হোলি খেলার সময় কান কাটা গেল বিজেপি কর্মীর, অভিযোগ দুই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে
গোটা ঘটনার নেপথ্যে শাসকদলের নেতা কৃষ্ণ দাস ও প্রধান হেমব্রমের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে গেরুয়া শিবির। জলপাইগুড়ি কোতয়ালি থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।
জলপাইগুড়ি: দোলযাত্রার পর সোমবার হোলি উদযাপন চলছিল রাজ্যজুড়ে। কিন্তু, রাজনৈতিক কোন্দলের জেরে সেই উৎসবের তাল কাটল জলপাইগুড়িতে। ধারালো অস্ত্রের কোপ মেরে বিজেপি (BJP) কর্মীর কান কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির কোতয়ালি থানা অন্তর্গত পাদ্রী কুঠি এলাকায়। অভিযোগের তির এলাকার দুই দাপুটে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ পাদ্রী কুঠি এলাকায় বিজেপি কর্মীরা নিজেদের মধ্যে হোলি খেলার সময় এই ঘটনা ঘটে। বিজেপি জেলা সহ-সভাপতি অলোক চক্রবর্তীর দাবি, অতর্কিতে হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বিজেপি কর্মীদের মারধর করার পাশাপাশি ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলারও অভিযোগ তোলা হয়েছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনার নেপথ্যে শাসকদলের নেতা কৃষ্ণ দাস ও প্রধান হেমব্রমের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে গেরুয়া শিবির। জলপাইগুড়ি কোতয়ালি থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার না করা হলে বৃহৎ আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে গেরুয়া শিবির।
অন্যদিকে, আহত বিজেপি কর্মীকে ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন: প্রয়োজনে গুলি চালাতে পারবে কেন্দ্রীয় বাহিনী, অনুমতি কমিশনের
তৃণমূলের পক্ষ থেকে যদিও বিজেপির যাবতীয় অভিযোগ নস্যাৎ করে দেওয়া হয়। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা প্রধান হেমব্রমের দাবি, বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। যে সময় এই ঘটনা ঘটে তখন তিনি নিজের বাড়িতেই ছিলেন। এর পিছনে তৃণমূলের কোনও ভূমিকা নেই বলেই দাবি করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: নীরবতা ভাঙলেন বুদ্ধদেব, ভোট বাংলায় লিখিত বিবৃতি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর