গুগলে চালু হচ্ছে মাত্র ১৫ জিবির ‘ফ্রি স্টোরেজ’, কীভাবে খালি করবেন এই স্টোরেজ?

জুন মাসের ১ তারিখ থেকে 'আনলিমিটেড ফ্রি স্টোরেজ'- এর অপশন বন্ধ করছেন গুগল কর্তৃপক্ষ। তার বদলে চালু হবে ১৫ জিবি 'ফ্রি স্টোরেজ'।

গুগলে চালু হচ্ছে মাত্র ১৫ জিবির 'ফ্রি স্টোরেজ', কীভাবে খালি করবেন এই স্টোরেজ?
গুগলের ইউজারদের জন্য জুন মাস থেকে বরাদ্দ হবে ১৫ জিবি ফ্রি স্টোরেজ।
Follow Us:
| Updated on: May 25, 2021 | 1:12 PM

জুন মাসের পয়লা তারিখ থেকেই ‘আনলিমিটেড ফ্রি স্টোরেজ’- এর অপশন বন্ধ করছে গুগল ফটোজ। এরপর থেকে ইউজারদের জন্য মাত্র ১৫ জিবি ফ্রি স্টোরেজ বরাদ্দ হবে ইউজারদের জন্য। এই সীমিত পরিমাণ স্টোরেজের আওতায় থাকবে গুগল ফটোজ, জিমেল এবং ড্রাইভ স্টোরেজ।

এর থেকে বেশি পরিমাণ স্টোরেজের প্রয়োজন হলে, ইউজাররা গুগলের সাবস্ক্রিপশন ভিত্তিক স্টোরেজ প্ল্যানের অপশন বেছে নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে ১০০ জিবি স্টোরেজের জন্য প্রতি মাসে ১২০ টাকা দিতে হবে। কিন্তু যদি আপনি টাকা খরচ করে অতিরিক্ত স্টোরেজ কিনতে না চান, তাহলেও রয়েছে আলাদা অপশন। এক্ষেত্রে আপনি ওই ১৫ জিবি ফ্রি স্টোরেজ ‘ক্লিয়ার’ করে বা মুছে ফেলতে পারবেন।

কীভাবে গুগলের ১৫ জিবি ফ্রি স্টোরেজ খালি করবেন?

প্রথমে দেখে নিন, ওই ১৫ জিবি স্টোরেজে কী কী রয়েছে। তার মধ্যে থেকে অপ্রয়োজনীয় জিনিস বেছে নিয়ে, তা ডিলিট করে দিতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন গুগল ওয়ান অ্যাপ। স্মার্টফোনে এই অ্যাপ না থাকলে গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপেল স্টোর থেকে ডাউনলোড করে নিতে হবে।

এই অ্যাপের ‘স্টোরেজ’ ট্যাবে প্রথমে ক্লিক করতে হবে। এর ফলে ইউজাররা দেখতে পাবেন ১৫ জিবি ফ্রি স্টোরেজের মধ্যে কী কী রয়েছে। গুগল ড্রাইভ ফাইল, গুগল ফটো ডেটা এবং জিমেল, কোন ক্ষেত্রে কতটা স্টোরেজ রয়েছে সেটা দেখা সম্ভব হবে। এবার ইউজার অপ্রয়োজনীয় জিনিস বেছে নিয়ে ডিলিট করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে ওই অ্যাপেরই নীচের দিকে থাকা ‘ফ্রি আপ অ্যাকাউন্ট স্টোরেজ’- এ ক্লিক করতে হবে। এখানে ইউজাররা একটি তালিকা দেখতে পাবেন। যেখান থেকে বোঝা যাবে, কোন জিনিসে কত স্টোরেজ রয়েছে।

আরও পড়ুন- মোবাইল অ্যাপেই হবে অক্সিমিটারের কাজ, সৌজন্যে কলকাতার হেলথ-স্টার্টআপ

এই তালিকায় এমন ইমেল থাকবে যা হয়তো আগে আপনি ডিলিট করেছিলেন। তবে এবার স্থায়ী ভাবে মুছে ফেলার অপশন পাবেন। এছাড়াও বড় সাইজের ফাইল সমেত ইমেল, গুগল ড্রাইভে সাপোর্ট করছে না এমন ফাইল… এইসবও থাকবে। এক্ষেত্রে এক একটি ক্যাটেগরিতে ঢুকে নিজে হাতে বেছে নিয়ে অপ্রয়োজনীয় জিনিস ডিলিট করার অপশন থাকবে ইউজারদের হাতে। অপ্রয়োজনীয় সমস্ত ফাইল ডিলিট হয়ে গেলে আপনি আরও কিছু ফাইল নিজের ডিভাইসে কিংবা অন্য ক্লাউড স্টোরেজেও আলাদা করে ব্যাকআপ রাখতে পারবেন।