নাড্ডায় কনভয়ে হামলার ঘটনায় গ্রেফতার আরও ৮

এই নিয়ে মোট ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের পুলিস হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

নাড্ডায় কনভয়ে হামলার ঘটনায় গ্রেফতার আরও ৮
কনভয় হামলায় গ্রেফতার।
Follow Us:
| Updated on: Dec 12, 2020 | 5:28 PM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: জেপি নাড্ডার (JP Nadda) কনভয়ে হামলার ঘটনায় আরও আটজনকে গ্রেফতার করল পুলিস। এই নিয়ে মোট ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঘটনার পর উস্তি ও ফলতা থানার পুলিস দু’টি স্বতঃপ্রণোদীত মামলা দায়ের করে। শুক্রবার প্রথমে সাতজনকে গ্রেফতার করে পুলিস। এরপর ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ দেখে রাতে আরও আটজনকে গ্রেফতার করা হয়।

আরও পড়ুন: গ্রামপঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে স্বাস্থ্যসাথী থেকে ‘বঞ্চিত’

বৃহস্পতিবার ডায়মন্ড হারবারে সভা ছিল ভারতীয় জনতা পার্টির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার (JP Nadda)। সভাস্থলে যাওয়ার পথে তাঁর কনভয়ে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ, দু’ দফায় হামলা চলে নাড্ডার কনভয়ে। একবার উস্তির শিরাকোলে, দ্বিতীয়বার ফলতার দোস্তিপুরে। এই ঘটনায় তাঁর গাড়ি-সহ একাধিক দলীয় নেতার গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আহত হন বেশ কয়েকজন।

আরও পড়ুন: টিকা পেতে হলে নাম থাকতে হবে ভোটার তালিকায়, উল্লেখ স্বাস্থ্যমন্ত্রকের গাইডলাইনে

এরপরই তদন্তে নেমে শুক্রবার সাতজনকে গ্রেফতার করে পুলিস। ফলতা পুলিস গ্রেফতার করে চারজনকে, বাকিরা ধরা পড়ে উস্তি পুলিসের হাতে। সেদিনই তাদের আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের পুলিসি হেফাজত হয়। এরইমধ্যে রাতে আরও আটজন গ্রেফতার হয়। পুলিস জানিয়েছে, ধৃত মতিবুল শেখ, আতাউল শেখ, আরাফাত শেখ ও জামশেদ শেখ উস্তি থানা এলাকার বাসিন্দা। অন্যদিকে ছোট্টু বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভেন্দু মণ্ডল, আনসার হোসেন হালদার, নূরসালাম সাফুই ফলতা থানা এলাকার বাসিন্দা।

শনিবার দুপুরে ধৃতদের ডায়মন্ড হারবার এসিজেএম আদালতে তোলা হলে ছ’দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। ধৃতদের বিরুদ্ধে পুলিশকে হেনস্তা, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর, জমায়েত ও ভাঙচুর, কর্তব্যরত সরকারি কর্মচারীদের কাজে বাধা দেওয়া-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।