Underwater Volcano: সমুদ্রের অতলে ডুবে থাকা আগ্নেয়গিরি থেকে আচমকা অগ্ন্যুৎপাত, রাতারাতি তৈরি হল নতুন দ্বীপ
Japan Underwater Volcano: নতুন দ্বীপের পিছনে হাত রয়েছে একটি অগ্ন্যুৎপাতের। ব্যাপারটা মুহূর্তে অবাক করে দেবে আপনাকে। জাপানের রাজধানী টোকিও থেকে 1000 কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত প্রশান্ত মহাসাগরে একটি একটি ডুবো আগ্নেয়গিরি থেকে হঠাৎই অগ্ন্যুৎপাত হয়েছে।
চারিদিকে সমুদ্রের গর্জন। আর তার মাঝেই নাকি অগ্ন্যুৎপাত!জাপানের কাছে সমুদ্রের মাঝে একটি নতুন দ্বীপ তৈরি করা হয়েছে। তবে তৈরি করা হয়েছে বললে ভুল বলা হবে। তৈরি হয়েছে, তাও আবার প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে। এই নতুন দ্বীপের পিছনে হাত রয়েছে একটি অগ্ন্যুৎপাতের। ব্যাপারটা মুহূর্তে অবাক করে দেবে আপনাকে। জাপানের রাজধানী টোকিও থেকে 1000 কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত প্রশান্ত মহাসাগরে একটি একটি ডুবো আগ্নেয়গিরি থেকে হঠাৎই অগ্ন্যুৎপাত হয়েছে। অগ্ন্যুৎপাতের ফলে এত বেশি পরিমাণে ধ্বংসাবশেষ বেরিয়ে এসেছে যে, তা থেকে একটি নতুন দ্বীপ তৈরি হয়েছে। যা আকারে কমপক্ষে 200 মিটার লম্বা। এর ভিডিয়োটি দেখুন একবার…
অগ্ন্যুৎপাতের পরই এই দ্বীপের দেখা মেলে…
এই দ্বীপটি আইওটো দ্বীপের উপকূল থেকে একটু দূরে রয়েছে। আগে ইওটোকে ইওজিমা বলা হত। চলতি বছরের 1 নভেম্বর, প্রশান্ত মহাসাগরে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পর এই দ্বীপটি তৈরি হয়। বর্তমানে ইওটোতে জাপানী নৌবাহিনীর একটি ঘাঁটি বা এয়ারবেস রয়েছে, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত হয়েছিল।
হঠাৎই সমুদ্রে শুরু হয় উথাল পাতাল..
এয়ারবেসে বসবাসকারী নৌসেনারা জানান, তারা প্রথমে একটি অদ্ভুত শব্দ শুনতে পান। এর পর তারা দেখেন সমুদ্র উথাল পাতাল করছে। অবশেষে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পর সমুদ্রে এই দ্বীপটি তৈরি হতে দেখেন বলে জানান তারা। জাপানের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, 21 অক্টোবর থেকে ইওয়াতো দ্বীপের চারপাশে হালকা ভূমিকম্প হচ্ছে। কিন্তু জলের নিচে হঠাৎই এমন আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত হবে, এমনটা কোনওভাবেই আশা করেননি তারা।
সমুদ্রে টিকতে পারেনি একটাও দ্বীপ…
এটাই নতুন নয়, এর আগেও জাপানের আশেপাশে কিছু দ্বীপের আবির্ভাব ঘটলেও, সমুদ্রে টিকে থাকতে পারেনি একটাও দ্বীপ।
এর কারণ একমাত্র খারাপ সামুদ্রিক আবহাওয়া। ফলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, যেখানে আগে দ্বীপ তৈরি হয়েছিল, সেখানেই এখন নতুন দ্বীপ গঠিত হয়েছে। অর্থাৎ এর আগে এই একই জায়গায় 1986 সালে এমন একটি দ্বীপ তৈরি হয়েছিল। এরপর থেকে এখানে কোনও দ্বীপ তৈরি হয়নি। তবে এই জায়গা থেকে প্রচুর পরিমাণে ধোঁয়া, ছাই ও লাভা বের হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। তবে এর ফলে জাপানের সীমান্তে কোনও প্রভাব পড়বে না বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।