Mars Meteorite: মঙ্গলগ্রহের উল্কাখণ্ড পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কী পেলেন বিজ্ঞানীরা?

Mars Meteorite: সুইডেনের Lund University-র গবেষকরা ১.৩ মিলিয়ন বছরের পুরনো একটি উল্কাপিণ্ডের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন। মঙ্গলগ্রহ থেকেই পাওয়া গিয়েছে এই উল্কাখণ্ড।

Mars Meteorite: মঙ্গলগ্রহের উল্কাখণ্ড পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কী পেলেন বিজ্ঞানীরা?
মঙ্গলগ্রহের উল্কাখণ্ড।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 15, 2022 | 8:27 PM

মঙ্গলগ্রহে কী কোনওদিন প্রাণের অস্তিত্ব ছিল? লাখ টাকার এই প্রশ্নের উত্তর হন্যে হয়ে খুঁজছেন বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানী মহল। আর তাই একের পর এক Mars Mission চলছে। লালগ্রহে ছানবিন এবং পর্যবেক্ষণ চালাচ্ছে বিভিন্ন দেশের পাঠানো Rover। বর্তমানে মঙ্গলগ্রহে রয়েছে মার্কিন স্পেস এজেন্সি NASA-র Perseverance Rover। এই Rover-এর সাহায্যে ২০৩০ সালের মধ্যে মঙ্গলগ্রহ থেকে সংগ্রহ করা নমুনা পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হবে। এমনই পরিকল্পনা রয়েছে বিজ্ঞানীদের। এইসব নমুনা পরীক্ষা করে মঙ্গলগ্রহ সম্পর্কে আরও নতুন তথ্য জানা যাবে। এর পাশাপাশি বর্তমানে বিজ্ঞানীরা মঙ্গলগ্রহের নমুনা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা শুরু করে দিয়েছেন। তবে সেই নমুনা রয়েছে উল্কাপিণ্ড রূপে। সুইডেনের Lund University-র গবেষকরা ১.৩ মিলিয়ন বছরের পুরনো একটি উল্কাপিণ্ডের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন। মঙ্গলগ্রহ থেকেই পাওয়া গিয়েছে এই উল্কাখণ্ড।

বৈজ্ঞানিকরা জানিয়েছেন যে, এই উল্কাপিণ্ডের সঙ্গে জলের সংস্পর্শ খুব কমই হয়েছিল। গবেষকরা আরও জানিয়েছেন, এই উল্কাপিণ্ড যে সময়ের তখন মঙ্গলগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব একপ্রকার অসম্ভব ছিল। জানা গিয়েছে, মঙ্গলগ্রহ থেকে প্রাপ্ত এই উল্কাখণ্ড পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য বিজ্ঞানীরা neutron এবং X-ray tomography-র ব্যবহার করেছেন। এই একই পদ্ধতিতে NASA-র Perseverance Rover দ্বারা সংগৃহীত নমুনাও পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার পর পরীক্ষা করা হবে। এই পদ্ধতিতে মঙ্গলগ্রহের নমুনা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মূলত দেখা হবে যে সেখানে কোনও hydrothermal system রয়েছে কিনা। কারণ প্রাণের অস্তিত্বের ক্ষেত্রে এই hydrothermal system অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কোনও নমুনার একটুও ক্ষতি না করে সেটিকে পর্যবেক্ষণ এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হল X-ray tomography। এর সঙ্গে Neutron tomography ব্যবহার করা হয়।

জলের অপর নাম জীবন। আর অন্য গ্রহে প্রাণের অস্তিত্বের সন্ধান করতে গেলে বিজ্ঞানীরাও জলের সন্ধানই করেন। আর সেক্ষেত্রে H2O-এর মধ্যে থাকা হাইড্রোজেনের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ প্রাণের অস্তিত্বের খোঁজ করতে হলে হাইড্রোজেনের খোঁজও করেন বিজ্ঞানীরা। আর সেই জন্যই মঙ্গলগ্রহ থেকে পাওয়া উল্কাখণ্ড কতটা জলের সংস্পর্শে এসেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর এই গবেষণার পর বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন যে ওই উল্কাখণ্ডের মোটামুটি একটা ছোট অংশ জলের সংস্পর্শে এসেছে। আর এর থেকেই বিজ্ঞানীরা অনুমান করেছেন যে এই উল্কাখণ্ড যে সময়ের তখন মঙ্গলগ্রহে মানুষ বসবাস করার মতো অনুকূল পরিবেশ ছিল না। Science Advances নামের একটি জার্নালে এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।