উত্তরবঙ্গকে পৃথক করা বিজেপির গেমপ্ল্যান, বার্লার মন্ত্রিত্বেই প্রমাণিত: গৌতম দেব

Gautam Deb:"তৃণমূল মনে করে জন বার্লা বিচ্ছিন্নতাবাদী। কেন্দ্রীয় সরকার ওনাকে মন্ত্রী করতে পারে। কিন্তু আমরা তৃণমূল কংগ্রেস ওনাকে বিচ্ছিন্নতাবাদীই মনে করি। উনি বাংলাকে ভাগ করতে চাইছেন।''

উত্তরবঙ্গকে পৃথক করা বিজেপির গেমপ্ল্যান, বার্লার মন্ত্রিত্বেই প্রমাণিত: গৌতম দেব
দলকে বিশেষ নির্দেশ গৌতম দেবের, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 10, 2021 | 5:36 PM

শিলিগুড়ি: ‘উত্তরবঙ্গকে পৃথক করা বিজেপির গেমপ্ল্যান, বার্লার মন্ত্রিত্বেই তা প্রমাণিত।’ পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে শিলিগুড়িতে অবস্থান বিক্ষোভে যোগ দিতে এসে বিজেপি সাংসদ জন বার্লার (John Barla) কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব নিয়ে কটাক্ষ করলেন শিলিগুড়ি পৌর প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান ও তৃণমূল নেতা গৌতম দেব (Gautam Deb)।

ডুয়ার্স থেকে প্রথম কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছেন জন বার্লা। যাঁর পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবিকে কেন্দ্র করে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। বার্লাকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করার মাধ্যমে নিজেদের বাংলা ভাগের পরিকল্পনা বুঝিয়ে দিয়েছে বিজেপি। এমনটাই দাবি প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেবের। তাঁর কথায়, “সব জেনেবুঝেই এসব হচ্ছে। রাজ্যের নেতারা অস্বীকার করছেন। আর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েও বার্লা আলাদা রাজ্যের দাবি জিইয়ে রাখছেন।”

এদিন আলিুরদুয়ার থেকেও সাংসদ জন বার্লাকে আক্রমণ শানান গৌতম দেব। বলেন, “তৃণমূল মনে করে জন বার্লা বিচ্ছিন্নতাবাদী। কেন্দ্রীয় সরকার ওনাকে মন্ত্রী করতে পারে। কিন্তু আমরা তৃণমূল কংগ্রেস ওনাকে বিচ্ছিন্নতাবাদীই মনে করি। উনি বাংলাকে ভাগ করতে চাইছেন। উনি আলিপুরদুয়ারে ঢুকলে ওনাকে কালো পতাকা দেখিয়ে বিক্ষোভ দেখান হবে। গো- ব্যাক ধ্বনি দেওয়া হবে। যতদিন না উনি ক্ষমা চাইবেন, ততদিন ওনাকে আলিপুরদুয়ারে ঢুকতে দেওয়া হবে না। ঢুকলে কালো পতাকা দেখিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হবে।”

এদিন পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে গৌতন দেব বলেন, যারা নিজেরা কর না কমিয়ে রাজ্যেকে কর কমাতে বলছে তারা বলুক, কর কমালে রাজ্যের সামাজিক প্রকল্পের কী হবে। বিজেপিকে নিশানা করে বলেন, ওরা রাজ্যে ৭৭টি আসন পেয়েছে, আগামীতে ৭টিও পাবে না।

যদিও গৌতম দেবের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপির তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। আরও পড়ুন: Fake Vaccine: অশোক বনাম গৌতমের বাকযুদ্ধ! দেবাঞ্জনকাণ্ডে এবার রাজনৈতিক তরজা উত্তরবঙ্গেও