Alipurduar: এমন মাংস দিয়ে কষানো শুরু করলেন, লাটে উঠল বনভোজন, শ্রীঘরে রাঁধুনি
Alipurduar: ঘটনাস্থল থেকে বন দফতরের আধিকারিকরা ২০ কেজি মাংস উদ্ধার করেছে। সেই সঙ্গে রান্না করার সরঞ্জামও বাজেয়াপ্ত করেছে। অভিরাম টোপ্পো নামে এক ব্যক্তিকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
আলিপুরদুয়ার: হাঁড়িতে উনুন বসে গিয়েছে। পেঁয়াজ-রসুন কষানোও শুরু। গন্ধ মিশেছে বাতাসে। মাংস সবেমাত্র দেওয়া হবে কড়াইয়ে। বনভোজনের আয়োজনে তখন উত্তেজনা তুঙ্গে। তারই মধ্যে হাজির ‘অতিথি’। নিভল উনুন, কড়াইয়ে পড়ল জল। আর হল না রান্না। খালি পেটেই বনভোজনের আয়োজকদের যেতে হল শ্রীঘরে। হরিণের মাংস দিয়ে ভুরিভোজের আয়োজন। সেই আয়োজনে হানা বন দফতরের আধিকারিকরা। আপাতত এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযান চালিয়ে ২০ কেজি মাংস উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে এক জনকে। তবে বন দফতরের আধিকারিক আসছেন, খবর পেয়েই বাকিরা পালিয়ে যায়। শনিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ভূটান সীমান্তের ময়নাবাড়ি বনাঞ্চলে।
ঘটনাস্থল থেকে বন দফতরের আধিকারিকরা ২০ কেজি মাংস উদ্ধার করেছে। সেই সঙ্গে রান্না করার সরঞ্জামও বাজেয়াপ্ত করেছে। অভিরাম টোপ্পো নামে এক ব্যক্তিকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার রাতে নর্থ রায়ডাক রেঞ্জের রেঞ্জার শ্যামল মণ্ডল কর্মীদের নিয়ে অভিযান চালান। তিনি জানান,একটি পূর্ণ বয়স্ক বার্কিং ডিয়ারকে হত্যা করে তার মাংস ছাড়িয়ে রান্নার আয়োজন করা হয়েছিল।
ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কয়েকজনের নাম ও ঠিকানা পেয়েছে বনদফতর। সব অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছেন বনদফতরের আধিকারিকরা। বছর চারেক আগে ধওলাঝোরা এলাকা ও কোহিনুর চাবাগানে হরিণ মেরে মাংস খাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। অভিযুক্তরা সকলে সেসময়ে ধরা পড়ে। অভিযুক্ত অভিরাম টোপ্পোকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বাকিদের নাম ও ঠিকানা পেয়েছে বনদফতর। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।