Type-C Charger: ল্যাপটপ থেকে স্মার্টফোন, চার্জ হবে শুধু Type C চার্জারে, বাঁচবে খরচও
USB TYPE-C Uses: অনলাইন কমিউনিটি প্ল্যাটফর্ম LocalCircles-এর একটি রিপোর্ট অনুসারে, 10 জনের মধ্যে সাতজন গ্রাহক বিশ্বাস করেন যে, বিভিন্ন ডিভাইসের জন্য বিভিন্ন চার্জার প্রয়োজন নেই। সব কিছুর জন্য একটাই চার্জার যথেষ্ট।
USB TYPE-C Charger: বর্তমানে বেশিরভাগ মোবাইলেই USB টাইপ-সি (Type-C) পোর্ট ব্যবহার করা হয়। তাও এমনও অনেক ফোন আছে, যেগুলিতে Type-B চার্জার রয়েছ। কিন্তু 2025 সালের মার্চের মধ্যে স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেটের মতো ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলির জন্য স্ট্যান্ডার্ড চার্জিং পোর্ট হিসাবে USB Type-C ব্যবহার করা হবে। এমনকি সব কিছুর জন্যই এই এক ধরনেরই চার্জার থাকবে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই পরিকল্পনাকে দেশের 90 শতাংশ ব্যবহারকারীরা সমর্থন জানিয়েছে। এই সমর্থনের আরও একটি বিরাট কারণ হল খরচা বাঁচানো। কারণ যখনই সব ডিভাইসের জন্য একটাই চার্জার ব্যবহার করা হবে, তখন খরচও কমবে। অনলাইন কমিউনিটি প্ল্যাটফর্ম LocalCircles-এর একটি রিপোর্ট অনুসারে, 10 জনের মধ্যে সাতজন গ্রাহক বিশ্বাস করেন যে, বিভিন্ন ডিভাইসের জন্য বিভিন্ন চার্জার প্রয়োজন নেই। সব কিছুর জন্য একটাই চার্জার যথেষ্ট। এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পিছনে অনেক কারণ আছে।
ই-বর্জ্য কমবে:
প্রতিবেদন অনুসারে, মাত্র ছয় শতাংশ গ্রাহক বলেছেন যে, বর্তমানের এই চার্জারের সিস্টেমটি ঠিক আছে। বিভিন্ন স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেট, ল্যাপটপের বিভিন্ন চার্জিং কেবল রয়েছে, তেমন থাকলে কোনও আপত্তি নেই। ভারতে শীঘ্রই ই-বর্জ্য কমাতে প্রতি পরিবারে চার্জারের সংখ্যা কমানো প্রয়োজন। কারণ বর্তমানে মানুষের কাছে ডিভাইসের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আর তার জন্য বাড়ছে চার্জারের সংখ্যাও। এই চার্জারের সংখ্যা কমাতে এই উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইতিমধ্যে 2025 সালের জুনের মধ্যে এই ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এতে বাজারের উপরও বিরাট প্রভাব পড়বে:
বর্তমানে অনেক স্মার্টফোনের সঙ্গেই চার্জার দেওয়া হয় না। ফলে মানুষকে আলাদা করে চার্জার কিনতে হয়। আর বাজারে কোম্পানির চার্জারগুলোর অনেক দামও হয়। আবার আলাদা-আলাদা ডিভাইসের জন্য আলাদা-আলাদা চার্জার কিনতে হয়। এতে অনেক খরচ বাড়ে। বিক্রেতাদের জন্য তা বেশ ভাল ব্যাপার। এমনকি বাজারেও এর ভাল প্রভাব পড়ে। কিন্তু যখনই একটি চার্জার হয়ে যাবে, তখনই বাজারে খারাপ প্রভাব পড়তে শুরু করবে। তবে দেশে ই-বর্জ্য কমাতে গেলে এই পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।