Mario-র জন্য আলাদা দিন উদযাপিত হলেও তার নাম প্রথমে Mario ছিল না, জনপ্রিয় গেমিং চরিত্র সম্পর্কে 10 অজানা তথ্য
Mario Fun Facts: মারিও গেমটি খেলেননি, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। কিন্তু মারিও সম্পর্কে অনেকেই কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানেন না। সেগুলিই একনজরে দেখে নেওয়া যাক।
Mario Unknown Facts: গেম খেলতে ভালবাসেন অথচ কখনও Super Mario গেমটি খেলেননি, তা হতে পারে না। আর যাঁরা এই গেমটি খেলেছেন, তাঁরা নিশ্চয়ই নতুন Super Mario Bros সিনেমাটি নিয়ে খুবই উত্তেজিত? গত 7 এপ্রিল নতুন Super Mario Bros সিনেমাটি রিলিজ় করে গিয়েছে। গেমের মতোই সিনেমার বিষয়বস্তুও মারিও বাউসার – ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রধান প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে স্কোয়ার অফ করার জন্য প্রস্তুত হওয়ার বিষয় নিয়ে। গেমের বেশিরভাগ চরিত্রই জায়গা করে নিয়েছে সিনেমায়। কিন্তু আপনি সুপার মারিও সম্পর্কে কতটা জানেন? এই গেম সম্পর্কে অজানা 10 তথ্য এখনই জেনে নিন।
1) Mario-র নাম প্রথমে মারিও ছিল না
এই গেমের আসল নাম কিন্তু Mario নয়। গেমের আসল নাম Jumpman। একাধিক বাধা অতিক্রম করার পরে গেমের নাম হয়েছে Mario। ঠিক যে জায়গায় Nintendo of America অবস্থিত ছিল, সেই বিল্ডিংয়ের মালিকের নাম ছিল মারিও সিগ্যাল। সেখান থেকেই গেমের নাম হয় মারিও।
2) Super Mario Bros প্রথম গেম ছিল না, যা Mario ফিচার করেছিল
Super Mario Bros গেম থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মারিও জনপ্রিয় হয়েছিল। কিন্তু, এটাই প্রথম গেম নয়, যেখানে মারিও ফিচার করেছিল। 1981 সালে প্রথম বার Mario চরিত্রটি একটি গেমে হাজির হয়েছিল, যার নাম Donkey Kong। সেখানে মারিও চরিত্রটির নাম ছিল জাম্পম্যান।
3) Super Mario Bros-এর সিক্যোয়েল প্রথমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রিলিজ় করেনি
ওরিজিনাল Super Mario গেমটি জনপ্রিয় হওয়ার পরই Nintendo খুব দ্রুততার সঙ্গে তার সিক্যোয়েল Super Mario Bros. 2 নিয়ে আসে। তবে সংস্থার মার্কিন ডিভিশন তা পাবলিশ করার সিদ্ধান্ত নেয়নি। কারণ, এটি তার প্লেয়ার বেসের জন্য খুবই কঠিন ছিল এবং আসলের সঙ্গে অনেক মিল ছিল বলেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
4) Mario-র নিজস্ব থিম পার্ক রয়েছে
2021 সালের মার্চ মাসে Mario থিমের অ্যামিউজ়মেন্ট পার্ক খোলা হয় জাপানে, যার নাম Super Nintendo World। এই পার্কে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের রাইড এবং মারিও ইউনিভার্সের উপরে নির্ভর করে একাধিক আকর্ষণ এবং রিয়্যাল-লাইফ মারিও কার্ট রেসিং এক্সপিরিয়েন্স।
5) প্রায় 250-রও বেশি গেমে দেখা গিয়েছে
প্রায় 250টারও বেশি ভিডিয়ো গেমে মারিওকে দেখা গিয়েছে। NES থেকে শুরু কররে গেম বয়, Nintendo 64, গেমকিউব এবং Nintendo Switch-এর মতো একাধিক প্ল্যাটফর্মে দেখা গিয়েছে গেমটিতে।
6) Mario প্রথম কোনও ভিডিয়ো গেম চরিত্র, যাকে নিয়ে ছবি হল
1993 সালে একটি লাইভ-অ্যাকশন মুভি তৈরি হয়েছিল Super Mario Bros-এর উপরে ভিত্তি করে। সেই ছবি যদিও সমালোক এবং দর্শক মহলে সে ভাবে সমাদৃত হয়নি।
7) Mario-র একটি নিজস্ব দিবস রয়েছে
Mario-র একটা নিজস্ব দিন রয়েছে, যাকে Mario Day বলা হয়। প্রতি বছর 10 মার্চ এই দিন পালিত হয়। 10th মার্চ (Mar10) এর সংক্ষিপ্ত রূপটি লেখার সময় মারিও নামের মতো দেখায় বলেই এই দিনটি বেছে নেওয়া হয়েছিল।
8) Mario-র 12টিরও বেশি পেশা রয়েছে
মারিও পৃথিবীর সবচেয়ে প্রতিভাবান পুরুষদের একজন, যার 12টিরও বেশি পেশা রয়েছে। যদিও তাদের মধ্যে মাত্র 7টিই আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃত। প্লাম্বার, ডাক্তার, রেসার, মার্শাল আর্টিস্ট, পেশাদার বেসবল প্লেয়ার, সকার প্লেয়ার এবং বাস্কেটবল প্লেয়ার, মারিওর এই সব পেশাগুলি সরকারিভাবে স্বীকৃত।
9) Mario-র নেমেসিস হওয়ার কথা ছিল একটি ষাঁড়ের
মারিও-র স্রষ্টা যদি তার আসল ধারণা অনুসরণ করতেন, তাহলে খুব বেশি শত্রুর মুখোমুখি হতে পারতেন। আলাকাজাম দ্য গ্রেট নামে একটি কার্টুন দ্বারা অনুপ্রাণিত মিয়ামোতো, একটি ষাঁড়কে মারিওর সবচেয়ে বড় শত্রু বানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার সহকর্মী তেজুকা পরিবর্তে একটি কচ্ছপের পরামর্শ দেন এবং তাঁরা দুষ্ট কুপা রাজা বাউসারকে তৈরি করতে একসঙ্গে কাজ করে।
10) Mario ভাইরা আসলে যমজ
তাদের উচ্চতা এবং আচরণের পার্থক্য আপনাকে ভাবাতে পারে যে মারিও এবং লুইগি কেবলই ভাই। তাঁদের বয়সেরও অনেক পার্থক্য রয়েছে। কিন্তু তা নয়। মারিও ফ্র্যাঞ্চাইজি ইয়োশি’স আইল্যান্ড থেকে 1995 সালের প্ল্যাটফর্ম গেমের বর্ণনা অনুযায়ী, দুজনই আসলে যমজ। খেলাতেই যমজ বাচ্চাদের আলাদা হওয়ার আগে তাদের পিতামাতার কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। এরপর ইয়োশি তার ভাই লুইগির সঙ্গে শিশু মারিওকে পুনরায় একত্রিত করার জন্য একটি অনুসন্ধানে যায়।