TOKYO OLYMPICS 2020 : বক্সিং শুরুর মাত্র ৯ বছর আগে, চমক বিহুর দেশের মেয়ের

অসম থেকে প্রথম মহিলা বক্সার হিসেবে ভারতীয় বক্সিংয়ের মূলস্রোতে প্রথমে আসা। সেখান থেকে পদক জয়। শিবা থাপার পর অসমের দ্বিতীয় বক্সার হিসেবে অলিম্পিকের মঞ্চে।

TOKYO OLYMPICS 2020 : বক্সিং শুরুর মাত্র ৯ বছর আগে, চমক বিহুর দেশের মেয়ের
জয়ের পরের মুহূর্তে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 30, 2021 | 12:36 PM

টোকিওঃ ২০১২ সাল। লন্ডন অলিম্পিকে প্রথম মহিলা বক্সার হিসেবে পদক জিতেছিলেন মেরি কম। গোটা ভারত যখন মেরির সাফল্যে উদ্বেলিত, তখন অসমের গোলাঘাট জেলায় এক ভবিষ্যতের চ্যাম্পিয়নের প্রথম পাঠ শুরু হয় বক্সিংয়ের। অসমের পিছিয়ে থাকায় এলাকায় আর্থিক অনটনের মধ্যে বক্সিংকে আঁকড়ে বেঁচে থাকতে চাইছিলেন লভলিনা বোরগোহিন। ১৪ বছর বয়সে নজরে পড়েন অসমের বিখ্যাত বক্সিং কোচ পাদুম বোরোর। সেখান থেকে আজ অলিম্পিকে পদক। আসুন দেখে নিই কেমন ছিল পদকজয়ী লভলিনার রূপকথার সফর দেখে নিই এবার।

পারিবারিকভাবে আর্থিক অনটনের মধ্যে বড় হয়েছেন। বাবার ছোট ব্যবসা অসমের গোলাঘাটেই। ছোটবেলা থেকেই দেখতেন দুই বড় দিদি লিচা ও লিমা কিকবক্সিংয়ে মেতে থাকতেন। জাতীয় স্তর পর্যন্ত খেলেওছেন তাঁরা। তখন থেকেই মনে মনে পুষে রেখেছিলেন একদিন দিদিদের মত বক্সার হবেন। তবে আর্থিক অনটনের কারনে দুই দিদির কিক বক্সিং নিয়ে আর এগোনো হয়নি। চোখের সামনে স্বপ্নগুলো তখন ধূসর হচ্ছে লভলিনা। এরপরেই হল মোড় ঘোরানো সেই ঘটনা। লন্ডন অলিম্পিকে পদক জিতলেন মেরি কম। দমে যাওয়া ইচ্ছাশক্তি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিল লভলিনার। ঠিক সেই সময়ই অসমে সাইয়ের পক্ষ থেকে বারপাথা গার্লস হাইস্কুলে ট্রায়ালের ব্যবস্থা করা হয়। ট্রায়ালে অসমের বিখ্যাত বক্সিং কোচ পাদুম বোরোর নজরে পড়েন তিনি। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।

মাত্র ছ বছর বক্সিংয়ের শিক্ষা। তার মধ্যে ২০১৮ সালে কমনওয়েলথ গেমসে ডাক পান লভলিনা। তবে আশাহত করেন তিনি। ওয়েল্টারওয়েট বিভাগে স্যান্ডি রায়ানের কাছে হার কোয়ার্টার ফাইনালে। স্যান্ডি রায়ানই জেতেন কমনওয়েলথ গেমসে সোনা। কমনওয়েলথ গেমসের আগে অবশ্য ভারতীয় বক্সিংয়ে নজর কাড়তে শুরু করেছিলেন লভলিনা।২০১৮ সালে ফেব্রুয়ারিতেই আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট ইন্ডা ওপেনে সোনা জেতেন লভলিনা। তার আগের বছরেই আন্তর্জাতিক মঞ্চে নজর কাড়তে শুরু করেছিলেন তিনি। ২০১৭ সালের নভেম্বরে এশিয়ান বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন লভলিনা।প্রেসিডেন্ট কাপেও জিতেছিলেন ব্রোঞ্জ।

এরপর বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ। ২০১৮ ও ২০১৯ সাল-পরপর দুবছর ব্রোঞ্জ জয়। এরপর ২০১৯ সালে অলিম্পিকের যোগ্যতা অর্জন। আর সেখান থেকে শনিবাসরীয় ভারতীয় সময় সকালে ব্রোঞ্জ পদক নিশ্চিত করা। লভলিনার রূপকথার সফর। অসম থেকে প্রথম মহিলা বক্সার হিসেবে ভারতীয় বক্সিংয়ের মূলস্রোতে প্রথমে আসা। সেখান থেকে পদক জয়। শিবা থাপার পর অসমের দ্বিতীয় বক্সার হিসেবে অলিম্পিকের মঞ্চে। এবার কি সেমিফাইনাল জিতে পদকের রং বদলাতে পারবেন লভলিনা? স্বপ্ন দেখার শুরু।

অলিম্পিকের আরও খবর পড়তে ক্লিক করুনঃ টোকিও অলিম্পিক ২০২০