Viral Post: পেস্ট্রির সঙ্গে বায়োডেটা, ফুড ডেলিভারি সংস্থার জামা গায়ে এমন কাণ্ড কেন ঘটালেন এই যুবক?

Bengaluru: এই ঘটনা নেটিজ়েনদের সামনে এনেছে আমান নিজেই। তিনি ফুড ডেলিভারি সংস্থার জামা পরে একটি ছবি টুইট করেছেন।

Viral Post: পেস্ট্রির সঙ্গে বায়োডেটা, ফুড ডেলিভারি সংস্থার জামা গায়ে এমন কাণ্ড কেন ঘটালেন এই যুবক?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 06, 2022 | 11:38 AM

এখন প্রতিটা স্তরে প্রতিযোগিতা। পছন্দমতো চাকরি পাওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত লড়াই করে যেতে হচ্ছে। শিক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও সবাই যে চাকরি পাচ্ছে তা কিন্তু নয়। শেষ অবধি হাজার হাজার CV-এর ঠিকানা হয় ডাস্টবিনে। কোনও চাকরিপ্রার্থীই এটা চায় না যদিও। তাই এবার নিয়োগকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য এক অন্য পথ বেছে নিল বয়স ২৪ এর এই যুবক।

বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা আমান খান্ডেলওয়াল। তিনি MBA পাস। গায়ে জড়িয়ে নিয়েছেন ফুড ডেলিভারি সংস্থার জামা। আনারস পেস্ট্রি নিয়ে পৌঁছে দিচ্ছেন স্টার্ট-আপ কোম্পানির দোরগোড়ায়। পার্সেলের ভিতরে রয়েছে আমানের বায়োডেটা। পাশাপাশি লেখা রয়েছে, ‘বেশির ভাগ বায়োডেটার শেষ ঠিকানা হয় আবর্জনার স্তূপে, কিন্তু আমারটা হবে আপনার পেটে।’

এই ঘটনা নেটিজ়েনদের সামনে এনেছে আমান নিজেই। তিনি ফুড ডেলিভারি সংস্থার জামা পরে একটি ছবি টুইট করেছেন। তিনি লিখেছেন, “zomato ডেলিভারি বয়ের পোশাক পরে আমি আমার বায়োডেটা পেস্ট্রির বাক্সে ডেলিভারি করেছি। বেঙ্গালুরুতে একগুচ্ছ স্টার্টআপের কাছে এটা পাঠিয়েছি।” কিন্তু এমন সিদ্ধান্ত কেন নিল আমান?

আমান পুনের ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রিসার্চ (IMDR) থেকে MBA করেছে। রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাণিজ্যে স্নাতক ডিগ্রিও রয়েছে আমানের। বর্তমানে সে ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি হিসেবে চাকরি খুঁজছে। কিন্তু চাকরি না পেয়েই এই পথ বেছে নিয়েছে সে। যদিও এর পরবর্তী টুইটে আমান তাঁর নিজের লিঙ্কডইন প্রোফাইলও শেয়ার করেছেন।

তবে এভাবে বায়োডেটা পাঠানোর আইডিয়া সম্পূর্ণরূপে আমানের নিজের নয়। এর অনুপ্রেরণা সে নিয়েছে Lukas Yla-এর থেকে। সান ফ্রাঙ্কসিসকোর বাসিন্দা লুকাস হলেন একজন মার্কেটিং স্পেশালিস্ট। তিনিও একসময় তাঁর বায়োডেটা পাঠিয়েছিলেন ডোনাটের সঙ্গে। সেই সময় এই ঘটনা আমানের মতো ভাইরাল হয়েছিল।

আমান জানিয়েছেন যে, তিনি বেঙ্গালুরুতে এটা করেছেন কারণ এখানে এমন বেশ কিছু সংস্থা রয়েছে, যাদের সঙ্গে তিনি কাজ করতে চান। পাশাপাশি বেঙ্গালুরু হল এমন একটি শহর যেখানে এই ধরনের সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করা হয়।

কিন্তু এভাবে বায়োডেটা পাঠাতে কি বেশ কসরত করতে হয়েছে আমানকে? এই প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, এই সমগ্র বিষয়টা সম্পন্ন করতে তাঁর ৪০০ টাকা খরচ হয়েছে। “আমি সব ফার্মগুলোতে গিয়েছে এবং সিকিউরিটি গার্ডের কাছে আনারসের পেস্ট্রির সঙ্গে আমার বায়োডেটা দিয়ে এসেছি। আমি বক্সের উপর লিখে দিয়েছিলাম যে, এটা HR ম্যানেজারের জন্য।”

ডোনাটের সঙ্গে বায়োডেটা পাঠিয়ে লুকাস প্রায় ১০টা সংস্থায় ইন্টারভিউ দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু আমান তা পাননি। বরং এই ঘটনাটি টুইটারে পোস্ট করার পর তিনি ৬-৭টা ইন্টারভিউয়ের ডাক পেয়েছেন। প্রথমদিকে এই বিষয়টি নিয়ে ভয় পেলেও এখন আমানের পোস্টটি ভাইরাল নেটদুনিয়ায়।