Weather Update: বছর শেষে লেপ-কম্বলে গুটিসুটি, তবে এখনও কাটেনি বৃষ্টি-বিপদ! কী বলছে হাওয়া অফিস..
Kolkata: আবারও আগামী ৪ জানুয়ারি থেকে ৭ জানুয়ারি নতুন করে আরও একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রকোপ পড়তে চলেছে বঙ্গে। ফলে ফের বাধা পাবে শীত।
কলকাতা: বছর শেষে শীতের (Winter) আমেজ। শীতের মাস হলেও থাকলেও জাঁকিয়ে ঠান্ডা এখনও পড়েনি। লেপকম্বলের ওমে, শহরজুড়ে এখন কমলালেবু রঙা রোদ। বছরের শেষদিনে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার বিপদ কাটলেও এখন বৃষ্টি-কাঁটা থেকে মুক্তি মেলেনি। অন্তত এমনটাই বলছে হাওয়া অফিস। কলকাতায় আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম।
বছর শেষে হিমেল আমেজ
আলিপুর হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, কিছুদিন আগে তৈরি হওয়া পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জের কেটেছে। শুক্রবার থেকেই হাওয়া-বদল হতে পারে বলে আগেই জানিয়েছিলেন আবহবিদরা। সেইমতোই দেখা গেল, ঝঞ্ঝা কাটতেই উত্তুরে হাওয়ায় বঙ্গ জুড়ে শীতের আমেজ। বছরের শেষ শুক্রবারে সকালের দিকে খানিক কুয়াশা থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা অনেকটাই স্বাভাবিক হবে। অর্থাৎ রোদের দেখা মিলবে। আগামী কয়েকদিনও পারদ নিম্নমুখী বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
পৌষেও অকালবর্ষণের সম্ভাবনা
কিন্তু, সেই সুখ বেশিদিন স্থায়ী হবে না। কারণ, আবারও আগামী ৪ জানুয়ারি থেকে ৭ জানুয়ারি নতুন করে আরও একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রকোপ পড়তে চলেছে বঙ্গে। ফলে ফের বাধা পাবে শীত। পৌষেও অকালবৃষ্টির সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। ৪ জানুয়ারি থেকে ৭ জানুয়ারি নতুন পশ্চিমী ঝঞ্ঝর প্রভাবে উত্তর, মধ্য ভারতে আবার বৃষ্টি হতে পারে। ফলে বাধা পাবে উত্তর-পশ্চিমের বাতাস জানুয়ারির শুরুতে কলকাতায় তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামতে পারে। জেলায় ১১-১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি হতে পারে। তারপর আবার বাড়বে তাপমাত্রা।
তবে জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা এখনও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বেশ কিছু জেলায় শুক্রবারও হতে পারে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত। ইতিমধ্যেই পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে টাইগার হিলে তুষারপাত হচ্ছে। বরফের সাদা চাদরে মুড়েছে শৈলরানি। আপাতত, শীত আসছে না। আপাতত, শীতের জন্য অপেক্ষাই সম্বল বলছেন আবহবিদরা।
কবে কোথায় বৃষ্টিপাত?
- শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর ২০২১) হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস: পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম দিনভর হালকা বৃষ্টি হতে পারে।
- শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর ২০২১) মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস: দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে, পৌষের অকালবর্ষণে বিস্তর ক্ষতি হয়েছে চাষের। মরসুমি চাষ তো নষ্ট হয়েছেই, সমস্যায় পড়েছেন আলুচাষিরা। জমিতেই মরে যাচ্ছে চারা। ফলন না হওয়ায় বাজারেও টান পড়তে পারে বলে আশঙ্কা। ফলে দামেও সেই আগুন ছোঁয়াচ লাগবে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ।
আরও পড়ুন: উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষিত হল এই উড়ালপুলে!