পাদ্রী কুঠি কাণ্ডে গ্রেফতার তিন বিজেপি কর্মী, প্রতিবাদে থানা ঘেরাও গেরুয়া শিবিরের

গতকাল রাতে তৃনমূলের এস সি এস টি ওবিসি সেলের জলপাইগুড়ি জেলার চেয়ারম্যান কৃষ্ণ দাস ও তাঁর বাহিনীর হাতে মার খায় বিজেপির কর্মীরা। এরপর লিখিত অভিযোগ করা সত্ত্বেও পুলিশ, কৃষ্ণ দাস বা প্রধান হেমব্রমকে গ্রেফতার করেনি।

পাদ্রী কুঠি কাণ্ডে গ্রেফতার তিন বিজেপি কর্মী, প্রতিবাদে থানা ঘেরাও গেরুয়া শিবিরের
ফাইল ছবি।
Follow Us:
| Updated on: Mar 30, 2021 | 9:55 PM

জলপাইগুড়ি: দোলযাত্রার হোলি উদযাপন করতে গিয়ে ধারালো অস্ত্রের কোপে বিজেপি (BJP) কর্মীর কান কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। ঘটনার জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল জলপাইগুড়ির পাদ্রী কুঠি এলাকা। মঙ্গলবার সকালে, এই ঘটনার জেরে তিন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁরাই গতকাল তৃণমূল কর্মীদের হাতে মার খেয়েছেন বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল থেকেই থানা ঘেরাও করেন বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা।

পদ্ম শিবিরের (BJP) অভিযোগ, সোমবার সন্ধ্যা বেলায় হোলি খেলার সময়ে আচমকাই হামলা করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বিজেপি কর্মীদের মারধোর করার পাশাপাশি ভাঙচুর চালানো হয় বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে। ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয় বিজেপি কর্মীদের বাইক ও স্কুটার। কান কাটা যায় এক বিজেপি কর্মীর। বিজেপি (BJP) জেলা সহ-সভাপতি অলোক চক্রবর্তীর অভিযোগ, গতকাল রাতে তৃনমূলের (TMC) এস সি এস টি ওবিসি সেলের জলপাইগুড়ি জেলার চেয়ারম্যান কৃষ্ণ দাস ও তাঁর বাহিনীর হাতে মার খায় বিজেপির কর্মীরা।

এরপর লিখিত অভিযোগ করা সত্ত্বেও পুলিশ, কৃষ্ণ দাস বা প্রধান হেমব্রমকে গ্রেফতার করেনি। উলটে, বিজেপির তিনকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এমনকী ছাড় পাননি চিকিৎসাধীন বিজেপি কর্মীও। তিনি সুস্থ হলেই তাঁকে গ্রেফতার করা হবে এমনই হুমকি দেওয়া হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে এমনটাই অভিযোগ পদ্মশিবিরের। এর জেরেই মঙ্গলবার সকাল থেকে থানা ঘেরাও করেন বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা।

বিজেপি নেতা অলোক চক্রবর্তী আরও বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বসিয়ে রেখে দলদাস পুলিশ কেবল শাসক শিবিরের তাবেদারি করছে। আমাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। পুলিশ আমাদের রক্ষা করতে না পারলে আমরা নিজেরাই নিজেদের রক্ষা করব।’

যদিও, বিজেপির সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক দল। তৃণমূল (TMC) নেতা সৈকত চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, ‘বিজেপির নাক-কান নেই। তাই এসব মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে। রঙ খেলা নিয়ে নিজেদের মধ্যে গোষ্ঠীকোন্দলের দায় তৃণমূলের ঘাড়ে চাপাতে চাইছে। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।’

আরও পড়ুন: হোলি খেলার সময় কান কাটা গেল বিজেপি কর্মীর, অভিযোগ দুই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে