Alipurduar Fire: শরীর থেকে খসে পড়ছে চামড়া, মাথার চুল উপড়ে এসেছে! উড়ালপুলের নীচে ভয়ঙ্কর ঘটনা
Alipurduar Fire: উড়ালপুলের নীচে প্রচুর দোকানপাট রয়েছে। অভিযোগ, দোকানিরা অবৈধভাবেই তাঁদের পসরা সাজিয়ে বসতেন। রাত ১২টা নাগাদ আচমকাই ওই উড়ালপুলের নীচে আগুন লেগে যায়।
আলিপুরদুয়ার: উড়ালপুলের নীচে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। দগ্ধ হয়ে মৃত্যু এক জনের। ভয়ঙ্কর ঘটনা আলিপুরদুয়ারে। দমকলের দুটি ইঞ্জিনের এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
উড়ালপুলের নীচে প্রচুর দোকানপাট রয়েছে। অভিযোগ, দোকানিরা অবৈধভাবেই তাঁদের পসরা সাজিয়ে বসতেন। রাত ১২টা নাগাদ আচমকাই ওই উড়ালপুলের নীচে আগুন লেগে যায়। দাহ্য বস্তু থাকায় মুহূর্তে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রাই প্রাথমিকভাবে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। খবর যায় দমকলে। দমকল কর্মীরা ঘণ্টা খানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
পকেট ফায়ার রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখার সময়ই দমকলকর্মীদের নজরে পড়ে ভয়াবহ দৃশ্য। উড়ালপুলের নীচে ছোট্ট একটি কুঠুরির মধ্যে এক জনের দেহ ঝুলছে। আগুনে ঝলসে গিয়েছে মাথার চুল থেকে পা পর্যন্ত। শরীর থেকে চামড়া খসে পড়ছে।
দেহটি এমন ভাবেই ঝলসে গিয়েছে, যে সেটি কোনও ব্যক্তি না মহিলার তা বোঝার উপায় নেই। দেহটি কোনওভাবে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে এখানে উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন। ওই ব্যক্তি কিংবা মহিলা কীভাবে উড়ালপুলের নীচে ওই সংকীর্ণ জায়গায় পৌঁছলেন? সেক্ষেত্রে অনেকের মতে, শীতের রাতে ওখানেই আস্থানা গেড়েছিলেন কোনও ভবঘুরে। আগুন লাগার কারণও স্পষ্ট নয়। কীভাবে আগুন লাগল, তাও খতিয়ে দেখছেন দমকলকর্মীরা।
আলিপুরদুয়ার দমকল বিভাগ এবং পুলিশের তদন্তকারী অফিসাররা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। এখনও পর্যন্ত পুলিশ কিংবা দমকল বিভাগ মৃতের পরিচয় জানাত পারেনি। তবে উড়ালপুলের নীচের জায়গা দখল করে এমন ভাবে অবৈধ ব্যবসা শুরু হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী এদিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, “কী ভাবে সকলের নজর এড়িয়ে ওই ব্যক্তি ওই খানে পৌঁছালেন সেটাই সবচেয়ে বড় কথা। ঘটনার পুরো তদন্ত হবার পরই প্রশাসনকে এর ব্যবস্থা নিতে বলব।”
আলিপুরদুয়ার দমকলের অধিকর্তা স্বপন দাস বলেন. “আমরা তদন্ত শুরু করেছি। তবে মৃতের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।পরিচয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।” আলিপুরদুয়ার পুরসভার প্রশাসক বাবলু কর জানিয়েছেন, প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন।
আরও পড়ুন: বছর শেষে লেপ-কম্বলে গুটিসুটি, তবে এখনও কাটেনি বৃষ্টি-বিপদ! কী বলছে হাওয়া অফিস..
আরও পড়ুন: ১৪১ জনেরই নেই ভ্রমণের ইতিহাস! ওমিক্রনেও গোষ্ঠী সংক্রমণের শঙ্কা বাণিজ্যনগরীতে