Tokyo Olympics 2020: টোকিও গেমসে জিমন্যাস্টিক্সে বিচারক ভারতের দীপক
বিচারক হিসেবে আন্তর্জাতিক সাফল্য কিছু কম নেই কাবরার। ২০১০ সালের দিল্লি কমনওয়েলথ গেমসে সর্বকনিষ্ঠ বিচারক ছিলেন।
নয়াদিল্লি: এতদিন অ্যাথলিটই খুঁজে পাওয়া যেত না। দীপা কর্মকার, প্রণতি নায়েকরা সেই অভাব মেটাচ্ছেন। অলিম্পিকের জিমন্যাস্টিক্স ফ্লোরে আর এক অভিনব ঘটনার সাক্ষী থাকতে চলেছে ভারতীয় ক্রীড়ামহল। টোকিও গেমসের জিমন্যাস্টিকে বিচারক হয়ে যাচ্ছেন ভারতের দীপক কাবরা (Deepak Kabra)।
ছেলেদের আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টের বিচারক হিসেবে হাজির থাকবেন দীপক। আন্তর্জাতিক আঙিনায় এ এক বিরাট সাফল্য। কাবরা বলছেন, ‘সময়মতো অলিম্পিক হলে গতবছর টোকিওতেই আমার বিচারক হয়ে থাকার কথা ছিল। গত বছর মার্চ মাসে টোকিও যাওয়ার আমন্ত্রণও পেয়েছিলাম। কিন্তু করোনার কারণে পুরো পরিস্থিতি আবার বদলে যায়। আমার নিজের টেনশন ছিল। শেষ পর্যন্ত অলিম্পিকে যেতে পারব কিনা। তা যে ঘটছে এটাই আমার কাছে বিরাট প্রাপ্তি।’
কাবরা নিজেও জিমন্য়াস্ট ছিলেন। কিন্তু তেমন সম্ভাবনা দেখতে না পেয়ে বিচারক হয়ে গিয়েছিলেন। আর তাতেই সাফল্য পেলেন মহারাষ্ট্রের ছেলে। ৩৩ বছরের কাবরার ব্যাখ্যা, ‘জিমন্যাস্ট হিসেবে আমার শুরুটা অনেক দেরিতেই হয়েছিল। তাই দ্রুত বুঝতে পেরেছিলাম খুব বিরাট কিছু করা সম্ভব নয়। কিন্তু বিচারক হিসেবে খুব দ্রুত একটা জায়গায় পৌঁছতে পেরেছি। আমার কোচ কৌশিক বেদিওয়ালাও বিচারক ছিলেন। উনিই আমার প্রেরণা।’
বিচারক হিসেবে আন্তর্জাতিক সাফল্য কিছু কম নেই কাবরার। ২০১০ সালের দিল্লি কমনওয়েলথ গেমসে সর্বকনিষ্ঠ বিচারক ছিলেন। এশিয়ান গেমস যুব অলিম্পিক, বিশ্বকাপের মতো আসরে তাঁকে বিচারকের আসনে দেখা গিয়েছে। আপ্লুত কাবরা বলছেন, ‘বিচারক হিসেবে অলিম্পিকে পৌঁছতে আমার ১২টা বছর লাগল। এই ১২টা বছর যে কি করে পার করলাম, নিজেই জানি না।’
দীপা এ বার নেই। প্রণতি আছেন। আর থাকবেন দীপক কাবরা। পদক আসুক না আসুক, জিমন্যাস্টিক্সে আপাতত এটাই সাফল্য ভারতের।
আরও পড়ুন: Tokyo Olympics 2020: স্টেফি-সেরেনাদের বন্ধনীতে ঢুকতে চান বার্টি