Pickle 2022 Sculpture: বেকায়দায় সিলিংয়ে চিপকে গিয়েছিল, সেই এক ফোঁটা আচার বদলে গেল শিল্পকর্মে, দাম ৪.৯ লাখ টাকা
Matthew Griffin's Pickle Artwork: ম্যাকডোনাল্ডে বসে বার্গার খাচ্ছিলেন শিল্পী ম্যাথিউ গ্রিফিন। আর সেই সময়ই বেকায়দায় আচারটি তাঁর হাত থেকে ফস্কে ছাদে চিপকে যায়। চিপকে যাওয়া সেই আচারই এখন আর্টওয়ার্কে রূপান্তরিত হয়েছে।
ঘটনাচক্রে কখন যে কী ঘটে যায়, আর তার যে কী বিরাট মূল্যও নির্ধারিত হতে পারে, তা আমাদের আন্দাজের বাইরে। অস্ট্রেলিয়ান শিল্পী ম্যাথিউ গ্রিফিন (Matthew Griffin) বার্গার খাচ্ছিলেন। বার্গার খেতে-খেতে নিজেরই অজান্তে তিনি বানিয়ে ফেললেন এক অদ্ভুত শিল্পকর্ম। গ্রিফিন যখন সেই বার্গারের আচার (Pickle) খাচ্ছিলেন, তখন তা বেকায়দায় ছিটকে লাগে দোকানের সাদা ছাদে। এবার সেই সাদা দেওয়ালে আচারের এক ফোঁটা হলদে ছোপ এমনই অসাধারণ দেখতে লাগছে যে, তা এখন শিল্পকর্মে রূপান্তরিত। খেতে এসেছিলেন বার্গার। অজ্ঞাতসারে তৈরি হওয়া এই চোখধাঁধানো শিল্পকর্ম নিয়ে এমনই হইহই রব উঠে গিয়েছে যে, গ্রিফিন তার মূল্যও নির্ধারণ করেছেন। সাধের আর্টওয়ার্কের নাম রাখা হয়েছে ‘পিকল’, যার দাম ১০,০০০ নিউ জ়িল্যান্ড ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৪.৯৩ লাখ টাকা।
View this post on Instagram
মাইকেল লেট গ্যালারিতে ডিসপ্লে করা হয়েছে পিকল নামক ওই আর্টওয়ার্কটি। অকল্যান্ডের ওই প্রদর্শনশালায় চারটি নতুন শিল্পকর্মের মধ্যে সবথেকে আকর্ষণীয় এখন এই পিকল, যা দেখতে প্রতিদিন প্রচুর মানুষ জড়ো হচ্ছেন। ইনস্টাগ্রামে এর একটি ছবিও শেয়ার করা হয়েছে, যেখানে দেখা গিয়েছে সাদা সিলিংয়ে চিপকে রয়েছে হলদে আচার। পোস্টের ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, “ম্যাথিউ গ্রিফিনের পিকল ২০২২ একটি ভাস্কর্য যা প্রদর্শনশালার ছাদের লাগানো হয়েছে।”
ছবিটি অনলাইনে শেয়ার হওয়ার পর থেকে নেটাগরিকরা অভিভূত। কেউ এই শিল্পকর্মকে জিনিয়াস বলেছেন, কেউ আবার বলেছেন অনবদ্য, কারও আবার বক্তব্য বোকা বোকা কাজকর্ম। আর একজন যোগ করলেন, “এখনও পর্যন্ত যা দেখেছি, তার মধ্যে সবথেকে শ্রেষ্ঠ হল এটি।” অন্য একজন যোগ করলেন, “ফালুত একটা কাজ। শিল্পের মৃত্যু হয়েছে।” মজা করে আর একজন বললেন, “এই কাজ করার জন্য আমাকে ম্যাকডোনাল্ড থেকে একজন বের করে দেওয়া হয়েছিল। আর তাই নাকি এখন শিল্প।”
সিডনি ফাইন আর্টসের ডিরেক্টর রায়ান মুর শিল্পী ম্যাথিউ গ্রিফিনের বিভিন্ন শিল্পকর্ম প্রদর্শন করেন। সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে মুর দাবি করেছেন, “যে কোনও কাজের জন্য একটা হাস্যকর প্রতিক্রিয়া কখনও অবৈধ হতে পারে না। তবে ঠিকাছে। একটু মজা হতেই পারে। কারণ, এই শিল্প যে আসলে মজারই।” পাশাপাশি তিনি দর্শকদের উদ্দেশ্যে প্রশ্নচিহ্নও ছুড়ে দিয়েছেন। বলছেন, “আর্ট কাকে বলি আমরা? এখন আমাকে কেউ যদি বলে যে এটা আর্ট নাকি অন্য কিছু, সেই প্রশ্ন নিয়ে আমি এক ফোঁটাও ভাবিত নই।”
তিনি আরও যোগ করে বলছেন, “খুব সহজ ভাবে বলতে গেলে শিল্পীরা সিদ্ধান্ত নেন না যে, কী শিল্প আর কী শিল্প নয়। তাঁরা কেবলই সৃষ্টি করে যায়। শিল্পকর্ম হিসেবে কিছু মূল্যবান এবং অর্থবহ কি না, তা আমরা সম্মিলিত ভাবে, একটি সমাজ হিসেবে সেটি সম্পর্কে কথা বলতে বেছে নিই।”
মিস্টার মুরের আরও বক্তব্য, “কোনও সিলিংয়ে আচার চিপকে দিলে যেমন লাগে, এই শিল্পকর্মটিও ঠিক তেমনই লাগবে। এর মধ্যে কোনও কৃত্রিমতা নেই। এর মধ্যে অতি অবশ্যই ভাস্কর্যের একটা ছোঁয়া রয়েছে।”