Pradhan Mantri Awas Yojana: নেতা-বিধায়কদের ‘আবাস যোজনায়’ নাম আসায় এবার রাস্তায় নামলেন ‘সত্যিকারের’ ঘর-হারারা

Alipurduar: নিজের জমি রয়েছে। তবে নেই বাড়ি। ভাড়া বাড়িতে থাকেন। আবার কারোর কাচা বাড়ি। কারোর তো আবার ঘর ভেঙে পড়ার উপক্রম। এমন অনেক সাধারণ মানুষের নামই নেই আবাস যোজনায়

Pradhan Mantri Awas Yojana: নেতা-বিধায়কদের ‘আবাস যোজনায়’ নাম আসায় এবার রাস্তায় নামলেন ‘সত্যিকারের’ ঘর-হারারা
ভাঙাচোরা বাড়ি হওয়া সত্ত্বেও নাম নেই তালিকায় (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 15, 2022 | 3:00 PM

আলিপুরদুয়ার: ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’র ঘর নিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সরগরম রাজনীতি। ঘর বন্টন ঘিরে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। সত্যিই যাদের সরকারি ঘর প্রয়োজন তাঁরা ঘর পাচ্ছেন না, এমন ভূরি ভূরি অভিযোগ শোনা যাচ্ছে প্রতিদিন। আবারও ঠিক এমনই ছবি সামনে এল উত্তরবঙ্গ থেকে।

নিজের জমি রয়েছে। তবে নেই বাড়ি। ভাড়া বাড়িতে থাকেন। আবার কারোর কাচা বাড়ি। কারোর তো আবার ঘর ভেঙে পড়ার উপক্রম। এমন অনেক সাধারণ মানুষের নামই নেই আবাস যোজনায়। অভিযোগ, যাদের পাকা বাড়ি আছে অথবা দোতালা বাড়ি আছে তাদের আবাস যোজনায় নাম আছে। আর এই অভিযোগে আলিপুরদুয়ারের কালচিনি ব্লকের হ‍্যামিল্টনগঞ্জ এলাকার বেশ কয়েকজন মহিলা বুধবার বিডিও অফিসে এসে অভিযোগ করেন। তাঁদের অভিযোগ, “আমাদের মধ‍্যে কেউ অন‍্যের বাড়িতে থাকে। কারোর ঘর কাচা, কিন্ত আমাদের আবাস যোজনার তালিকায় নাম নেই। অথচ আমাদের এলাকার অবস্থাসম্পন্ন যাদের গাড়ি-বাড়ি আছে, তাঁদের তালিকায় নাম এসেছে।”

আবাস যোজনার সমীক্ষা শুরু হওয়ার সঙ্গে-সঙ্গেই আলিপুরদুয়ার জেলা জুড়ে এমন অভিযোগ সামনে আসছে। জেলা জুড়ে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ব্লক অফিসে এমন ভূরি ভূরি অভিযোগ জমা পড়ছে। খোদ গোরে লাইনে ২০ থেকে ২৫টি পরিবারের ঘর ভাঙা অবস্থায় রয়েছে। এতটাই সঙ্গীহীন যে বাড়ি থেকে জল পড়ে। সাধারণ বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই বিষয় নিয়ে পঞ্চায়েতকে জানালেও আখেরে লাভ হয়নি। এমনকী বিষয়টি নিয়ে আন্দোলনে নামলেও কোনও লাভ হয়নি। পরবর্তীতে রাস্তা অবরোধ-সহ বড় ধরনের আন্দোলনে সামিল হবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাসিন্দারা।

কেন গরিব মানুষজন এতদিন ঘর পায়নি। তালিকায় তাদের নাম নেই কেন এ ব্যাপারে স্থানীয় পঞ্চায়েত কিংবা বিডিও মুখ খুলতে চাননি। আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল চেয়ারম্যান মৃদুল গোস্বামী বলেন, “অনেকদিন আগে একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। সেই তালিকায় হয়ত কারোর ঘর ছিল না। পরে হয়ত তিনি ঘর বানিয়েছেন। এগুলো নিয়ে শুধু মাত্র বিতর্ক তৈরি করছেন নেতারা।” অপরদিকে, কালচিনির বিজেপি বিধায়ক বিশাল লামার বক্তব্য, “এই এলাকায় মূলত চা শ্রমিকরা বসবাস করেন। অনেকেই রয়েছেন যারা ঘর পায়নি। সেই কারণে আমরা আজকে ডেপুটেশন জমা দিতে যাব।”