টোকিও অলিম্পিকে ‘গেম-চেঞ্জিং’ ড্রাগ টেস্টের পরীক্ষা
ওয়াডার (WADA) অ্যান্টি ডোপিং নজরদারি বোর্ড ও এক্সিকিউটিভ কমিটি এক ভার্চুয়াল মিটিংয়ে এই নতুন পদ্ধতির কথা তুলে ধরেছেন।
মন্ট্রিল: টোকিও অলিম্পিকে (Tokyo Olympics) এক নতুন পরীক্ষা করতে চলেছে বিশ্ব ডোপ বিরোধী সংস্থা (World Anti-Doping Agency)। ডোপিং টেস্টে (Doping Test) বাড়তি নজর দেওয়ার জন্য অভিনব পন্থা চালু করতে চলেছে ওয়াডা। শুক্রবার তাদের তরফে জানানো হয়েছে, অ্যাথলিটদে শুকনো রক্ত দিয়ে এই ট্রায়াল পরীক্ষাটি করা হবে। এই পরীক্ষায় উঠে আসবে, কোনও অ্যাথলিট মাদক নিয়ে প্রতারণা করছেন কিনা। ওয়াডার এই নতুন পদ্ধতি বিশেষ কার্যকরী হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
ওয়াডার (WADA) অ্যান্টি ডোপিং নজরদারি বোর্ড ও এক্সিকিউটিভ কমিটি এক ভার্চুয়াল মিটিংয়ে এই নতুন পদ্ধতির কথা তুলে ধরেছেন। ওয়াডার প্রেসিডেন্ট উইটোল্ড বাঙ্কা বলেছেন, “বর্তমান যে অ্যান্টি ডোপিং পদ্ধতিটি রয়েছে তাকে আরও সমৃদ্ধ করবে এই নতুন পদ্ধতিটি।”
শুকনো রক্ত স্পট টেস্টিং (dried blood spot testing) কী? এই পরীক্ষায় আঙুলের একটি অংশ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হবে। এবং একটি শোষণকারী কার্ডের উপরে আটকে দেওয়া হয়। ওয়াডার প্রেসিডেন্ট বাঙ্কা জানিয়েছেন, এই পরীক্ষাটি অ্যান্টি ডোপিংয়ের ক্ষেত্রে একটি নতুন যুগ হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে, ভবিষ্যতেও অনেক অ্যাথলিটদের ওপর এই পরীক্ষা চালানো যেতে পারে।
বাঙ্কা আরও বলেছেন, “আমার মনে হয় এই পরীক্ষাটি অ্যাথলিট ও অ্যান্টি ডোপিং সংস্থা উভয়ের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে এবং ইতিবাচক প্রভাব ফেলার সম্ভাবনা রয়েছে। আমি সত্যিই বিশ্বাস করি যে, এটি অ্যান্টি ডোপিংয়ের ক্ষেত্রে সত্যিকারের গেম-চেঞ্জার হতে পারে।” ওয়াডার তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, আসন্ন টোকিও অলিম্পিকে নতুন পদ্ধতিটি চালু করা হবে। পরীক্ষকরা আশা করছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে বেজিংয়ের শীতকালীন অলিম্পিক এবং প্যারালিম্পিক গেমসের মধ্যেও এটি ব্যবহার করা হবে।
ওয়াডার প্রধান বিজ্ঞানী অলিভিয়ের রবিন জানিয়েছেন, শুকনো রক্ত স্পট নমুনা সংগ্রহ করা বেশ সাশ্রয়ের। তিনি বলেছেন, “আমরা বর্তমানে যে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করি, তা শিশিতে নিয়ে যাই। কিন্তু এ বার এক টুকরো কাগজেই কাজ শেষ হয়ে যাবে। নমুনাগুলির সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে এ বার সাশ্রয় হবে, কারণ যে পরিমাণ রক্ত সংরক্ষণ করা দরকার তা আগের থেকে অনেকটাই কম।”
আরও পড়ুন: আইপিএলের বায়ো-বাবল নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন ঋদ্ধির