SpaceX’s Starship launch Date: ফের একবার চাঁদে পা রাখবে মানুষ, 20 এপ্রিল সবচেয়ে বড় রকেট উৎক্ষেপণ করছেন মাস্ক
SpaceX’s Starship Update: 1972 সালের পর প্রথমবারের মতো 2025 সালে মানুষ আবার চাঁদে যাবে। 164-ফুট লম্বা স্টারশিপ রকেটটি ক্রু এবং কার্গো বহন করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
Starship Launch Date: মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব হোক কিংবা চাঁদে বসবাসের পরিবেশ, বহু বছর ধরেই নিরন্তর খোঁজ চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। কয়েকবছর আগে পৃথিবীর মানুষ চাঁদে বসবাসের জমিও কিনতে শুরু করেছিলেন। আর ইতিমধ্য়েই ইলন মাস্ক চাঁদ ও মঙ্গল গ্রহে মানুষ পাঠানোর স্বপ্ন দেখেছেন, যা বাস্তবে রূপ দিতে তিনি নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে মাস্কের কোম্পানি SpaceX একটি যুগান্তরকারী সিদ্ধান্ত নিতে প্রস্তুত। তিনি বিশ্বের বৃহত্তম রকেট স্টারশিপ (Starship) লঞ্চ করতে চলেছেন। এই স্টারশিপ রকেট মহাকাশে ভ্রমণকারী অন্য যে কোনও যানের চেয়ে বেশি শক্তিশালী বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এর উৎক্ষেপণ করার দিন পিছিয়ে চলেছে। প্রথমে বলা হয়েছিল এটি 17 এপ্রিল উৎক্ষেপণ করা হবে। তারপরে জানানো হয়েছে, সেটি পিছিয়ে চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে লঞ্চ করা হবে।
স্টারশিপ রকেট কতটা স্পেশাল?
মাস্ক বলেছেন যে, “আমরা প্রত্যাশা কম রাখতে চাই। কারণ, এই উৎক্ষেপণ সফল নাও হতে পারে। এই উৎক্ষেপণের সময় কোনও নভশ্চর তাতে উপস্থিত থাকবেন না।” তবে আমেরিকার মহাকাশ সংস্থা নাসা 2025 সালে মানুষকে চাঁদে নিয়ে যাওয়ার জন্য স্টারশিপ বেছে নিয়েছে। এই মিশনটিকে বলা হচ্ছে আর্টেমিস 3। অর্থাৎ 1972 সালের পর প্রথমবারের মতো 2025 সালে মানুষ আবার চাঁদে যাবে। 164-ফুট লম্বা স্টারশিপ রকেটটি ক্রু এবং কার্গো বহন করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
স্টারশিপ রকেটটি কীভাবে কাজ করবে?
স্টারশিপ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় রকেট। এর উচ্চতা 394 ফুট। ব্যাস 29.5 ফুট। এই রকেট দুটি ভাগে বিভক্ত। উপরের অংশকে বলা হয় স্টারশিপ। এটি যাত্রীদের মহাকাশে মঙ্গলগ্রহে নিয়ে যাবে। এর ভিতরে 1200 টন জ্বালানি রয়েছে। এই রকেটটি এতটাই শক্তিশালী যে এটি মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে পৃথিবীর এক কোণ থেকে অন্য কোণে পৌঁছে যাবে। অর্থাৎ, আন্তর্জাতিক ভ্রমণ 30 মিনিট বা তার কিছু বেশি সময়ে সম্পন্ন হয়। এ তো গেল প্রথম অংশটি, এর দ্বিতীয় অংশ সুপার হেভি বুস্টার। এটি একটি 226 ফুট উঁচু রকেট। যা পুনঃব্যবহারযোগ্য। অর্থাৎ এটি স্টারশিপকে একটি উচ্চতায় নিয়ে যাবে এবং ফিরে আসবে। এর ভিতরে 3400 টন জ্বালানি ব্যবহার করা হয়েছে। তবে স্টারশিপ এবং বুস্টার রকেট উভয়ই একসঙ্গে উড়বে না। সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী চললে, সুপার হেভি বুস্টার লঞ্চের 3 মিনিট পর স্টারশিপ থেকে আলাদা হয়ে মেক্সিকো উপসাগরে পড়ে যাবে। স্টারশিপের নিজস্ব 6টি ইঞ্জিন রয়েছে এবং এটি 150 মাইল পর্যন্ত যাবে।
কখন এটি লঞ্চ করা হবে?
স্পেসএক্স জানিয়েছে, উৎক্ষেপণটি সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। এটি 20 এপ্রিল সন্ধ্যা 6.58-এ লঞ্চ করা হবে। এখন এটাই দেখার যে সঠিক সময়ে এই বিরাট রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হয় কি না।