Exoplanet: বৃহস্পতির তুলনায় আকার-আয়তনে বড়! নতুন গ্রহের সন্ধান পেলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা
আবিষ্কারের পর থেকেই নতুন এক্সোপ্ল্যানেটের উপর পর্যবেক্ষণ চালিয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। আর তার জেরেই জানা গিয়েছে যে, এই এক্সোপ্ল্যানেটের ভর বৃহস্পতি গ্রহের তুলনায় ৭০ শতাংশ বেশি।
ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা একটি নতুন গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন, যা নাকি আকার-আয়তনে বৃহস্পতির থেকেও বড়। জানা গিয়েছে, এই গ্রহ আবার তার সিস্টেমের মধ্যে থাকা একটি নক্ষত্রের খুব কাছাকাছি প্রদক্ষিণ করছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার করা নতুন এক্সোপ্ল্যানেটের নাম TOI ১৭৮৯b। একটি বয়স্ক বা বর্ষীয়ান নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করছে এই এক্সোপ্ল্যানেট। উল্লেখ্য যে ওই এক্সোপ্ল্যানেট সূর্যের তুলনায় দেড় গুণ (১.৫) বড় এবং পৃথিবী থেকে ৭২৫ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থান করছে ওই নক্ষত্র, যাকে প্রদক্ষিণ করছে নতুন আবিষ্কৃত এক্সোপ্ল্যানেট।
আহমেদাবাদের ফিজিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরি (পিআরএল)- এর গবেষকরা এই এক্সোপ্ল্যানেট আবিষ্কার করেছেন এবং বর্তমানে সেটি নিয়ে নানা ধরনের গবেষণা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন। এই এক্সোপ্ল্যানেট আবিষ্কারের গবেষণার পুরোধা ছিলেন এক বাঙালি অধ্যাপক, অভিজিৎ চক্রবর্তী। এই এক্সোপ্ল্যানেট আবিষ্কারের জন্য জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা Advanced Radial-velocity Abu-sky Search (PARAS) optical fibre-fed spectrograph ব্যবহার করেছেন। এর সাহায্যেই ওই গ্রহের অস্তিত্ব জানা সম্ভব হয়েছে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী এটি আসলে দ্বিতীয় আবিষ্কার। PRL- এর বৈজ্ঞানিকরা PARAS ব্যবহার করে ১.২ মিটার মাউন্ট আবু টেলিস্কোপের সাহায্যে এই TOI ১৭৮৯b এক্সোপ্ল্যানেট আবিষ্কার করেছেন। এর আগে PRL- এর গবেষকরা প্রথম এক্সোপ্ল্যানেট লক্ষ্য করেছিলেন ২০১৮ সালে। K2-236b এই ছিল ওই এক্সোপ্ল্যানেটের নাম। স্যাটার্ন বা শনি গ্রহের তুলনায় আকার, আয়তনে কিছুটা ছোট ছিল ওই এক্সোপ্ল্যানেট। পৃথিবী থেকে ৬০০ আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে এই এক্সোপ্ল্যানেট। বর্তমানে যে এক্সোপ্ল্যানেট নিয়ে আলোচনা হচ্ছে সেটা ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে ২০২১ সাল অর্থাৎ চলতি বছরের মার্চ মাসের মধ্যে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে বলে শোনা গিয়েছে।
আবিষ্কারের পর থেকেই নতুন এক্সোপ্ল্যানেটের উপর পর্যবেক্ষণ চালিয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। আর তার জেরেই জানা গিয়েছে যে, এই এক্সোপ্ল্যানেটের ভর বৃহস্পতি গ্রহের তুলনায় ৭০ শতাংশ বেশি। আর আকার, আয়তনেও এই এক্সোপ্ল্যানেট বৃহস্পতির ১.৫ গুণ। এখানেই শেষ নয়। পরবর্তী পর্যায়ে জার্মানির TCES spectrograph প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরিমাপ করার পর জানা গিয়েছে যে, এই ধরনের ইউনিক সিস্টেমের মধ্যে কোনও গ্রহ তার হোস্টিং স্টার বা নক্ষত্রকে মাত্র ৩.২ দিনে প্রদক্ষিণ করতে পারে। এর ফলে নক্ষত্রের খুবই কাছাকাছি থাকে এক্সোপ্ল্যানেট। ব্যবধান হয় মাত্র ০.০৫ AU (আনুমানিক সূর্য এবং মঙ্গলের দূরত্বের ১০ ভাগের একভাগ।)
উৎস নক্ষত্র বা হোস্টিং স্টারের খুব কাছাকাছি থাকায় এই সমস্ত এক্সোপ্ল্যাট অত্যন্ত উৎপ্ত অবস্থায় থাকে। পৃষ্ঠদেশের উষ্ণতা প্রায় ২০০০ কেলভিনে পৌঁছে যায়। এই ধরনের এক্সোপ্ল্যানেটের আবিষ্কার ও পর্যবেক্ষণের ফলে বৃহস্পতির গ্রহের অত্যধিক উষ্ণতা এবং ওই গ্রহের গঠন ও সৃষ্টি সম্পর্কে জানা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
আরও পড়ুন- Earth: পৃথিবীবের বাইরেও শনি গ্রহের মতো বলয় থাকতে পারে, তবে তা তৈরি হবে মহাকাশের আবর্জনা দিয়ে