Leopard Attack: চা বাগানে অন্ধকার নামতেই ৭ বছরের শিশুকে ঘাড় মটকে তুলে নিয়ে গেল সাক্ষাৎ ‘যমদূত’
Alipurduar Leopard Attack: ছোট্ট সানি আর পাঁচটা স্বাভাবিক দিনের মতো বাড়ির সামনেই উঠানে খেলছিল। সন্ধে হয়ে গিয়েছিল। হঠাৎই রাতের অন্ধকারে জ্বলজ্বল করে ওঠে দুটি চোখ। আর নিমেষের মধ্যেই আক্রমণ। দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়া শিশুটিকে কামড়ে ধরে টানতে টানতে নিয়ে যায় লেপার্ড।
আলিপুরদুয়ার: সাত বছরের এক ছোট্ট শিশুকে ঘাড় মটকে তুলে নিয়ে গেল লেপার্ড। বাড়ির উঠানে বসে খেলছিল সাত বছরের ওই শিশু। সেই সময়েই হঠাৎ লেপার্ডের হানা। প্রায় ১০০ মিটার দূরে শিশুটিকে টেনে নিয়ে যায়। পরে শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। সোমবার সন্ধেয় ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাটে। মৃত শিশুর নাম সুনীল ওরফে সানি ওঁরাও। বাড়ি মাদারিহাটের বীরপাড়া ব্লকের ঢেকলাপাড়া চা বাগানে। ছোট্ট সানি আর পাঁচটা স্বাভাবিক দিনের মতো বাড়ির সামনেই উঠানে খেলছিল। সন্ধে হয়ে গিয়েছিল। হঠাৎই রাতের অন্ধকারে জ্বলজ্বল করে ওঠে দুটি চোখ। আর নিমেষের মধ্যেই আক্রমণ। দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়া শিশুটিকে কামড়ে ধরে টানতে টানতে নিয়ে যায় লেপার্ড।
এদিকে ‘যমদূত’ যে গ্রামে হানা দিয়েছে, তা ততক্ষণে টের পেয়ে গিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। সাহায্যের জন্য শুরু হয়ে যায় চিৎকার-চেঁচামেচি। আর এসবের মধ্যেই লেপার্ডটি ওই শিশুকে ফেলে রেখে চলে যায় জঙ্গলে। লেপার্ড জঙ্গলে পালিয়ে যেতেই স্থানীয় বাসিন্দারা শিশুটিকে উদ্ধার করে এবং তড়িঘড়ি নিয়ে যায় বীরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। কিন্তু ততক্ষণে অনেকটা রক্তক্ষরণ হয়ে গিয়েছিল। ছোট্ট সানিকে যখন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, ততক্ষণে অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছিল। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এদিকে সোমবার সন্ধের ওই ঘটনার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান জলপাইগুড়ি বন বিভাগের দলগাঁও রেঞ্জের বনকর্মীরাও। গ্রামে ঢুকলে এলাকাবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় বনকর্মীদের। এর আগেও আলিপুরদুয়ারের জটেশ্বর এলাকায় এক বৃদ্ধাকে টেনে নিয়ে গিয়েছিল এক লেপার্ড। বৃদ্ধার শরীর থেকে মাথা আলাদা করে দিয়েছিল। বার বার এমন ঘটনায় অসন্তোষ বাড়ছে গ্রামবাসীদের মনে।
এদিকে জলপাইগুড়ি বন বিভাগের আধিকারিক বিকাশ পঞ্চমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিও সন্দেহ করছেন লেপার্ডের আক্রমণের কারণেই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গ্রামবাসীদের সতর্ক থাকার জন্য বলেছেন তিনি।