AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Space Junk: মানবজীবন ধ্বংস করতে পারে মহাকাশের বর্জ্য, যত্রতত্র, যখন-তখন না ফেলার কঠোর আইনের দাবি উঠছে

Science News: মহাকাশে সৃষ্ট আবর্জনায় পৃথিবীর প্রভাবিত হওয়ার যথেষ্ট আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এমন একটা দিন আসতে পারে, যখন মানুষের মৃত্যুও ডেকে আনতে পারে মহাকাশের বর্জ্য। আর সেই কারণেই বিষয়টাকে বন্ধ করার দাবি উঠছে বিভিন্ন মহলে।

Space Junk: মানবজীবন ধ্বংস করতে পারে মহাকাশের বর্জ্য, যত্রতত্র, যখন-তখন না ফেলার কঠোর আইনের দাবি উঠছে
মহাকাশের আবর্জনা মানুষের প্রাণ সংশয় ঘটাতে পারে? প্রতীকী ছবি।
| Edited By: | Updated on: Aug 10, 2022 | 2:27 PM
Share

মহাকাশের বর্জ্য এবার মানবজীবনের জন্য ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। মহাকাশ থেকে আবর্জনা পড়ার কারণে পৃথিবীতে অনেক দুর্ঘটনাই ঘটেছে। তবে সম্প্রতি একটি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, মহাকাশ থেকে বর্জ্য নিক্ষেপ বড় দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে এবং তাতে মানুষের প্রাণ সংশয়ও ঘটতে পারে। আর সেই কারণেই এবার মহাকাশ থেকে যখন-তখন বর্জ্য নিক্ষেপ রুখতে কড়া আইন প্রণয়নের দাবি জোরদার হচ্ছে, যাতে এই ধরনের ভয়াবহ অবস্থা থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করা যায়। মহাকাশ আবর্জনা কী? যাঁরা বিষয়টা সম্পর্কে এখনও অবগত নন, তাঁদের জেনে রাখা উচিৎ, মহাকাশে জমা হওয়া আবর্জনা পৃথিবী থেকেই পাঠানো স্যাটেলাইট এবং মহাকাশ মিশনের একটি ভাঙা অংশ বা ক্ষতিগ্রস্ত উপগ্রহ। স্বাভাবিক বিমান চলাচলের ক্ষেত্রেও বড়সড় বিপদ ডেকে আনতে পারে এই ধরনের আবর্জনা।

মহাকাশ থেকে নিক্ষেপিত যে কোনও জিনিসেরই গতি খুব বেশি হয়। এর আগে অনেক বার দেখা গিয়েছে, এই জিনিসগুলি পৃথিবীতে পড়ার পর মাটিতে কয়েক ফুটের গর্ত সৃষ্টি করেছে। এখন ভাবুন এই মহাকাশ আবর্জনা যদি পৃথিবীতে পড়ে, তাহলে খুব স্বাভাবিক ভাবেই মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই এই নিয়ে মহাকাশবিজ্ঞানী থেকে শুরু করে গবেষকরা চাইছেন কোনও কড়া আইন প্রণয়ন করতে যাতে, এর ফলে মানবজীবন যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

কয়েকশো বার পৃথিবীতে মহাকাশের আবর্জনা পড়েছে

ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির তরফে পরিসংখ্যান দিয়ে বলা হয়েছে, 1971 সাল থেকে 2018 সালের মধ্যে মহাকাশ থেকে আবর্জনা পড়ার সংখ্যা ছিল প্রায় 260। এই পয়েন্টগুলি নিমো নামে একটি জায়গায় পড়েছিল। এ কারণে এই স্থানটিকে মহাকাশ বর্জ্যের কবরস্থান বলা হয়।

মহাকাশ বিজ্ঞানে একটি প্রচলিত দাবি রয়েছে যে, স্যাটেলাইটগুলি আরও উচ্চতায় স্থাপন করা উচিৎ, যাতে পতনের ঝুঁকি হ্রাস করা যায়। এছাড়া এমন কিছু পদ্ধতি উদ্ভাবনেরও চেষ্টা চলছে, যার মাধ্যমে মহাকাশে থাকা বর্জ্য সংগ্রহ করে পৃথিবীতে ফিরিয়ে নিয়ে আসা যাবে। যদিও এই কাজটি বেশ জটিল এবং ব্যয়বহুলও বটে।

মহাকাশে আবর্জনা আসে কোথা থেকে?

বিশ্বজুড়ে মহাকাশ সংস্থাগুলি বিভিন্ন গ্রহ এবং উপগ্রহ অধ্যয়নের জন্য বিভিন্ন মিশন পাঠায়। এছাড়াও আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে সর্বদা নভোচারীরা থাকেন। স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য ব্যবহৃত রকেটের কিছু টুকরো মহাকাশে রয়ে যায়। পাশাপাশি, যখন পুরানো স্যাটেলাইটগুলিও ধীর হয়ে যায়, তারা তাদের কক্ষপথ ছেড়ে পৃথিবীর কাছাকাছি আসে এবং একটি সময়ের পরে তারা পৃথিবীতে পড়ে।

নাসার তরফে বলা হচ্ছে, মহাকাশে 23 হাজারেরও বেশি ছোট-বড় টুকরা রয়েছে যা পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে। একই সঙ্গে মহাকাশে 1 সেন্টিমিটার আকারের প্রায় পাঁচ লাখ টুকরা রয়েছে। এই টুকরোগুলি কেবল পৃথিবীতে বসবাসকারী মানুষের জন্যই নয়, পৃথিবীর চারপাশে থাকা উপগ্রহ এবং মহাকাশ স্টেশনগুলির জন্যও একটি বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। প্রসঙ্গত, মহাকাশ স্টেশনগুলি দিনে 15-16 বার পৃথিবীর চারপাশে ঘোরে।

মানুষের দ্বারা পাঠানো উপগ্রহ কর্তৃক সৃষ্ট মহাকাশের আবর্জনা যাতে মানুষের উপরেই ভয়ানক প্রভাব ফেলতে না পারে, তার জন্য কী নিয়ম নিয়ে আসা হয়, তাই এখন দেখার।