জার্সি প্রস্তুতকারী সংস্থা লি নিংকে সরাল ভারত, চলছে নতুন স্পনসরের খোঁজ
চিনা স্পনসরকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হলেও, ইতিমধ্যেই ভারতীয় দলের নতুন স্পনসরের খোঁজ করতে শুরু করে দিয়েছেন কর্তারা।
নয়াদিল্লি: টোকিও অলিম্পিক (Tokyo Olympics) শুরু হতে বাকি মাত্র কয়েকদিন। কিছুদিন আগেই কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেণ রিজিজুর (Kiren Rijiju) উপস্থিতিতে টোকিয়ো অলিম্পিকে অংশগ্রহণকারী অ্যাথলিটদের জন্য নতুন জার্সি প্রকাশ করেছিল ভারত। তবে সেই জার্সি স্পনসর করেছিল এক চিনা ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী সংস্থা লি নিং (Li Ning)। এ বার সেই সংস্থার তৈরি করা সেই জার্সি নিয়েই প্রবল বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। চিনের সঙ্গে এমনিতেই মতবিরোধ রয়েছে ভারতের। যার ফলে শেষমেশ লি নিংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে ভারত।
#FIRSTLOOK OF OFFICIAL TEAM INDIA TOKYO 2020 OLYMPIC KIT REVEALED!
Honourable Minister of State (I/C) for Youth Affairs and Sports Shri @KirenRijiju unveiled it today. Here are some glimpses of the jersey launch ceremony.#JeetengeOlympics @WeAreTeamIndia @RijijuOffice pic.twitter.com/1k2kBZgRWD
— SAIMedia (@Media_SAI) June 3, 2021
ভারতীয়দের চিনা দ্রব্য বর্জন করার কথা বরাবর বলা হয়ে থাকে। তা সত্ত্বেও অলিম্পিকের মত এত বড় ইভেন্টে ভারত কীভাবে ভারতীয় অ্যাথলিটদের পোশাক স্পনসর করার দায়িত্ব দিল এক চিনা সংস্থাকে? এই নিয়েই যত বিপত্তি। বিতর্ক যাতে চরম আকার ধারণ না করে, তার জন্য ইতিমধ্যেই সেই চিনা সংস্থাকে পোশাক তৈরির দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের কর্তা নরিন্দর বাত্রা ও মহাসচিব রাজীব মেহতা এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘আমরা আমাদের সমর্থকদের আবেগ সম্পর্কে অবগত। সেই জন্য আইওএ-র তরফ থেকে বর্তমান পোশাক প্রস্তুতকারক সংস্থার সঙ্গে আমরা চুক্তি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের অ্যাথলিট, কোচ, সাপোর্ট স্টাফদের পোশাকে কোনও স্পনসর থাকছে না।’’ আইওএ প্রধান নরিন্দর বলেছেন, “আমি কোনও সংস্থার বা কারও নাম নেব না, গণমাধ্যমসহ অন্যান্য সকল প্ল্যাটফর্ম থেকে সমালোচনা শুরু হওয়ার পরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। জনসাধারণের অনুভূতির কথা মাথায় রেখেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
চিনা স্পনসরকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হলেও, ইতিমধ্যেই ভারতীয় দলের নতুন স্পনসরের খোঁজ করতে শুরু করে দিয়েছেন কর্তারা। নরিন্দর বাত্রা বলেছেন, “আমাদের হাতে সীমিত সময় রয়েছে। ইতিমধ্যেই আমরা নতুন স্পনসর খোঁজার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছি। আমরা কারও ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চাই না। পারস্পরিক চুক্তির মাধ্যমে সবকিছু নির্ধারিত হবে।”
তিনি আরও বলেন, “এই মাসের শেষের মধ্যে আমাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যে, আমরা কোনও ব্র্যান্ড ছাড়াই থাকব কিনা। কারণ, পোশাক তৈরি আছেই। অ্যাথলিটদের হাতে আমাদের সেগুলি দ্রুত তুলে দিতে হবে।” সমর্থকদের আবেগের কথা ভেবেই চিনা প্রস্তুতকারকদের থেকে দায়িত্ব সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে ইতিমধ্যেই অন্যান্য সংস্থা স্পনসর হওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে।