SIMONE BILES: ‘মন খুলে বলো, আমি ভালো নেই’, বার্তা বাইলসের

টোকিওতে (Tokyo Paralympics 2020) বাইলসই ছিলেন এক নম্বর তারকা। কিন্তু তাঁর নিজেকে ফ্লোর (Floor Event) থেকে সরিয়ে নেওয়া ব্যাপক হইচই ফেলে দেয়। একের পর এক ইভেন্ট থেকে নাম তোলার পর ব্যালান্সে (Balance Beam) নামেন। ওই ইভেন্ট থেকে ব্রোঞ্জ পান।

SIMONE BILES: 'মন খুলে বলো, আমি ভালো নেই', বার্তা বাইলসের
সিমোনে বাইলসের বার্তা। ছবি: টুইটার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 31, 2021 | 2:10 PM

লস অ্যাঞ্জেলিস: সিমোনে বাইলসের (Simone Biles) যে মানসিক অসুস্থতা নিয়ে তীব্র হইচই পড়ে গিয়েছিল টোকিও গেমসে (Tokyo Olympics 2020), তা শুরুই হয়েছিল অলিম্পিকের আগে। মানসিক অসুস্থতা নিয়েই টোকিওতে পা দিয়েছিলেন আমেরিকান জিমন্যাস্ট (USA Gymnast)। মানসিক সমস্যার কারণেই একের পর এক ইভেন্ট থেকে নাম তুলে নিয়েছিলেন বাইলস। তাঁকে ঘিরে তৈরি হয়েছিল নানা আশঙ্কা।

মায়ের সঙ্গে এক ভিডিও বাক্যালাপ প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে তিনি বলেছেন, ‘টোকিও নয়, তার অনেক আগে থেকেই এই সমস্যা তৈরি হয়েছিল। যে গভীর ভাবে ছাপ ফেলতে শুরু করেছিল। মানসিক চাপ থেকে এটা তৈরি হয়েছিল। যা বাড়তে বাড়তে এই জায়গা পৌঁছয়। যে কারণে আমার মন আর শরীর একসঙ্গে না বলেছিল। কিন্তু শুরুতে আমি বুঝতেই পারিনি যে, এই রকম একটা সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি।’

টোকিওতে (Tokyo Paralympics 2020) বাইলসই ছিলেন এক নম্বর তারকা। কিন্তু তাঁর নিজেকে ফ্লোর (Floor Event) থেকে সরিয়ে নেওয়া ব্যাপক হইচই ফেলে দেয়। একের পর এক ইভেন্ট থেকে নাম তোলার পর ব্যালান্সে (Balance Beam) নামেন। ওই ইভেন্ট থেকে ব্রোঞ্জ পান।

আরও পড়ুন: IPL 2022: দল কিনতে অন্তত ২ হাজার কোটি

মানসিক সমস্যায় পড়েই নিজেকে ইভেন্টগুলো থেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন জিমন্যাস্ট। তাঁর মনে হয়েছিল, সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিজের সেরাটাই যখন দিতে পারবেন না, তখন আর লড়াই করে লাভ নেই। বাইলসের কথায়, ‘পাঁচটা বছর ধরে টানা ট্রেনিং করেছি। কিন্তু আমি যা চাইছিলাম, সে ভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারিনি। খুব ভালো করে জানি, আমিই অনেককে শিখিয়েছি, যদি মানসিক অবস্থা ভালো না থাকে তা হলে ‘না’ বলতে। কিন্তু নিজেই ওই পরিস্থিতি থেকে বেরোতে পারিনি। খুব ভালো করে জানতাম, এতে আমি নিজেকেই সবচেয়ে বেশি আঘাত করছি।’

মানসিক অবসাদ থেকে বেরিয়ে আসা যে খুব কঠিন, ভালো করেই জানেন বাইলস (Simone Biles)। তাই তাঁর বার্তা, ‘আমি খুব ভালো করে জানি, নিজের মনের অবস্থা বোঝানোটা কতটা কঠিন। অধিকাংশ সময় মানুষ ভ.য় পেয়ে যায়। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে এটা বুঝতে পেরেছি, আমি যে ভালো নেই, সেটা মন খুলে বলা উচিত।’