Strawberry Moon: লালচে আভার চাঁদের নাম ‘স্ট্রবেরি মুন’, কবে দেখা যাবে?
আজ ২৪ জুন ফুল মুন বা পূর্ণিমায় যে চাঁদ দেখা যাবে তাকে বলা হবে Strawberry Moon। যদিও সাধারণ দিনে চাঁদের যে আয়তন থাকে, ২৪ জুন তার থেকে কিছুটা বড়ই লাগবে চাঁদকে।
বৃহস্পতিবার ২৪ জুন রাতের আকাশে দেখা যাবে ‘স্ট্রবেরি মুন’। summer solstice বা উত্তরায়ণের পর আজই প্রথম পূর্ণিমা। আর সেই দিনই দেখা যাবে এই বিশেষ চাঁদ। আকার, আয়তনে অন্যান্য দিনের তুলনায় একটু বড়ই লাগবে এই লালচে আভার চাঁদ। এই ‘স্ট্রবেরি মুন’ আসলে বসন্ত বা স্প্রিং সিজনের শেষ ‘ফুল পূর্ণিমা’- র চাঁদ। একই ভাবে সামার সিজনের প্রথম ফুল মুন এই স্ট্রবেরি মুন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, উত্তর গোলার্ধে সামার সিজন শুরু হয় ২১ জুন থেকে। এই বিশেষ দিনে উত্তর গোলার্ধে সবচেয়ে বড় দিন দেখা যায়। কারণ এই সময় পৃথিবী তার অক্ষের উপর প্রদক্ষিণ করাকালীন উত্তর গোলার্ধের দিকে একটু বেশিই হেলে থাকে। ফলে সরাসরি বেশি সূর্যালোক পৌঁছয় উত্তর গোলার্ধে।
‘স্ট্রবেরি মুন’ এই বিশেষ নামের তাৎপর্য কী?
লালচে আভার এই চাঁদ দেখা যাওয়া এক স্বর্গীয় অনুভূতি। প্রাচীন আমেরিকান উপজাতিরা প্রথম এই চাঁদ লক্ষ্য করেছিলেন। সেই সময় ছিল পূর্ণিমা। আর ওই সময় স্ট্রবেরি চাষের শুরু হতো। সেই থেকেই সামার সিজনের প্রথম পূর্ণিমায় যে লালচে রঙের চাঁদ দেখা যায়, তাকে বলে ‘স্ট্রবেরি মুন’। অন্যান্য অনেক দেশে এই চাঁদের আলাদা নাম রয়েছে। যেমন- ইউরোপে এই চাঁদকে বলা হয় Rose Moon। কারণ এই সময় থেকে ইউরোপে গোলাপের চাষ শুরু হয়। অন্যদিকে উত্তর গোলার্ধে এই চাঁদের নাম ‘হট মুন’। কারণ এই সময় থেকে সামার সিজন শুরু হয় উত্তর গোলার্ধে। আবার ভারতে জৈষ্ঠ্য মাসের এই পূর্ণিমাকে বলে ‘বট পূর্ণিমা’।
ভারতে কি দেখা যাবে এই ‘স্ট্রবেরি মুন’?
রাতের আকাশে একদিনের বেশি সময় ধরে লক্ষ্য করা যায় ‘স্ট্রবেরি মুন’। নাসা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এই বিশেষ চাঁদ লক্ষ্য করা যাবে। অন্যদিকে, ভারতীয় সময় অনুযায়ী পূর্বদিকে দ্বীপপুঞ্জ এলাকায় দেখা যাবে ‘স্ট্রবেরি মুন’। এছাড়া আন্তর্জাতিক সময় অনুযায়ী শুক্রবার সকাল থেকে লক্ষ্য করা যাবে এই চাঁদ। নাসা আরও জানিয়েছে, প্রায় তিনদিন ধরে, বুধবার সকাল থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত এই পূর্ণ চাঁদ দেখা যাবে।
weather.com জানিয়েছে, ২৫ জুন মধ্যরাতে ১২টা ৯ মিনিটে ভারতে দেখা যাবে স্ট্রবেরি মুন। প্রায় তিনদিন ধরে স্থায়ী হবে এই ফুল মুন।
আরও পড়ুন- পাথর আর আইস অ্যাভালাঞ্চের কারণেই ধস নেমেছিল উত্তরাখণ্ডের চামোলিতে: ইউরোপীয়ান স্পেস এজেন্সি