Alipurduar Fraud Case: কম্পিউটার শিখিয়ে ১৮ হাজার বেতনের চাকরি, অফিসের মেঝেতে কেবল বিছানা ! ‘স্মার্ট ভ্যালু’র স্মার্টগিরিতে ফাঁসছেন মহিলারা

Alipurduar Fraud Case: অফিসে গিয়েছিলেন TV9 বাংলার প্রতিনিধি। দেখা গেল, অফিসে কম্পিউটার তো নেই, মেঝেতে বিছানা পাতা। সবাই ফোন করছেন, আর সেই একই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। জনা পঞ্চাশেক লোক কাজ করেন।

Alipurduar Fraud Case: কম্পিউটার শিখিয়ে ১৮ হাজার বেতনের চাকরি, অফিসের মেঝেতে কেবল বিছানা ! 'স্মার্ট ভ্যালু'র স্মার্টগিরিতে ফাঁসছেন মহিলারা
প্রতারণার অভিযোগ এই সংস্থার বিরুদ্ধেImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 15, 2023 | 11:48 AM

আলিপুরদুয়ার : প্রথমে কম্পিউটার শেখানোর প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষিত হয়ে গেলেই চাকরি। বেতন ১৮ হাজার টাকা। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল গ্রাম বাংলার যুবক-যুবতী। এমনকি চাকরির আশায় সেই ফাঁদে পা দিয়েছিলেন গৃহবধূরাও। গ্রামের ১৫ থেকে ২৫ বছর বয়সীদের টার্গেট করা হচ্ছিল। আলিপুরদুয়ারে প্রতারণার নয়া ফাঁদ। সংস্থার নাম ‘স্মার্ট ভ্যালু’। কর্মীরাও স্মার্ট। আলিপুরদুয়ার শহরের প্রানকেন্দ্রে একটি ভাড়াবাড়িতে রমরমিয়ে চলছে এই অফিস।

জানা যাচ্ছে, গ্রামগঞ্জের ১৫ থেকে ২৫ বছর বয়সীদের টার্গেট করতেন এই সংস্থার কর্মীরা। মহিলা ও মেয়েদের স্বনির্ভর করতে কম্পিউটার শেখানোর নাম করে তাঁদের কাছ থেকে অনলাইনে নেওয়া হত ১৫ হাজার টাকা। প্রতারিতদের দাবি, কম্পিউটার শেখা হয়ে গেলে তাঁদের চাকরি দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হত। ফলে প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে আলিপুরদুয়ার জেলার বিস্তীর্ণ এলাকার পড়ুয়া ও গৃহবধূরা ১৫ হাজার টাকা করে দিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ।

টাকা দেওয়ার পর প্রতারিতরা সংস্থার ওই অফিসে গিয়ে দেখতে পান, সেখানে কম্পিউটার বলেই কিছু নেই। যাঁরা এখানে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে ভর্তি হচ্ছেন তাঁদের দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে অন্য কিছু। প্রতারিতদের এক জন জানাচ্ছেন, তাঁদের পরিচিত মানুষজনের ৫০০ তালিকা তৈরি করে ফোন করতে বলা হচ্ছে। তাঁদেরকেও একই ভাবে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তোলার কথা বলা হচ্ছে। অর্থাৎ এখানে জয়েনিং করতে টোপ দিতে হবে।

পুরনো কর্মীরা প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে যাঁরা ছেড়ে দিচ্ছেন, তাঁদের জায়গায় আসছেন নতুন কেউ। তাঁদের মধ্যে এক গৃহবধূ টাকা ফেরত পেতে প্রশাসনের কাছে আর্জি জানিয়েছেন।

অফিসে গিয়েছিলেন TV9 বাংলার প্রতিনিধি। দেখা গেল, অফিসে কম্পিউটার তো নেই, মেঝেতে বিছানা পাতা। সবাই ফোন করছেন, আর সেই একই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। জনা পঞ্চাশেক লোক কাজ করেন। ওখানে রিসেপশনে বসে থাকা এক মহিলা স্পষ্ট বললেন, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও পুরসভার চেয়ারম্যান তাঁদের এখানে ব্যাবসা করার অনুমতি দিয়েছেন।

বাড়ির মালিক অমিতাভ সান্যাল বলেন, এই অফিস থেকে মাসে সাড়ে দশ হাজার টাকা ভাড়া পান। জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ার জেলায় কামাখ্যাগুড়ি ও ফালাকাটাতেও এরকম অফিস করেছে কোম্পানি। কর্মসংস্থানের নামে প্রতারিত করা হচ্ছে গ্রামের বহু মহিলাদের।এলাকার কাউন্সিলর ও আলিপুরদুয়ার পুরসভার চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ কর বলেন, “আমরা এটা সমর্থন করিনা। কেউ যদি পুরসভার নাম ভাঙিয়ে ব্যাবসা করে। বিষয় টি পুলিশ প্রশাসনের নজরে আনব।পুরসভার পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।”