AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

দুই জেলায় বজ্রাঘাতে একইদিনে মৃত ৫, আহত ৩! নিম্নচাপের সিঁদুরে মেঘ দেখছে আবহাওয়া দফতর

শুধু জামালপুরেই নয়, বাজ পড়ে হুগলিতে মৃত্য়ু হয়েছে এক ব্যক্তির। গুরুতর জখম তিন। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম গোবিন্দ ঘোষ এবং আহতরা হলেন রাজদীপ ঘোষ, গোপাল ঘোষ ও শিব শঙ্কর ঘোষ।

দুই জেলায় বজ্রাঘাতে একইদিনে মৃত ৫, আহত ৩! নিম্নচাপের সিঁদুরে মেঘ দেখছে আবহাওয়া দফতর
ফাইল চিত্র।
| Updated on: Jun 05, 2021 | 9:11 PM
Share

পূর্ব বর্ধমান:  ঘূর্ণিঝড় ইয়াস (Cyclone Yaas) ত্রাসকেই এখনও মোকাবিলা করা সম্ভব হয়নি। বঙ্গ জুড়ে তার ধ্বংসলীলার সাক্ষর অমলিন। এর মধ্যেই বাংলার উপকূলে ফের নিম্নচাপের আশঙ্কায় কপালে ভাঁজ ইয়াস বিধ্বস্ত সুন্দরবন ও উপকূলের জেলাগুলির। আলিপুর হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছিল আগামী ১০ জুন অমাবস্যার ভরা কোটাল। ১১ জুন নিম্নচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তারই পূর্বাভাস পাওয়া গেল শনিবার। বিকেল থেকেই দুই বর্ধমান-সহ একাধিক জেলায় হল বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারি বৃষ্টিপাত। আচমকা বজ্রাঘাতে এদিনই পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে মৃত্যু (Death Accident) হল ৪ জনের। জখম হয়েছেন একজন।

জানা গিয়েছে, গুড়েঘর গ্রামের রঞ্জিত গোয়ালা, কাঁশরা গ্রামের অরূপ বাগ, জ্যোৎশ্রীরামের বাসিন্দা শম্ভুচরণ দাস ও মুহন্দরের অধীর মালিক এদিন বজ্রাঘাতে মারা যান। মৃত রঞ্জিত গোয়ালার শ্যালক মনু আইরি গুরুতর আহত। তাঁর নিবাস কালনা মহকুমার তিলডাঙ্গা গ্রামে। আপাতত তিনি জামালপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মৃত ও আহতেরা সকলেই কৃষিজীবী। মৃত রঞ্জিত গোয়ালার ছেলে অভিজিৎ জানান, শনিবার তাঁর মামা মনু আইরি ও বাবা রঞ্জিত ঝিঙে জমির পরিচর্যা করতে মাঠে যায়। আচমকা ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলে তাঁরা মাঠ থেকে পালিয়ে আসার চেষ্টা করেন। আচমকা বাজ পড়ায় ঘটনাস্থলেই মারা যান রঞ্জিত এবং আহত হন মনু। পরে তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কাঁশরা গ্রামে মৃত অরূপ বাগের দাদা রুদ্রকান্ত জানিয়েছেন, এদিন অরূপ ও তাঁর স্ত্রী তিল ক্ষেতে কাজ করছিলেন। সেইসময়ে আচমকা বৃষ্টি শুরু হয়। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। হঠাৎ করেই বাজ পড়ে মারা যান অরূপ। বরাতজোরে বেঁচে যান তাঁর স্ত্রী। অন্যদিকে, মৃত শম্ভুচরণ দাস পটলের ক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে বজ্রাঘাতে মারা যান। মুহন্দর গ্রামের বাসিন্দা অধীর মাঠ থেকে গোরু নিয়ে ফেরার পথে বজ্রাঘাতে মারা যান।

জামালপুর পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, আচমকা ঝড়-বৃষ্টি ঝোড়ো হাওয়ার জন্যই এই মৃত্যু ঘটেছে। শুধু জামালপুরেই নয়, বাজ পড়ে হুগলিতে মৃত্য়ু (Death) হয়েছে এক ব্যক্তির। গুরুতর জখম তিন। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম গোবিন্দ ঘোষ এবং আহতরা হলেন রাজদীপ ঘোষ, গোপাল ঘোষ ও শিব শঙ্কর ঘোষ। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শনিবার বিকেলে হুগলি বেশ কিছু জায়গায় শুরু হয় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি, সঙ্গে ঘনঘন বাজ পড়তে থাকে। সেই সময় গোবিন্দ ঘোষ সহ আরো তিনজন মান্দারণ এলাকার একটি বিদ্যুতের খুঁটি নিচে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তখনই বাজ পড়ে তাঁদের উপর। সকলকে উদ্ধার করে ইটাচুনা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা গোবিন্দকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রাথমিক চিকিৎসার পর গোপাল ঘোষ কে ছেড়ে দেওয়া হয়। শিব শংকর ঘোষ ও রাজদীপ ঘোষ কে পাণ্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।খবর পেয়ে হাসপাতলে যান পাণ্ডুয়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি চম্পা হাজরা।

প্রসঙ্গত, আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে ১১ জুন যে নিম্নচাপটি উৎপত্তির সম্ভাবনা আছে, তা শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। সাধারণ নিম্নচাপে হাওয়ার গতিবেগ কম থাকে। কিন্তু তা গভীর নিম্নচাপ হলে ৩০-৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। একইসঙ্গে অমাবস্যার ভরা কোটালের জেরে নিম্নচাপের শক্তি বৃদ্ধি হতে পারে বলেই আশঙ্কা আবহাওয়াবিদদের একাংশের।

আরও পড়ুন: গদা হাতে পরিবেশ শিক্ষা ‘যমরাজ’-এর! পরিবেশ দিবসে সচেতনতার বার্তা