Mars Rover Perseverance: ‘মার্সিয়ান রেকর্ড’ ভেঙেছে রোভার পারসিভের্যান্স, জানাচ্ছে নাসা
Mars Rover Perseverance: মঙ্গলগ্রহে এক বছর কাটিয়ে ফেলেছে নাসার মার্স রোভার পারসিভের্যান্স। লালগ্রহের রুক্ষ পাথুরে পৃষ্ঠদেশের উপর বিগত একবছর ধরে সফলভাবেই টিকে রয়েছে পারসিভের্যান্স রোভার।
মঙ্গলগ্রহে (Mars) রেকর্ড করেছে নাসার পারসিভের্যান্স রোভার (Mars Rover Perseverance)। লালগ্রহে এই প্রথম কোনও রোভার সবচেয়ে বেশি দূরত্ব অতিক্রম করেছে। নিজের সেলফ ড্রাইভিং ক্ষমতা প্রয়োগ করে মঙ্গলগ্রহের সবচেয়ে জনপ্রিয় Jezero Crater- এর চারপাশে ঘুরে বেরিয়েছে মার্কিন স্পেস এজেন্সির মঙ্গলগ্রহে পাঠানো রোভার পারসিভের্যান্স। অতীতে মঙ্গলগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কিনা তা জানতেই মঙ্গলগ্রহে অভিযান চালাচ্ছে রোভার পারসিভের্যান্স। এর পাশাপাশি মঙ্গলগ্রহ থেকে নমুনাও সংগ্রহ করছে এই রোভার। এইসব পাথুরে নমুনা ফিরিয়া আনা হবে পৃথিবীতে। তারপর তা পর্যবেক্ষণ করে নতুন তথ্য দেবেন বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি নাসা জানিয়েছে, তাদের রোভার পারসিভের্যান্স দিনে প্রায় ৩০০ গজ (২৭৪ মিটার) পথ পরিক্রম করতে পারে। আর কোনও রোভারের এই রেকর্ড নেই। এখনও পর্যন্ত মঙ্গলগ্রহে সবচেয়ে বেশ রাস্তা অতিক্রম করেছে রোভার পারসিভের্যান্স। এই রোভারের সেলফ ড্রাইভিং ক্ষমতার সাহায্যে এই রেকর্ড করা সম্ভব হয়েছে। এর ফলে পৃথিবীতে মানুষের থেকে সাহায্য পাওয়ার ব্যাপারটা কমে যাচ্ছে।
রোভার পারসিভের্যান্স মূলত এর অটো-নেভিগেশন সিস্টেম ব্যবহার করে থ্রিডি ম্যাপ তৈরি করছে। মার্সিয়ান টেরেন বা মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠদেশের থ্রিডি ম্যাপ তৈরি করা হচ্ছে। সম্প্রতি নাসার তরফে রোভার পারসিভের্যান্সের একটি ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করে বলা হয়েছে মঙ্গলের বুকে ৩৮১তম দিনে (sol- Martian day) পারসিভের্যান্সের অভিযানের সময় তোলা হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে রোভার নিজের চাকায় Jezero Crater- এর আশপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। সেখানে অতীতে একটি হ্রদ ছিল, যা বর্তমানে শুকিয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ২০২১ সালের ১৮ নভেম্বর মঙ্গলগ্রহের মাটি ছুঁয়েছিল মার্স রোভার পারসিভের্যান্স। তারপর থেকে গত এক বছর ধরে একাধিক সাফল্যের মাইলফলক ছুঁয়ে দেখেছে এই মার্স রোভার।
মঙ্গলগ্রহে এক বছর কাটিয়ে ফেলেছে নাসার মার্স রোভার পারসিভের্যান্স। লালগ্রহের রুক্ষ পাথুরে পৃষ্ঠদেশের উপর বিগত একবছর ধরে সফলভাবেই টিকে রয়েছে পারসিভের্যান্স রোভার। আর আপাতত তাই চলছে উদযাপন। প্রায় ১০২৫ কিলোগ্রাম ওজনের এই রোভার ইতিমধ্যেই মঙ্গলগ্রহের বুকে অসংখ্য মাইলস্টোন পার করে নতুন নতুন রেকর্ড গড়েছে। গত একবছরে মোট ৬টি রক স্যাম্পেল সংগ্রহ করেছে রোভার পারসিভের্যান্স। এই রোভারের মধ্যেই আবার ছিল Ingenuity হেলিকপ্টার। এই মার্স কপ্টারও রোভারের সঙ্গেই অভিযান চালাচ্ছে মঙ্গলগ্রহে। এই হেলিকপ্টারে রয়েছে ক্যামেরা। তার সাহায্যেই মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠদেশের বিভিন্ন এলাকার ছবি তোলা হয়। জানা গিয়েছে, রোভারে রয়েছে ছয়টি চাকা। এর সাহায্যে লালগ্রহ থেকে যেসমস্ত নমুনা সংগ্রহ করা তা ফেরত পাঠানো হবে পৃথিবীতে। সেইসব গবেষণা করবেন বিজ্ঞানীরা এবং মঙ্গলগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কিনা, বা এই গ্রহ আদৌ মনুষয় বসবাসযোগ্য কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।
আরও পড়ুন- Computer Chip: মধু থেকে তৈরি হচ্ছে কম্পিউটার চিপ! বিস্ময়কর আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের