Chandrayaan-3: দেশের আশা ও স্বপ্ন বহন করছে চন্দ্রযান-3, উৎক্ষপণের আগে প্রধানমন্ত্রীর টুইট
Chandrayaan-3 Latest Update: শুক্রবার দুপুর 2টো 35 মিনিটে চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দেবে চন্দ্রযান-3। তারই কিছুক্ষণ আগে সুদূর ফ্রান্স থেকে টুইট করে ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গ্যানাইজ়েশন বা ISRO-কে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বললেন, “ঐতিহাসিক চন্দ্রাভিযান দেশের 'আশা ও স্বপ্ন' বহন করছে।”
Chandrayaan-3 Latest News: 14 জুলাই, 2023। দিনটি ভারতের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। শুক্রবার দুপুর 2টো 35 মিনিটে চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দেবে চন্দ্রযান-3। তারই কিছুক্ষণ আগে সুদূর ফ্রান্স থেকে টুইট করে ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গ্যানাইজ়েশন বা ISRO-কে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বললেন, “ঐতিহাসিক চন্দ্রাভিযান দেশের ‘আশা ও স্বপ্ন’ বহন করছে।”
এ দিন টুইটে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “14ই জুলাই, 2023 ভারতের মহাকাশ ক্ষেত্রে সর্বদা স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। চন্দ্রযান-3 অর্থাৎ আমাদের তৃতীয় চন্দ্র অভিযান তার যাত্রা শুরু করবে। এই অসাধারণ মিশন আমাদের জাতির আশা ও স্বপ্ন বহন করে নিয়ে যাচ্ছে।” এ দিন দুপুর 2টো 35 মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে চন্দ্রযান-3 উৎক্ষেপণ করা হবে। চন্দ্রযানটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে 75 মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
2019 সালে চন্দ্রযান-2 চাঁদের পৃষ্ঠে পৌঁছতে পারেনি। সে বার সফট ল্যান্ডিংয়ের প্রথম চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তা ব্যর্থ হওয়ার ফলে শুক্রবার চন্দ্রপৃষ্ঠে সফট ল্যান্ডিংয়ের দ্বিতীয় প্রচেষ্টা করতে চলেছে ভারত। আর তা যদি সফল হয়, তাহলে ভারত বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে এই কৃতিত্ব অর্জন করতে চলেছে। রাশিয়া, আমেরিকা ও চিনের পর চতুর্থ দেশ হিসেবে চাঁদে সফট ল্যান্ডিং করবে চন্দ্রযান-2।
14th July 2023 will always be etched in golden letters as far as India’s space sector is concerned. Chandrayaan-3, our third lunar mission, will embark on its journey. This remarkable mission will carry the hopes and dreams of our nation. pic.twitter.com/EYTcDphaES
— Narendra Modi (@narendramodi) July 14, 2023
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কী এই সফট ল্যান্ডিং? কোনও মহাকাশযান যখন নিজের বা তার পে-লোডের কোনও ক্ষতি না করে নির্বিঘ্নে অবতরণ করে, তখন তাকে সফট ল্যান্ডিং বলা হয়। প্রথম চন্দ্র অনুসন্ধান অর্থাৎ চন্দ্রযান-1 চাঁদকে প্রদক্ষিণ করতে সক্ষম হয়েছিল এবং 2008 সালে ইচ্ছাকৃতভাবে চন্দ্রপৃষ্ঠে ক্র্যাশ-ল্যান্ড করানো হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী মোদী ইসরোর বিজ্ঞানীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, “অতীতের চন্দ্রমিশনগুলির জন্য তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রম বিশ্বকে একটা আলাদা অন্তর্দৃষ্টি দিয়েছে।”
এ দিন আর একটি টুইটে প্রধানমন্ত্রী লিখছেন, “আমাদের বিজ্ঞানীদের অনেক ধন্যবাদ। মহাকাশ ক্ষেত্রে ভারতের অত্যন্ত সমৃদ্ধ একটি ইতিহাস রয়েছে। চন্দ্রযান-1কে সারা বিশ্বের চন্দ্রমিশনগুলির মধ্যে যুগান্তকারী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ, এটি চাঁদে জলের অণুর উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে। বিশ্বের প্রায় 200টিরও বেশি বৈজ্ঞানিক প্রকাশনায় তা প্রদর্শিতও হয়েছে।”