India-Bhutan: ভবিষ্যতে ট্রেনে করেই যাওয়া যাবে ভুটান, নতুন উদ্যোগ ভারতীয় রেলের

New Rail line: উত্তর-পূরেব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, প্রথমে অসমের কোকরাঝাড় থেকে ভুটানের গ্যালিম্ফু পর্যন্ত ৪৮ কিলোমিটার রেলপথ পাতার কাজ শুরু করা হবে।

India-Bhutan: ভবিষ্যতে ট্রেনে করেই যাওয়া যাবে ভুটান, নতুন উদ্যোগ ভারতীয় রেলের
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 14, 2022 | 4:06 PM

আলিপুরদুয়ার: বাংলাদেশের সঙ্গে রেলপথে যোগাযোগ রয়েছে ভারতের। বাংলাদেশের পর এ বার পড়শি দেশ ভুটানের সঙ্গে রেলপথে যুক্ত হওয়ার উদ্যোগ নিল ভারতীয় রেল। আপাতত তিনটে রুটে ভুটানের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তোলার কাজ চলছে। প্রথমে বাণিজ্যিক ভাবে ওই রেলপথ ব্যবহার করা হবে। পরে যাত্রীবাহী ট্রেন চালানো হবে বলে জানা গিয়েছে রেল সূত্রে।

রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ভুটানের সঙ্গে মোট তিনটি রুটে যোগাযোগ স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে ভারতীয় রেল। প্রাথমিক ভাবেই বাণিজ্যের জন্যই রেল যোগাযোগ তৈরির বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ধাপে ধাপে ওই তিনটি রুটে যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর পরিকল্পনাও রয়েছে রেলের। ফলে অদূর ভবিষ্যতে দুই দেশের নাগরিক ও পর্যটকরা ওই আন্তর্জাতিক রেলপথ ব্যবহার করে দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করতে পারবেন।

উত্তর-পূরেব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, প্রথমে অসমের কোকরাঝাড় থেকে ভুটানের গ্যালিম্ফু পর্যন্ত ৪৮ কিলোমিটার রেলপথ পাতার কাজ শুরু করা হবে। এই রেলপথ তৈরির প্রাথমিক সমীক্ষার কাজ শেষ স্তরে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের রেলওয়ে ম্যানেজার দিলীপ কুমার সিং। তিনি আরও জানিয়েছেন, ওই রেলপথের কাজ শেষ হলে, হাসিমারা থেকে ভুটানের ফুন্টসোলিং পর্যন্ত রেললাইন পাতার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়াও অসমের কোকরাঝাড় থেকে ভুটানের সামদ্রুপজংখা পর্যন্ত রেল রুট তৈরি করারও পরিকল্পনাও রেলের রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই রেলপথ তৈরি হয়ে গেলে বাণিজ্যিকভাবে দুদেশই লাভবান হবে। পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নয়ন হবে বলেও আশা করছে দুই দেশই। এর পাশাপাশি সামরিক দিক থেকেও এই রেল পথের গুরুত্ব অনেকটাই বাড়েবে। সম্প্রতি ভুটান, চিন এবং ভারতের ট্রাই জংশন ডোকলামে চিনা সেনার আগ্রাসন দেখা গিয়েছিল। সেই আগ্রাসনকে রুখে দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। বরাবরই ভারতের চিকেন নেক শিলিগুড়ি করিডর একটি দুশ্চিন্তার কারণ। বাংলাদেশের পর ভুটানেও এই রেল পথ চালু হলে, উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যাবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

এই রেলপথ নিয়ে আলিপুরদুয়ার চেম্বার অব কমার্সের সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজিত দে বলেছেন, “ট্রেন চালু হলে অর্থনীতির ব্যাপারে আমূল পরিবর্তন হবে। ভারত থেকে সহজে পণ্য পৌঁছবে ভুটানে। বাণিজ্যিক প্রসার ও মৈত্রীর সম্পর্ক স্থাপিত হবে। আলিপুরদুয়ার, হাসিমারা, জয়গাঁর বাদিন্দারা উপকৃত হবেন।” এই রেলপথ চালুর খবরে খুশি ব্যবসায়ীরা। তাঁরাও মনে করছেন, এই রেলপথ পর্যটনকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে।