Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Drone Saves Life: প্রাণঘাতী নয়, সুইডেনে হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীর ‘প্রাণ বাঁচাল’ ড্রোন!

যুদ্ধক্ষেত্রে সেনার প্রাণ কেড়ে শিরোনামে থাকা ড্রোনই এবার প্রাণ বাঁচিয়ে শিরোনামে। গত ডিসেম্বরে বাড়ির সামনে থেকে তুষারস্তুপ পরিষ্কার করতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হন সুইডেনের সেই ৭১ বছরের বৃদ্ধ। তাঁর প্রাণ বাঁচাতে ডিফিব্রিলেটর উড়িয়ে নিয়ে এসেছিল একটি ড্রোন।

Drone Saves Life: প্রাণঘাতী নয়, সুইডেনে হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীর 'প্রাণ বাঁচাল' ড্রোন!
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 06, 2022 | 11:28 PM

ড্রোন মানেই হামলা নয়। আর ড্রোন মানেই নজরদারি নয়। সেই কথাটাই আরও এক বার ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়ে সুইডেনের এক হৃদরোগে আক্রান্ত বৃদ্ধের প্রাণ বাঁচাল একটি ড্রোন। যুদ্ধক্ষেত্রে সেনার প্রাণ কেড়ে শিরোনামে থাকা ড্রোনই এবার প্রাণ বাঁচিয়ে শিরোনামে।

গত ডিসেম্বরে বাড়ির সামনে থেকে তুষারস্তুপ পরিষ্কার করতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হন সুইডেনের সেই ৭১ বছরের বৃদ্ধ। তাঁর প্রাণ বাঁচাতে ডিফিব্রিলেটর উড়িয়ে নিয়ে এসেছিল একটি ড্রোন, যার পরিষেবা দেয় অসামরিক ড্রোনের মাধ্যমে জরুরী স্বাস্থ্যসেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এভারড্রোন। মানুষের কাছে জরুরি ভিত্তিতে স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতেই প্রতিষ্ঠিত হয় এভারড্রোন বা ইমার্জেন্সি মেডিকাল এরিয়াল ডেলিভারি (ইএমএডিই)। রোগীর দরজায় অ্যাম্বুল্যান্স পৌঁছে যাওয়ার আগেই পৌঁছে যায় এভারড্রোন, পৌঁছে দেয় জরুরি ওষুধ, চিকিৎসার প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি।

সম্প্রতি সংবাদমাধ্যম বিবিসি-র তরফ থেকে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানেই তুলে ধরা হয়েছে জিয়নকাঠির ভূমিকায় অবতীর্ণ ড্রোনের কাহিনি। রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ডাক্তার নিজ কর্মস্থলে যাওয়ার সময়ই রোগীকে অবচেতন হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন। আর তিনি ঠিক সময়ে সেখানে পৌঁছেছিলেন বলেই, ঠিক সময়ে এভারড্রোনের পরিষেবায় একটা ডিফিব্রিলেটর নিয়ে আসা গিয়েছিল।

রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, সেন্টার ফর রিসাসিটেশন সায়েন্স অ্যাট ক্যারোলিন্সকা ইনস্টিটিউট, এসওএস অ্যালার্ম এবং রিজিওন ভাস্ট্রা গোটাল্যান্ডের উদ্যোগেই নির্মিত হয়েছে ড্রোনগুলি। এভারড্রোনের প্রধান ম্যাটস স্যালস্টর্ম বলছেন, “এভারড্রোনের অত্যাধুনিক ড্রোন প্রযুক্তির বাস্তব উদাহরণ এর থেকে ভাল আর কী-ই বা হতে পারে।”

গত চার মাসের পাইলট প্রকল্পে মোট ১৪ বার রোগীর হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার সংকেত পেয়েছে ইএমডিআই-এর কর্মীরা। তার মধ্যে ১২ বারই ড্রোন পাঠানো হয়। আর ১১ বার সফল ভাবে ডিফিব্রিলেটর পৌঁছে দেওয়ার কাজ করে ড্রোনগুলি। এর মধ্যে অন্তত ৭ বার অ্যাম্বুল্যান্সের আগেই পৌঁছে গিয়েছিল ড্রোন।

আরও পড়ুন: কিউট, পুঁচকে, ফ্রিস্টাইল প্রজেক্টর নিয়ে এল স্যামসাং, যেখানে খুশি নেটফ্লিক্স দেখাবে এই অবাক ডিভাইস!

আরও পড়ুন: নাকের ছাপ দেখে হারিয়ে যাওয়া কুকুরছানা চিনবে স্যামসাংয়ের এই অ্যাপ

আরও পড়ুন: নতুন বছরে হোয়াটসঅ্যাপের প্রথম ফিচার, নোটিফিকেশনেই দেখা যাবে প্রেরকের প্রোফাইল পিক!