তামিলনাড়ুর মন্দিরে চলছে ‘করোনা দেবীর’ পুজো, আয়োজন হয়েছে মহাযজ্ঞের

তামিলনাড়ুর কোয়াম্বাটোরে এই ধরনের অনেক দেবদেবীর মূর্তি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যেমন এই করোনা দেবীর মতো রয়েছে প্লেগ মারিয়াম্মান মন্দির। মানুষের বিশ্বাস অতীতে প্লেগ কিংবা কলেরার মতো মহামারীর সময় দেশবাসীকে রক্ষা করেছেন এই ভগবান।

তামিলনাড়ুর মন্দিরে চলছে 'করোনা দেবীর' পুজো, আয়োজন হয়েছে মহাযজ্ঞের
কোয়েম্বাটোরের একটি মন্দিরে চলছে এই 'করোনা দেবীর' পুজো।
Follow Us:
| Updated on: May 20, 2021 | 10:01 AM

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের দাপটে বিপর্যস্ত গোটা দেশ। প্রথম দফার ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ ঢুকে পড়েছে ভারতে। সেই সঙ্গে ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে তৃতীয় ঢেউ আসার আতঙ্ক। দেশের এমন চরম দুর্দিনে। মহামারী পরিস্থিতিতে অনেকেই হারিয়েছেন প্রিয়জনকে। দেশের সাধারণ মানুষের সেবায় নিয়োজিত প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদেরও অনেকেই হার মানতে বাধ্য হয়েছেন করোনার কাছে। সুস্থ পৃথিবী দেখার আশায় দিন গুনছেন সকলেই।

এর মধ্যেই প্রকাশ্যে এল এক বিচিত্র খবর। তামিলনাড়ুর এক মন্দিরে চলছে দেবী করোনার পুজো। ভাইরাসের প্রকোপ থেকে জনজাতিকে উদ্ধার করতেই হয়েছে এই পুজোর আয়োজন। তামিলনাড়ুর কোয়াম্বাটোরে রয়েছে Kamatchipuri Adhinam মন্দির। সেখানকার কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়ে দেবী করোনার মূর্তিও গড়েছেন ইতিমধ্যেই। কোয়াম্বাটোরের কামাতচিপুরি অধিনাম মন্দিরের দায়িত্বে রয়েছে শিবলিঙ্গেস্বরার নামের এক ব্যক্তি। তিনি জানিয়েছেন, অতীতেও এমনটা হয়েছে। মহামারীর সময় যেমন প্লেগ বা অন্যান্য কঠিন রোগের হাত থেকে দেশের সাধারণ মানুষকে রক্ষা করার জন্য এই মন্দিরে দেব-দেবীর মূর্তি প্রতিষ্ঠা করে পুজো করা হয়েছে। রোগ বা ভাইরাস কিংবা সেই সংক্রান্ত কোনও বিষয়েই ওই দেব-দেবীর নামকরণও করা হয়েছে। এবারও তেমনটাও করা হয়েছে। করোনার প্রভাব থেকে মানুষকে রক্ষা করার জন্যই এই করোনা দেবীর পুজো করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন- করোনা আক্রান্তদের খাবারের ব্যবস্থা করেছেন মা, বাক্সের গায়ে ভাল থাকার বার্তা দিচ্ছে তাঁর ছোট্ট ছেলে

তামিলনাড়ুর কোয়াম্বাটোরে এই ধরনের অনেক দেবদেবীর মূর্তি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যেমন এই করোনা দেবীর মতো রয়েছে প্লেগ মারিয়াম্মান মন্দির। মানুষের বিশ্বাস অতীতে প্লেগ কিংবা কলেরার মতো মহামারীর সময় দেশবাসীকে রক্ষা করেছেন এই ভগবান। জানা গিয়েছে, কামাতচিপুরি অধিনাম মন্দিরের তরফে গ্রানাইট দিয়ে করোনা দেবীর মূর্তি গড়া হয়েছে। ৪৮ দিনের একটি বিশেষ প্রার্থনারও করা হয়েছে। এরপর আবার মহাযজ্ঞও হবে। তবে সেই সময় কোনও সাধারণ মানুষ মন্দিরে প্রবেশের বা মন্দিরে এসে প্রার্থনা করার অনুমতি পাবেন না।