Virender Singh: মারা গেলেন সাতের দশকে হকির সেরা রাইটহাফ বীরেন্দ্র সিং
হকি থেকে অবসর নেওয়ার পর শেষ দিন পর্যন্ত কোচিংয়ে ব্যস্ত রেখেছিলেন নিজেকে। বীরেন্দ্র সিংয়ের মৃত্যুতে শোকের ছায়া ভারতীয় হকিতে।
জলন্ধর: সাতের দশকে অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার ধরা হত তাঁকে। কৃষ্ণমূর্তি পেরুমল আর তাঁর জুটি বেশ সাড়া ফেলেছিল আন্তর্জাতিক হকিতে (Indian Hockey)। বিপক্ষ শিবিরে হানা দেওয়া, খেলা তৈরি করা, গোল করা, সব স্কিলই ছিল তাঁর স্টিকে। সেই বীরেন্দ্র সিং (Virender Singh) মঙ্গলবার সকালে জলন্ধরে নিজের বাড়িতে মারা গেলেন। বয়স হয়েছিল ৭৫। হকি থেকে অবসর নেওয়ার পর শেষ দিন পর্যন্ত কোচিংয়ে ব্যস্ত রেখেছিলেন নিজেকে। হকির পাশাপাশি সব মহলের ক্রীড়াবিদের কাছেও জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। বীরেন্দ্রর মৃত্যুতে শোকের ছায়া ভারতীয় হকিতে।
হকি প্লেয়ার হিসেবে সাফল্য কম পাননি বীরেন্দ্র। রাইট হাফ হিসেবে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন। হকির সোনালি যুগে সাফল্য়ও কম আসেনি তাঁদের হাত ধরে। ১৯৭২ সালে মিউনিখ অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ পাওয়া ভারতীয় টিমের অন্যতম সদস্য ছিলেন। ১৯৭৩ সালে রুপো এসেছিল বিশ্বকাপ থেকে। সেই টিমেও ছিলেন বীরেন্দ্র। ১৯৭৫ সালে সেরা সাফল্য পায় বিশ্বকাপে। সোনাজয়ী ভারতীয় টিমের সদস্য ছিলেন তিনি। ঘটনা হল, সেই প্রথম এবং সেই শেষবার বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। পাকিস্তানকে ফাইনালে হারিয়ে বিশ্বকাপ জেতা এখনও স্মৃতি হয়ে রয়েছে খেলার জগতে। সেই কারণেই আরও বেশি করে মনে থেকে গিয়েছেন বীরেন্দ্র। ১৯৭৬ সালে মন্ট্রিল অলিম্পিকেও ভারতীয় টিমে ছিলেন তিনি। ১৯৭৪ সালে ও ১৯৭৮ সালে এশিয়ান গেমসেও জিতেছেন রুপো।
সুরজিৎ হকি অ্যাকাডেমির কোচ অবতার সিং বলেছেন, ‘ভারতের পাশাপাশি পঞ্জাব হকির বিরাট ক্ষতি হল ওঁর মৃত্যুতে। বীরেন্দ্র সিং ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা রাইটহাফ ছিলেন। সাতের দশকে কৃষ্ণমূর্তি পেরুমলের সঙ্গে ওঁর জুটি নিয়ে আজও আলোচনা হয়। অবসর নেওয়ার পর কোচিংয়ে চলে এসেছিলেন। পঞ্জাব অ্যান্ড সিন্ধ ব্যাঙ্কের কোচ হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন আট বছর। পঞ্জাব স্পোর্টস ডিপার্টমেন্টের কোচ ছিলেন ২০০৮ সাল পর্যন্ত। গত বছর একটা ব্যক্তিগত অ্যাকাডেমিতে কোচ হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন।’