শব্দ তরঙ্গের সাহায্যে সূর্যের ভিতর উঁকি দিয়েছেন দুই ভারতীয় গবেষক, হদিশ মিলেছে এক আকর্ষণীয় স্তরের

Aryabhatta Research Institute of Observational Sciences (ARIES)- এর গবেষক বিভূতি কুমার ঝা এই গবেষণার পুরোধা। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন Indian Institute of Science (বেঙ্গালুরু)- র প্রফেসর অর্ণব রাই চৌধুরী।

শব্দ তরঙ্গের সাহায্যে সূর্যের ভিতর উঁকি দিয়েছেন দুই ভারতীয় গবেষক, হদিশ মিলেছে এক আকর্ষণীয় স্তরের
শব্দ তরঙ্গের সাহায্যে সূর্যের অভ্যন্তরে গবেষণা চালাচ্ছেন দুই ভারতীয় গবেষক
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 01, 2021 | 10:33 PM

জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের কাছে সূর্য সবসময়ই আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। কারণ প্রতি মুহূর্তেই জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা সূর্যের বিভিন্ন পরিবর্তন ও তার ফলে পৃথিবীতে কী প্রভাব পড়তে পারে, আদৌ প্রভাব পড়বে কি না, প্রভাব কতটা মারাত্মক বা ক্ষতিকর- এইসব নিয়ে গবেষণা করে চলেছেন। জানা গিয়েছে, বর্তমানে দু’জন ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী সূর্যের অন্তর্বর্তী ঘূর্ণণ (internal rotation) নিয়ে গবেষণা শুরু করেছেন। এর জন্য তাঁরা সাউন্ড ওয়েভ বা শব্দ তরঙ্গের সাহায্য নিয়েছেন। আর এই গবেষণার মাধ্যমে একটি intriguing layer- এর অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছেন বৈজ্ঞানিকরা।

ওই দুই ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী তাঁদের গবেষণা এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফলে জানতে পেরেছেন এই intriguing layer সূর্যের অভ্যন্তরে সেই জায়গাকে চিহ্নিত করছে, যেখানে সূর্যের রোটেশন প্রোফাইল পরিবর্তন হয়। আর এর থেকে প্রমাণিত হয় যে সূর্যের equator বিষুবরেখা মেরু অঞ্চলের (সূর্যের) তুলনায় দ্রুত গতিতে ঘোরে। একথা অবশ্য আগেই প্রকাশিত হয়েছে। জানা গিয়েছে এই লেয়ার বা স্তরকে বলা হচ্ছে Near-Surface Shear Layer (NSSL)। সোলার সিস্টেম বা সৌরজগতের খুব কাছেই এর অস্তিত্ব এবং অবস্থান রয়েছে। জানা গিয়েছে, যে পদ্ধতিতে শব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা সূর্যের অভ্যন্তরে উঁকি দিয়েছেন, তাকে বলে helioseismology।

Aryabhatta Research Institute of Observational Sciences (ARIES)- এর গবেষক বিভূতি কুমার ঝা এই গবেষণার পুরোধা। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন Indian Institute of Science (বেঙ্গালুরু)- র প্রফেসর অর্ণব রাই চৌধুরী। এই দুই গবেষক জানিয়েছেন, সূর্যের অভ্যন্তরে যে নতুন আস্তরণের হদিশ পাওয়া গিয়েছে তা এক বা অর্ধ শতাব্দী আগে তৈরি হয়েছে। মূলত থার্মাল উইন্ড ব্যালান্স ইকুয়েশনের উপর ভিত্তি করে টিকে রয়েছে আস্তরণ। আর এর ফলেই সূর্যের মেরু অঞ্চল এবং বিষুবরেখা অঞ্চলের মধ্যে তাপমাত্রার সামান্য ফারাকটুকুও নজরে আসে। একে বলা হয় থার্মাল উইন্ড টার্ম। solar differential rotation- এর centrifugal force- এর মাধ্যমে এর সামঞ্জস্য বজায় থাকে। সাধারণত বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন, এমন অবস্থা কেবল সূর্যের অভ্যন্তরেই সৃষ্টি হতে পারে। তবে এই দুই ভারতীয় গবেষক বলেছেন, সারফেসের কাছেও এমনটা ঘটতে পারে।

আরও পড়ুন- Black Hole: কৃষ্ণ গহ্বরের পিছন থেকে বেরোচ্ছে আলোক রশ্মি! নতুন পর্যবেক্ষণ বিজ্ঞানীদের