ভালবাসাই ‘অপরাধ’! লাহোর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত দুই পড়ুয়া
সদ্যই সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল একটি ভিডিয়ো। সেখানে দেখা গিয়েছিল, হাঁটু মুড়ে বসে এক যুবককে প্রোপোজ করছেন তাঁর বান্ধবী।
তাঁদের ‘অপরাধ’ তাঁরা একে অন্যেকে ভালবাসেন। সেইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেই একজন আর একজনকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আর এই ‘অপরাধ’- এই বহিষ্কার করা হয়েছে লাহোর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই পড়ুয়াকে।
সদ্যই সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল একটি ভিডিয়ো। সেখানে দেখা গিয়েছিল, হাঁটু মুড়ে বসে এক যুবককে প্রোপোজ করছেন তাঁর বান্ধবী। ছক ভাঙা এই ‘প্রোপোজাল মোমেন্ট’ নিমেষেই ভাইরাল হয়েছিল নেট দুনিয়ায়। ফিল্মি কায়দায় যুবককে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন তরুণী। পরে জানা যায়, এই লাহোর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া এই দু’জন। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেই গোলাপের তোড়া নিয়ে যুবকের কাছে প্রেম নিবেদন করেছিলেন তরুণী।
আরও পড়ুন- হাঁটু মুড়ে বসে যুবককে প্রোপোজ! লাহোর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর ভিডিয়ো ভাইরাল
কিন্তু ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই ফরমান জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মবিধি লঙ্ঘন করেছেন এই দুই পড়ুয়া। আর তার দায়ে দু’জনকেই বহিষ্কার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, একটি বৈঠক ডাকা হয়েছিল এই বিষয়ে আলোচনার জন্য। সেখানেও নাকি হাজিরা দেননি এই দুই পড়ুয়া। পাকিস্তানের বিখ্যাত সংবাদপত্র ‘ডন’- এর তরফেও তাদের প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি, ১২ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টায় রেক্টরের অফিসে স্পেশ্যাল ডিসিপ্লিনারি কমিটির তরফে ওই মিটিং ডাকা হয়েছিল। অভিযোগ, সেখানে আসেননি এই যুবক-যুবতী।
ঠিক যেভাবে লাহোর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই দুই পড়ুয়ার ‘প্রোপোজাল মোমেন্ট’ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল, তেমনভাবেই নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে তাঁদের বহিষ্কারের খবর। আর এই ঘটনায় দু’ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছেন নেটিজ়েনরা। অনেকেই বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে এমনটা করা মোটেই উচিত হয়নি। অন্যদিকে আর একদল নেটিজ়েন বলছেন, দু’জন প্রাপ্তবয়স্কর ব্যক্তিগত জীবনে নাক গলিয়ে মোটেও ভাল কাজ করেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আর প্রকাশ্যে তো কোনও অশালীন আচরণ করেননি এই দু’জন। তাহলে সমস্যা কোথায়?