লাল গ্রহে সেলফিতে মজেছে নাসার মঙ্গলযান! সঙ্গী কে?
নাসার মিনি হেলিকপ্টার ইতোমধ্যেই লাল গ্রহের মাটি ছুঁয়েছে। সব ঠিক থাকলে আগামী ১১ এপ্রিল প্রথম উড়ানের শুরু করবে এই Ingenuity কপ্টার।
রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষার পর মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার পারসিভের্যান্স রোভার লাল গ্রহে সফল অবতরণ করেছে একমাস আগে। মঙ্গলে প্রাণের হদিস পেতে এই অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় যানটি গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। পৃথিবীর বুকে পাঠিয়েছে অজানা তথ্যসমৃদ্ধ কয়েকটি ছবিও। এবার যে ছবি বিজ্ঞানীদের হাতে এসেছে তা রোমাঞ্চকর তো বটেই, বিরলও। পারসিভের্যান্সের নয়া সঙ্গী ইনজেনুইটি হেলিকপ্টারকে নিয়ে সেলফির একটি ছবি প্রকাশ করেছে নাসা।
আরও পড়ুন: রোভার পারসিভের্যান্স থেকে মঙ্গলের বুকে নেমেছে নাসার Ingenuity মিনি-হেলিকপ্টার
মার্কিন মহাকাশ সংস্থাটি টুইটে লিখেছে, ‘দুটি বোটস, একটি সেলফি। জেজিরো ক্রেটার থেকে, এই মিশনের আমার তোলা প্রথম সেলফি। কয়েকদিনের মধ্যে প্রথম উড়ানের জন্য প্রস্তুতি নিতে এই #MarsHelicopter ইনজেনুইটির কৌতূহল লক্ষ করছি। সত্যিই শক্তিশালী একটি যন্ত্র এটি।’ রোভারের ওয়াটসন (Wide Angle Topographic Sensor for Operations and Engineering) ক্যামেরা থেকে তোলা ওই ছবি ঘিরে শুরু হয়েছে নানান চর্চা।
আরও পড়ুন: সত্যিই কি রামধনু দেখা গিয়েছে মঙ্গল গ্রহে! কী বলছে নাসা?
Two bots, one selfie. Greetings from Jezero Crater, where I’ve taken my first selfie of the mission. I’m also watching the #MarsHelicopter Ingenuity as it gets ready for its first flight in a few days. Daring mighty things indeed.
Images: https://t.co/owLX2LaK52 pic.twitter.com/rTxDNK69rs
— NASA’s Perseverance Mars Rover (@NASAPersevere) April 7, 2021
নাসার Jet Propulsion Laboratory থেকে জানানো হয়েছে, ওই সেলফি ছবিটি রোভারের তোলা ৬২টি আলাদা আলাদা ছবিকে যোগ করে পাঠানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, পারসিভের্যান্স রোভারের পেটের মধ্যেই রাখা ছিল অত্যাধুনিক হেলিকপ্টারটি। সম্প্রতি সেটি মিশনের জন্য লাল গ্রহের বুকে গবেষণা চালাচ্ছে। মঙ্গলের আকাশে এই মার্স হেলিকপ্টারটি ওড়ানোর প্রস্তুতি শুরু করেছে নাসা। আগামী ১১ এপ্রিল আকাশে ওড়ানোর তোড়জোড় শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে। নাসার কথায়, পৃথিবী মাটির মাধ্যাকর্ষণের চেয়ে মঙ্গলের মাধ্যাকর্ষণে কপ্টার ওড়ানো বেশি কঠিন। পৃথিবীর এক-তৃতীয়াংশ মাধ্যাকর্ষণ শক্তি রয়েছে মঙ্গলের। তাছাড়া বায়ুমণ্ডলের চাপও অনেক কম। এই কঠিন পরিস্থিতিকে মোকাবিলা করে ইনজেনুইটি যদি আকাশে উড়ে গবেষণা চালাতে পারে, তাহলে মহাকাশবিজ্ঞানে এক মাইলফলক সৃষ্টি করবে নাসা।