মহিলা পর্যটকের মাথার টুপি চুরি করে নিচ্ছে হাতি! ভিডিয়ো দেখে ক্ষুব্ধ নেট দুনিয়া
আপাত দৃষ্টিতে এই ভিডিয়ো দেখতে খুব সুন্দর লাগলেও নেটাগরিকরা বেশ ক্ষুব্ধ হয়েছেন ভিডিয়ো দেখে।
মহিলা পর্যটকের সঙ্গে মশকরা করছে এক দাঁতাল হাতি। সম্প্রতি মার্কিন বাস্কেটবল খেলোয়াড় রেক্স চ্যাপম্যান একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন টুইটারে। ‘টাইমলাইন ক্লেনজার’ ক্যাপশন দিয়ে হামেশাই নানা ভিডিয়ো পোস্ট করেন রেক্স। সেই ভাবেই শেয়ার করেছেন এই ভিডিয়ো।
সেখানে দেখা গিয়েছে, এক প্রকাণ্ড দাঁতাল বুনো হাতির সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন এক বিদেশিনী। তাঁর মাথায় রয়েছে একটি সাদা টুপি (হ্যাট)। পিছন থেকে চুপিচুপি এগিয়ে এসে শুঁড় দিয়ে সেই টুপি তুলে নিয়েছে হাতিটি। তাই দেখে হেসে লুটিয়েছেন মহিলা। খানিকক্ষণ পর অবশ্য বিদেশিনীর অনুরোধে শান্ত ভাবেই টুপিটি ফেরতও দিয়ে দিয়েছে এই হাতিটি।
Timeline cleanser:
An elephant playing a joke on a lady. They’re so brilliant… pic.twitter.com/T3ySSxAWoz
— Rex Chapman?? (@RexChapman) February 10, 2021
এই ভিডিয়ো এখন ভাইরাল হয়েছে টুইটারে। কিন্তু আপাত দৃষ্টিতে এই ভিডিয়ো দেখতে খুব সুন্দর লাগলেও নেটাগরিকরা বেশ ক্ষুব্ধ হয়েছেন ভিডিয়ো দেখে। এমনকি রেক্স চ্যাপম্যানকেও একহাত নিতে ছাড়েননি একদম টুইটারিয়ান। বেশিরভাগেরই বক্তব্য, এই ধরনের নানা রকম কীর্তিকলাপ করার জন্য হাতিদের ট্রেনিং দেওয়া হয়। সেই প্রশিক্ষণ দেওয়ার পদ্ধতি বেশ নিষ্ঠুর। তাই এমন ভিডিয়ো শেয়ার করে আদতে রেক্স ওই বেআইনি কাজকর্মকেই সমর্থন করছেন বলে মনে করছেন অনেকে।
1. I'm familiar with this place. This is a safari park in Zimbabwe which allows for unethical interactions between humans and elephants.
I've talked to Rex about videos like this before and he always says he didn't know, but how many times can someone claim ignorance? https://t.co/K71jsPvMvA
— Yashar Ali ? (@yashar) February 11, 2021
যদিও টুইটারে এই ভিডিয়োর ভিউ এবং লাইকের সংখ্যা তরতর করে বেড়েছে। নেটিজ়েনদের অনেকেই প্রশংসা করে কমেন্ট করেছেন। তবে ক্ষুব্ধই হয়েছেন বেশিরভাগ মানুষ। টুইটার ইয়াশার আলি, যিনি আবার পেশায় সাংবাদিক, তিনি লিখেছেন, এই ভিডিয়ো জিম্বাবোয়ের একটি সাফারি পার্কের। ইয়াশারের অভিযোগ, ওই সাফারি পার্কে পশুপাখি এবং মানুষের মধ্যে বিভিন্ন অনৈতিক যোগাযোগ বা সম্পর্ককে উৎসাহ দেয়। ইয়াশার আরও লিখেছেন যে, এই ধরনের ভিডিয়ো নিয়ে নাকি রেক্সের সঙ্গে আগেও তাঁর কথা হয়েছে। তবে রেক্স নাকি বারবারই বলেছেন তিনি এসবের কিছু জানেন না। এই প্রসঙ্গেই ইয়াশার বলেছেন, “কতবার কেউ এমন বিষয় এড়িয়ে যেতে পারেন?”
ইয়াশারের মতোই আরও অনেকে লিখেছেন, হাতিদের মারধর করে, ভীষণ কষ্ট দিয়ে এবং প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে এসব ট্রেনিং দেওয়া হয়। আর একদম মানুষ সেইসবের ফায়দা নেন কেবল নিজেদের আনন্দের জন্য। এইসব মানুষদের একেবারেই ক্ষমা করা উচিত নয়। বরং এমন নিয়ম করা উচিত, যাতে বন্য প্রাণীদের কাছাকাছি মানুষ যেতেই না পারে।