পৃথিবীর কাছাকাছি চলে এল দুই বিশাল গ্রহাণু, কোন বিপদের সামনে বিশ্ববাসী?
Asteroids Alert: ফেব্রুয়ারির শেষ দিনে এসে দুটি গ্রহাণুকে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসতে দেখেছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু বিপদ কতটা? সে বিষয়েও জানিয়েছেন তাঁরা। এর মধ্যে একটি গ্রহাণু মাত্র 52 লাখ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। এই দূরত্ব আপনার কাছে অনেক বেশি মনে হতে পারে। আর সেটা হওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু মহাকাশের বিশালতার তুলনায় এই দূরত্ব খুবই সামান্য।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (NASA) সহ বিভিন্ন মহাকাশ বিজ্ঞানীদের চোখ সব সময়ই মহাকাশের দিকে কোনও না কোনও বস্তুকে পর্যবেক্ষণ করে। আর সেখান থেকেই তারা জানতে পারে, কোন কোন গ্রহাণু পৃথিবীর কাছাকাছি আসছে। চলতি বছরের শুরুতেই এমন কয়েকটি গ্রহাণুর সন্ধান দিয়েছিলেন মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (NASA) বিজ্ঞানীরা। এবার ফেব্রুয়ারির শেষ দিনে এসে দুটি গ্রহাণুকে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসতে দেখেছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু বিপদ কতটা? সে বিষয়েও জানিয়েছেন তাঁরা। এর মধ্যে একটি গ্রহাণু মাত্র 52 লাখ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। এই দূরত্ব আপনার কাছে অনেক বেশি মনে হতে পারে। আর সেটা হওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু মহাকাশের বিশালতার তুলনায় এই দূরত্ব খুবই সামান্য।
দু’টি গ্রহাণু কী কী?
পৃথিবীর কাছাকাছি আসা প্রথম গ্রহাণুর নাম হল- Asteroid 2024 CE7। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা অর্থাৎ NASA-এর JPL এর মতে, এই গ্রহাণুটি যখন পৃথিবীর কাছাকাছি আসবে, তখন উভয়ের মধ্যে দূরত্ব হবে 52 লাখ কিলোমিটার। 2024 CE7 খুব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এর গতি ঘণ্টায় 69 হাজার 645 কিলোমিটার। তালিকায় আরও একটি গ্রহাণু রয়েছে। তার নাম হল-2024 CC7। এটিও খুব দ্রুত বেগে পৃথিবীর দিকে এগচ্ছে। দুটি গ্রহাণুর নাম দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে, তাদের এই বছর অর্থাৎ 2024-এই আবিষ্কার করা হয়েছে।
গ্রহাণুর আকার ছোট…
বিজ্ঞানীদের মতে, উভয় গ্রহাণুর আকার ছোট হওয়ায় তারা পৃথিবীর কোনও ক্ষতি করবে না। তবে পৃথিবী থেকে অনেক দূরে না যাওয়া পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা তাদের পর্যবেক্ষণ করবেন। যদি গ্রহাণুর দিক পরিবর্তন হয় এবং এটি পৃথিবীর সঙ্গে ধাক্কা খায়, তাহলে তা বড় ধরনের ধ্বংসলীলা তৈরি করতে পারে।
গ্রহাণু কী?
নাসার মতে, এগুলোকে ক্ষুদ্র গ্রহও বলা হয়। সৌরজগতের সমস্ত গ্রহ যেমন সূর্যের চারদিকে ঘোরে, তেমনি গ্রহাণুগুলিও সূর্যের চারদিকে ঘোরে। গ্রহাণু হল পাথুরে অবশিষ্টাংশ, যা সৌরজগতের প্রাথমিক গঠন থেকে প্রায় 4.6 বিলিয়ন বছর আগে তৈরি ছিল। বিজ্ঞানীরা এখনও পর্যন্ত 11 লাখ 13 হাজার 527টি গ্রহাণু শনাক্ত করেছেন।