Boris Becker: ওয়ান্ডসওয়ার্থ জেলের পরিবেশ ও খাবার নিয়ে বিপর্যস্ত বরিস বেকার

জেলের জীবন যে সহজ হবে না, তিনি বোধহয় বুঝতে পারেননি। এখন উপলব্ধী করতে পারছেন। ওয়ান্ডসওয়ার্থ জেলে রীতিমতো বিপর্যস্ত বরিস বেকার। কেন?

Boris Becker: ওয়ান্ডসওয়ার্থ জেলের পরিবেশ ও খাবার নিয়ে বিপর্যস্ত বরিস বেকার
Boris Becker: ওয়ান্ডসওয়ার্থ জেলের পরিবেশ ও খাবার নিয়ে বিপর্যস্ত বরিস বেকারImage Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 12, 2022 | 7:00 AM

লন্ডন: নোভাক জকোভিচ (Novak Djokovic) উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন কয়েক দিন আগেই। জেলের জীবন কতটা কঠিন, হয়তো আন্দাজ করেছিলেন। তাই বলেওছিলেন, ‘স্বাভাবিক’ জীবনে ফেরা কঠিন, তবু চান তাঁর এক সময়ের কোচ যেন সব কিছু পিছনে ফেলতে পারেন। তা কি সম্ভব হবে? বরিস বেকার (Boris Becker) হয়তো নিজেও নিশ্চিত নন। দিন দশ পার হতে না হতেই ওয়ান্ডসওয়ার্থ জেল (Wandsworth Prison) ক্রমশ কঠিন ঠাঁই হয়ে উঠছে তাঁর কাছে। সম্পত্তি লুকিয়ে নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করে বিপাকে পড়েছেন জার্মান টেনিস প্লেয়ার। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে লন্ডন কোর্টে। আড়াই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়েছে তাঁর। সঙ্গে ১ হাজার পাউন্ড জরিমানা। যে উইম্বলডন জিতে উত্থান হয়েছিল বেকারের, সেই অল ইংল্যান্ড টেনিস ক্লাব থেকে অনতিদূরে ওয়ান্ডসওয়ার্থ জেল। সেখানকার জীবন নিয়েই মহামুশকিলে পড়েছেন পাঁচটা গ্র্যান্ড স্লাম জেতা প্রাক্তন টেনিস প্লেয়ার।

জেল কখনওই বাইরের দুনিয়ার মতো নয়। সেটা বোধহয় শুরুতে বুঝতে পারেননি বেকার। প্রাক্তন এক নম্বর টেনিস প্লেয়ারকে আর একটি আলাদা সেলে রাখা হয়েছে। তিনি যতই নামকরা টেনিস প্লেয়ার হোন না কেন, তাঁকে সাধারণ বন্দিদের মতোই থাকতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে খাবারের মান ও পরিমাণ নিয়েও অভিযোগ রয়েছে তাঁর। ধুমপানে তীব্র আসক্তি রয়েছে। বেকার কিউবান সিগারেট পছন্দ করেন। ভালো মানে ওয়াইন, রেস্তোরাঁয় সময় কাটাতে ভালোবাসতেন তিনি। যা জেল জীবনে সম্ভব নয়। তাতেই আরও অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন বেকার।

জার্মান টেনিস প্লেয়ারের ঘনিষ্ঠ একজন বলছেন, ‘জেলে খুব খারাপ আছে বেকার। খাবার নিয়ে ভীষণ অসন্তুষ্ট। জেলের খাবার যে এতটা খারাপ হতে পারে, ওর ভাবনার বাইরে ছিল। তবে এটাও বুঝতে পারছে, এই পরিস্থিতির সঙ্গে ওকে মানিয়ে নিতে হবে। সেই সঙ্গে জেলে এত বেশি লোক যে, তার পরিবেশও খুব খারাপ। রীতিমতো দুষিয়ে রয়েছে। সব মিলিয়ে বেকার বেশ মুশকিলে পড়েছে।’ ৬ স্কোয়্যার মিটার একটি সেলে রাখা হয়েছে বেকারকে। রাত ৮টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত সেখানেই কাটে তাঁর। সেই সেলের পরিবেশ ও পরিস্থিতিও যে খুব একটা ভালো, তাও বলা যাবে না। সব মিলিয়ে বেকার যে বেশ চাপে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।