঙ্কোচন নাকি আইএসএলের বাড়বাড়ন্ত? কারণ যাই হোক না কেন, ভারতের ফুটবল মানচিত্রে বারাসত স্টেডিয়ামের গুরুত্ব আর নেই। দেরিতে হলেও ঘুম ভাঙল প্রশাসনের। বারাসত স্টেডিয়ামকে (Barasat Vidyasagar Stadium) এ বার মূলস্রোতে ফেরানোর উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sportsএর এই প্রতিবেদনে।

বারাসত বিদ্যাসাগর ক্রীড়াঙ্গন থেকে অ্যাস্ট্রোটার্ফ তুলে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্রীড়া দপ্তর। আজ, বৃহস্পতিবার বারাসত স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। সঙ্গে ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। প্রায় ৫ বছরের বেশি সময় ধরে বারাসত ক্রীড়াঙ্গনে কোনও ফুটবল খেলা হয় না। স্টেডিয়ামের সমস্যা কী, তা খতিয়ে দেখতেই ক্রীড়ামন্ত্রীর নেতৃত্বে প্রশাসনের পুরো টিম হাজির স্টেডিয়ামে।

২০০৭ সালে ন্যাচারাল টার্ফের বদলে অ্যাস্ট্রোটার্ফ বসেছিল বারাসতে। ওই সময়ই যুবভারতীতেও বসানো হয় কৃত্রিম ঘাস। আইলিগ সহ অন্যান্য টিমগুলো বারাসত, যুবভারতীর অ্যাস্ট্রোটার্ফের মান নিয়ে বার বার প্রশ্ন তুলেছিল। চোটের পরিমাণ বেড়েও গিয়েছিল ফুটবলারদের। যে কারণে কয়েক বছর পর যুবভারতী আবার ফেরে ন্যাচারাল ঘাসে। কিন্তু অজানা কারণে বারাসত সেই অ্যাস্ট্রোটার্ফই আঁকড়ে বসেছিল এতদিন।

এ দিন বারাসত স্টেডিয়ামে গিয়ে দেখা যায়, মাঠের কৃত্রিম ঘাস বেশ কিছু জায়গায় কাঁচি দিয়ে কেটে ফেলা হয়েছে। অ্যাস্ট্রোটার্ফের দশাও বেশ খারাপ। ঘরোয়া লিগের কিছু ম্যাচ অবশ্য হয়েছে এই স্টেডিয়ামে। তারও সংখ্যা বেশ কম। ফলে এই স্টেডিয়াম এতদিন কার্যত পড়েই ছিল। ক্রীড়ামন্ত্রী স্টেডিয়ামের হাল দেখে হতাশ হয়েছেন। জেলাশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, স্টেডিয়ামের এই হাল কেন, খতিয়ে দেখতে অনতিবিলম্বে একটি কমিটি তৈরি করা হোক। ডোপিং টেস্ট রুম, মেডিকেল রুম, ড্রেসিং রুম, রেফারিদের রুম এবং অন্যান্য পরিকাঠামো খতিয়ে দেখার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।

রাজ্য সরকারের লক্ষ্য বারাসত স্টেডিয়ামকে আবার ‘বাঁচিয়ে তোলা’। একসময়ের সেই ঐতিহ্য, সেই মনোমুগ্ধকর নৈশালোক, সেই গমগমে গ্যালারি দ্রুত ফিরুক, সারা বারাসত যেমন চাইছে, রাজ্য সরকারও চাইছে।