মঙ্গল গ্রহে ‘ডাস্ট ডেভিল’- এর হদিশ পেল রোভার পারসিভের্যান্স
২০২০ সালের ৩০ জুলাই আমেরিকার ফ্লোরিডার কেপ কানাভেরাল এয়ার ফোর্স স্টেশন থেকে থেকে অ্যাটলাস ফাইভ লঞ্চ ভেহিকেলে মঙ্গলে পাড়ি দেয় ‘পারসিভের্যান্স’। ৬ মাস ১৮ দিন পর সেই ‘পারসিভের্যান্স’ নামে মঙ্গলের মাটিতে।
মঙ্গল গ্রহের বুকে অভিযান চালাচ্ছে রোভার পারসিভের্যান্স। প্রাণের সন্ধান চালাচ্ছে এই রোভার। আর এই অভিযানের সময়েই ‘ডাস্ট ডেভিল’ খুঁজে পেয়েছে পারসিভের্যান্স। সেই ছবিই নাসার তরফে শেয়ার করা হয়েছে টুইটে। জুম ভার্সানের ছবি দেখে বোঝা যাচ্ছে মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠদেশে ছড়িয়ে রয়েছে বিভিন্ন বোল্ডার টাইপ জিনিস। রোভার জানিয়েছে, ডানদিকে থেকে বাঁদিকে অগ্রসর হওয়ার সময়ে এই ডাস্ট ডেভিল চক্রাকারে ধুলো (whirlwinds) উড়িয়ে নিয়ে যায়।
কিছুদিন আগেই রোভারে থাকা সুপার ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠদেশের একটি ছবি। এছাড়াও একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছিল রোভার। সেই ভিডিয়োতে শোনা গিয়েছিল শব্দও। মঙ্গলের বুকে লেসার স্ট্রাইকের ফলে ওই ট্যাপিং- এর শব্দ শোনা গিয়েছে বলে জানিয়েছিল নাসা। লাল গ্রহে রোভার ল্যান্ডিংয়ের পর এই প্রথম কোনও শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন পৃথিবীর বাসিন্দারা। টুইটে ভিডিয়ো শেয়ার করে নাসার তরফে জানানো হয়, এই রিদমিক ট্যাপিং সাউন্ড আসলে সুপারক্যামে থাকা মাইক্রোফোনের সাহায্যে শোনা গিয়েছে। এই শব্দের সাহায্যেই রোভারের চারপাশে থাকা পাথরের গঠন কেমন সেটা বোঝা যাবে।
See the zoomed-in view of this dust devil on Mars. pic.twitter.com/4ILDqoejZ8
— NASA's Perseverance Mars Rover (@NASAPersevere) March 16, 2021
জানা গিয়েছে, গত ২ মার্চ এই অ্যাকোয়াস্টিক রেকর্ডিং হয়েছিল। পারসিভের্যান্সের সুপারক্যামে থাকা মাইক্রোফোনে ধরা পড়েছি লেসার স্ট্রাইকের শব্দ। ৩০টি ট্যাপিং ইমপ্যাক্ট শোনা গিয়েছে ওই রেকর্ডিংয়ে। কয়েকটা ট্যাপিং বাকিগুলোর থেকে সামান্য জোরে শোনা গিয়েছে। এই ভ্যারিয়েশনের সাহায্যেই রোভারের আশপাশে থাকা পাথুরে গঠনের আসল স্ট্রাকচার বোঝা সম্ভব। এমনকি গবেষণার মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা সেখানকার আবহাওয়া সম্পর্কেও হয়তো কিছু ধারণা করতে পারবেন।
২০২০ সালের ৩০ জুলাই আমেরিকার ফ্লোরিডার কেপ কানাভেরাল এয়ার ফোর্স স্টেশন থেকে থেকে অ্যাটলাস ফাইভ লঞ্চ ভেহিকেলে মঙ্গলে পাড়ি দেয় ‘পারসিভের্যান্স’। ৬ মাস ১৮ দিন পর সেই ‘পারসিভের্যান্স’ নামে মঙ্গলের মাটিতে। অনেকদিন ধরেই মঙ্গলগ্রহে প্রাণ ও জলের হদিশ চালাচ্ছিল নাসা। সেই জন্যই পাঠানো হয়েছে এই রোভার।এই অভিযানে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল রোভারের ল্যান্ডিং বা নিখুঁত অবতরণ হওয়া। কারণ মঙ্গল পৃষ্ঠে সঠিকভাবে রোভার অবতরণ করলে তবেই স্যাম্পেল সংগ্রহ করা সম্ভব হবে। রোভারের নিখুঁত অবতরণ এবং সঠিকভাবে স্যাম্পেল সংগ্রহ করে পৃথিবীতে ফিরে আসা, এই গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে, তবেই সফল হবে অভিযান।